×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

কখন একজন সার্জনকে দরকার

ডাঃ বি. রামানা
2019-03-15 11:27:41

কথায় বলে, যখন আপনার দরকার একজন শল্য চিকিৎসককে তখন শল্য চিকিৎসকই চাই। একটা সময় আসে যখন তার উপযুক্ত বিকল্প ভগবানও হতে পারে না।

শ্রেণীগতভাবে সার্জনরা আইনজীবীদের মতো। যতক্ষণ না চরম বিপদে পড়ছেন, ততক্ষণ কেউ ডাক্তার বা উকিলের স্মরণাপন্ন হতে চান না। যেখানে সম্ভব, সম্ভবত সব চিকিৎসকই সব সময়েই কাটাছেড়ার বিকল্প পদ্ধতি সমর্থন করেন। এমনকী হার্নিয়া,গলস্টোন, ওভারিয়ান সিস্ট, রেক্টাল টিউমার ইত্যাদি ক্ষেত্রেও।

তবে সঠিক চিকিৎসার জন্য কখন এবং কোন সময়ে আপনারা একজন সার্জেনের কাছে যাবেন, সেটা এখানে বলছি। হ্যাঁ, যখন শুধু সার্জেনকেই দরকার।

ব্রেস্ট লাম্প : শক্ত, ব্যথাহীন, ক্রমে আকার বড় হচ্ছে

বেদনাহীন মাংসপিন্ড থেকে ক্যানসার হতে পারে। বিশেষত যেখানে রোগীর পরিবারের কারো স্তন ক্যানসারের পূর্ব ইতিহাস আছে। অথবা বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে কোনো ঝুকি নয়।

রক্তবমি

প্রয়োজন গ্যাস্ট্রো ডাক্তারের কাছেও যেতে পারেন। মনে রাখবেন, টিউমার থাকলে শল্য চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে পারে।

কুঁচকি ফুলে থাকা, যন্ত্রণা হচ্ছে

যদি আপনার হার্নিয়া যন্ত্রণাদায়ক হয়। অধিকাংশ রোগীর রক্ত সঞ্চালনে বাধাপ্রাপ্তির মাধ্যম হার্নিয়ার সমস্যা আগে থেকেই জানান দেয়। যা রোগীরা কোনো না কোনোভাবে দীর্ঘকাল অবহেলা করে এসেছেন। প্রাথমিক স্টেজেই সার্জারি করিয়ে নিলে আকস্মিক সর্বনাশ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আপনার ভয়ষ্কর পেটব্যথা ও বমি হচ্ছে

এটা অনেক কিছু থেকে হতে পারে। কিন্তু একজন সার্জনই এসব কেস সামলানোর পক্ষে সর্বোত্তম ব্যক্তি। এরকম অবস্থায় নানান রোগের সম্ভাবনা দেখা যায়্ যেমন গলস্টোন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, ওভারিয়ান সিস্ট, ইনটেস্টিনালের প্রতিবন্ধকতা এবং আরো অনেক কিছু।

পেটের মধ্যে কোনো অংশ শক্ত অনুভূত হওয়া

সাধারণত শরীরের কিছু অংশ যেমন-কিডনি, কোলন, পাকস্থলি থেকে জন্মানো মাংসডিন্ড যা ক্রমশ আয়তনে বড় হয়। এগুলো অধিকাংশই শল্যচিকিৎসার বিষয়। এসব কেস বহুলাংশেই ক্যানসার। আবার অনেক ক্ষেত্রে হয়তো তেমন বিপজ্জনক নয়। আসলে জানা জরুরি লাম্টটা কী?

মলের সঙ্গে রক্ত পড়া

সাধারণ রোগ নির্ণয়ে পাওয় যায় পাইলস। কিন্তু এটা কখনো রেক্টাল বা কোলন ক্যানসার বা পলিপও হতে পারে।

খাদ্য গলায় বা বুকে আটকে যাচ্ছে বমি হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে

কারণ খাদ্যনালী সষ্কুচিত হয়ে যাওয়া। ম্যালিগন্যান্টের সম্ভাবনা থাকে। ধূমপায়ীরা  সাবধান।

আপনার জনডিস হয়েছে, মল হচ্ছে চিজের মতো, ত্বক চুলকোচ্ছে

এটা হতে পারে পিত্তনালিতে পাথরের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি। অথবা ক্যানসার সংক্রান্ত অঞ্চলে আগের অস্ত্রোপচারের ফলে জায়গাটা সষ্কুচিত হওয়া।

নাভি বা পেটের চারপাশে ব্যথা, ডান দিকে সরে যাচ্ছে

এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে।

পাকস্থলি ফুলে উঠেছে, খুব বমি হচ্ছে

অনেক কিছুই হবার সম্ভাবনা। একজন অভিজ্ঞ সার্জনই দ্রুত রোগ নির্ণয় করে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারেন।

ওপরের দশটা উপসর্গই সব নয়। আরো অনেক উপসর্গই আপনাদের একজন সার্জেনের কাছে ছুটিয়ে নিয়ে আসে।

কখনো কখনো দেখা যায় অস্ত্রোপচারের দেরি। কারণ কী? না, রোগীরা হয়তো এমন অনভিজ্ঞ, অপারদর্শী সার্জনের কাছে গেছেন, যিনি সমস্যার উৎস খুজতে তথা রোগ নির্ণয়ে বেশি খানিকটা সময় নিয়ে ফেলেছেন। ঠিক এরকমই আরেকটি ভুল হল, সাধারণ জ্বর-জ্বালায় অযথা একজন সার্জেনের দ্বারস্থ হওয়া। এসব একজন জেনারেল ডাক্তার ভালোই সামলাতে পারেন। অন্যভাবে বলি, রোগীর একটা দায়িত্ব থেকে যায় সঠিক চিকিৎসক নির্বাচনের। আর তিনি সেই রোগীকে তার কোনো অভিজ্ঞ সহকর্মীর কাছে রেফার করে দেন, যিনি এই কেসে বেশি দক্ষ। ধরুন, রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হল আন্তর্জাতিক মানে। আপৎকালীন কেসের রোগনির্ণয়ও করা হয়ে গিয়েছে। তখন সার্জনরা কী করেন? দ্রুত, দক্ষ হাতে অস্ত্রোপচার করে রোগীকে স্বস্থি ও সুস্থতা প্রদান করেন, আমরা বিশ্বাস করি, ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতি পেটের অস্ত্রোপচারে রোগীর পক্ষে সর্বোত্তম এবং সব থেকে ফলপ্রসূ।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন