সাইনাসের বাড়াবাড়ি
হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-24 11:44:55
নাকের মধ্যে যে চামড়া থাকে তাকে বলে মিউকাস মেমব্রেন, যেটা নাকের চারপাশে লেয়ারের মতো পরিবেষ্টিত হয়ে থাকে। নাকের চারধারে ছোট ছোট বায়ুকক্ষ আছে। এই বায়ুকক্ষকে বলা হয় সাইনাস। বায়ুকক্ষের মিউকাস এবং নাকের মিউকাসের একই কন্টিনিউটি থাকছে, অর্থাৎ নাকের যখন প্রদাহ হবে সেটা সাইনাসের দিকেও ছড়িয়ে যাবে। সাইনাসের কক্ষগুলোকে এমনভাবে ভাগ করা হয়েছে একটা বাইরের দিকে আর একটা ভিতরের দিকে। বাইরের দিকে রয়েছে চোখের নীচে, নাকের পাশে, তাকে বলে ম্যাক্সিলারি সাইনাস। এই সাইনাসে রোগীরা বেশি ভোগে। দু’টো চোখের মাঝখানে কপালের ওপর ফ্রন্টাল সাইনাস। নাকের ঠিক মাঝখানে চোখের নীচের দিকে এথময়ডাল সাইনাস আর একদম মাঝখানে থাকে স্ফেনয়ডাল সাইনাস। সুতরাং সাইনাস ইনফেকশন মানেই হচ্ছে নাকের ঝিল্লি নাকের প্রদাহের সঙ্গে সাইনাসের প্রবাহিত ঝিল্লির প্রদাহ। অ্যাকিউট অবস্থায় অসহ্য মাথা যন্ত্রণা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তা শুরু হয়। মাথা টনটন কওে, ভার হয়ে চোখ জ্বালা করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। সূর্যাস্তের পর যন্ত্রণা কোথায় যেন হারিয়ে যায়।ক্রনিক পর্যায়ে রোগী বিছানা ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গ মাথা ভার হওয়া শুরু হয়। একটু বেলা বাড়লে তা কমে যায়।এছাড়া হাঁচি, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়া, দুর্গন্ধযুক্ত সর্দি, কপাল ও চোখে ব্যথা ও যন্ত্রণা, ঘুমের ব্যাঘাত, সকালে উঠে ক্লান্তি সাইনাসের রোগীদের মধ্যে দেখা যায়া। সকালে উঠে ক্লান্তি সাইনাসের রোগীদের মধ্যে দেখা যায়া। দীর্ঘদিন ধরে ভুগলে শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বাচ্চা থেকে বয়স্ক যে কোনো বয়সেই এই রোগ দেখা দিতে পারে। শীতকালে সাইনাসের বেশি বাড়াবাড়ি দেখা যায়। কারণ শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশের বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। এই সময় বায়ুস্তর নীচের দিকে নেমে আসে। বলতে গেলে প্রায় ভূতলের কাছাকাছিই থাকে। বাতাসে ধুলোবালি অনেক বেড়ে যায়, ঠান্ডা আবহাওয়ায় সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জি সম্মিলিত অসুখ অনেক বেড়ে যায়। ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস ধোঁয়া-ধুলোযুক্ত আবহাওয়ার মধ্যে ভেসে থাকে। তার সঙ্গে থাকে উত্তুরে হাওয়া। সব মিলিয়ে সাইনাসের প্রদাহের পক্ষে আদর্শ পরিবেশ। শীতকালে যে প্রদাহ সেটাকে চিকিৎসকরা অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ বলেই গণ্য করেন। ক্রনিক পর্যায়ে রোগী বিছানা ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথা ভার হওয়া শারু হয়। একটু বেলা বাড়লে তা কমে যায়। এছাড়া হাঁচি, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়া, দুর্গন্ধযুক্ত সর্দি, কপাল ও চোখে ব্যথা ও যন্ত্রণা, ঘুমের ব্যাঘাত, সকালে উঠে ক্লান্তি সাইনাসের রোগীদের মধ্যে দেখা যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাদের কম থাকে অ্যালার্জিজনিত ইনফেকশন তখন তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি কওে এবং দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে। শীতের আবহাওয়াতে অ্যাকিউট সাইনাস বেশি হয় আবার কারও যদি আগে থেকে সাইনুসাইটিসের ঝামেলা থাকে শীতে সেটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়। যাদের ঠান্ডার অ্যালার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা বেড়ে যায়। বাচ্চাদের বিশেষ করে শীতকালে সাইনাসের প্রদাহ দেখা যায়। কারণ বাচ্চাদের নাকের ঠিক পেছনে অ্যাডিনয়েড বলে একটা গ্ল্যান্ড থাকে। এই অ্যাডিনয়েড গ্ল্যান্ডটা শীতকালীন আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে যে শৈতপ্রবাহটা চলে তার একটা চাপ নাকের ঝিল্লির ওপর পড়ে। এর ফলে একটা ইনফেকশন তৈরি হয়ে বাচ্চাদের নাকটা বন্ধ হয়ে যায়। নাকটা বন্ধ হবার সঙ্গে সঙ্গে তারা মুখ দিয়ে হাঁ করে নিঃশ্বাস নিতে থাকে। নাকের প্রদাহ, অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চলন, গ্ল্যান্ড, কিছু অ্যালার্জি সব মিলে নাকটা যেই বন্ধ হল তেমনি ব্যাক্টেরিয়া গিয়ে বাসা বাধেঁ। ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধার কারণে এবার প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়। সর্দিটা ঘন হয়ে যায়, বেরোতে চায় না, মাথা ভার হয়ে যায়, যেটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে মায়েদের গরম সেঁক দিতে বলা হয় বাচ্চাদের জন্য। নাকের ড্রপ দিতে বলি যাতে সর্দিটা তরল হয়ে যায়। যাদের নাকের মধ্যচ্ছদা বাঁকা থাকে তাদের নাকে হাওয়া প্রবাহিত হতে বাধা পায় এবং রক্ত সঞ্চলন বেড়ে যায়। টার্বিনেট স্ফীত হয়ে নাক বন্ধ হয়ে যায়। শীতের আবহাওয়াতে অ্যাকিউট সাইনাস বেশি হয় আবার কারও যদি আগে থেকে সাইনুসাইটিসের ঝামেলা থাকে শীতে সেটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়। যাদের ঠান্ডায় অ্যালার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা বেড়ে যায়। বাচ্চাদের বিশেষ করে শীতকালে সাইনাসের প্রদাহ দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে গরম জলের ভাপটা নেওয়া সবচেয়ে আগে দরকার। যেহেতু এটা অ্যালার্জি জনিত তাই সাধারণভাবে বেশি ওষুধ না দিয়ে নাকের একটা ড্রপ দিয়ে থাকি, সাতদিনের মতো,তার বেশি নয়। এতে নাকটা খুলে যায়। নাকে বায়ু প্রবাহিত হবে, ইনফেকশনও কমে যাবে। একটা অ্যালার্জির ট্যাবলেটও দেওয়া হয়। যখন আমরা দেখি রোগটির স্থায়িত্ব বেড়ে গেছে তখন একটা সেন্সেটিভ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকি। আবার যখন ব্যাক্টেরিয়া বা জীবানু ধ্বংস করার ওষধ দেবার পরেও রোগী ভালো হয় না তখন ছোটখাটো একটা অপারেশন করা হয়। যদিও আমরা সেটা সহজে করতে চাই না। সাইনুসাইটিসের কারণ
- ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ
- প্রতিরোধ শক্তির অভাব
- তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিবর্তন
- নাকের বাঁকা হাড়
- টনসিল ও অ্যাডিনয়েডের ইনফেকশন
- পারিপাশ্বিক দূষণ ও অ্যালার্জি থেকে ইনফেকশন।