ব্রঙ্কাইটিস কিন্তু কম বিপদজনক নয়

ব্রঙ্কাইটিস বলতে আমরা যা বুঝি সেই ধারণার সমধ্যে কিছুঅন্ধকার জায়গা রয়ে গেছে। যেমন সবচাইতে বেশি যে শব্দটা আমরা উচ্চারণ করি। তা হল ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস। ক্রনিক বললে আমাদের মনের মধ্যে বা অবচেতনে আর একটা শব্দও চলে আসে, তা হচ্ছে তাহলে অ্যাকিউট বলে কিছু আছে। এখানেই কিন্তু ব্রঙ্কাইটিস কথাটির মধ্যে স্ববিরোধ রয়েছে। অর্থাৎ অ্যাকিউট একটা আছেঠিকই এবং ক্রনিকব্রঙ্কাইটিসও আছে কিন্তু এই দুটোর মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।

 আগে আমরা ক্রনিক দিয়ে শুরু করব। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসকে ঠিক ঠিক বিজ্ঞানসম্মতভাবে বললে ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ(সি.ও.পি.ডি)। সি.ও.পি.ডির মধ্যে কয়েকটি অসুখ পড়ে যায়, প্রধান হচ্ছে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস। এর একটা সংজ্ঞা আছে সেটা হল, একজন ধূমপায়ী সে যখন (মধ্যবয়স্ক পুরুষ মানুষ) কাশে তার সাথে কফ থাকে। বছরে অন্তত দুমাসের বেশি এবং অন্তত দু'বছর ধরে চলা কাশিকে আমরা ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বলব। এটা এইজন্য জরুরি, যে ভদ্রলোক দু'মাস বা দু’বছর ধরে কেশে কফ তুলছে তার শ্বাসকষ্ট এখন না থাকলেও দু’ বছর বাদে শ্বাসকষ্ট শুরু হবে ।তারও পরে শ্বাসনালীগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাবে ।সুতরাং আমরা যদি অনেক আগে ধরতে পারি ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস লেভেল তাহলে তার ভবিষ্যতে এই ডিজিজ প্রগ্রেসটাকে আটকানো সম্ভব ।

ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস নিয়ে নয় , আজ আমরা আলোচনা করব অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস নিয়ে। সত্য সত্যই অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস একেবারেই অন্য অসুখ। খুব কম বয়সী বাচ্চাদের শৈশবকালীন একটা কষ্ট এবং অসুখ। তার মধ্যে একটা ভাগ আছে ব্রঙ্কাইটিস এবং আরো ছোট ছোট শাসনালীকে যখন ধরে তাকে বলে ব্রঙ্কিওলাইটিস। এটা কিন্তু ঠিক ব্রঙ্কিওলাইটিস একটি ভয়ঙ্কর রকমের ব্যাধি। অর্থাৎ একটি ফুটফুটে বাচ্চা তার আড়াই বছর বয়সে সকালে পুতুল নিয়ে খেলছিল, মা দেখছে সে একটু কাশছেদুপুরবেলাতে। সেই বাচ্চাটিকে মধ্যরাতে আই.সি.ইউ-তে ভর্তি করতে হতে পারে। এমনই মারাত্মক অসুখব্রঙ্কিওলাইটিস ।

ব্রঙ্কিওলাইটিসের অনেক কারণ। কিন্তু আমাদের কাছে যেটা জরুরি কারণ সেটা হচ্ছে ভাইরাস। আমরা জানি পৃথিবীতে ভাইরাসের শেষ নেই। সবচাইতে যে ভাইরাস আমাদের উৎপাত করে তাদের মধ্যে রেসপিরেটরি সেনসেটিয়াল ভাইরাস এবং অবশ্যই প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এছাড়া ভাইরাস না বলে ভাইরাসের কাছাকাছি হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জি বলে একটি ব্যাক্টেরিয়া এরা শ্বাসনালীর কেউ ওপরদিকটা বেশি ধরে যেমন হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, কেউ একেবারে গভীরে ক্ষুদ্রতম শাসনালী ব্রঙ্কিউলকে বেশি ধরে যেমন রেসপিরেটরি সেনসেটিয়াল ভাইরাস । সবচেয়ে জরুরি করা হল সময়মতো চিকিৎসা করলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে । সময়মতো চিকিৎসা না করালে বা চিকিৎসায় ভুল হলে রোগীর প্রাণনাশ হবে ।

2019-09-02 16:41:05

Back to Blogs