গলা ভালো রাখার উপায়
প্রবীর কর্মকার
2019-03-15 12:10:13
সপ্রতিভ গলার স্বর যেমন সকলেই পছন্দ করেন তেমনই আজকের দুনিয়ায় ভীষণভাবে প্রয়োজনও। গলার স্বরই বুঝিয়ে দেয় একজনের আত্মবিশ্বাস ও ইচ্ছা। তাই গলার স্বরের সমস্যা শুধু কথার স্পষ্টতাতেই সমস্যার সৃষ্টি করে না, মানসিক শান্তিতেও বিঘ্ন ঘটায়। অতিরিক্ত কথা বলার জন্য স্বর ভেঙে যাওয়া,গান গাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা, একজন পূর্ণবয়ষ্ক পুরুষের গলার স্বর মহিলার স্বরের মতো, আবার একজন পূর্ণবয়ষ্ক মহিলার গলার স্বর একজন পুরুষের মতো, বা বেশিক্ষণ কথা বললে গলা ধরে যাওয়া, এগুলো সবই আমাদের গলার স্বরের সমস্যা।
কী কী কারণে সমস্যা দেখা যায়
- স্বর জনিত সমস্যা মূলত তিন ধরনের কারণের জন্য দেখা দিতে পারে, যেমন---
- শারীরিক
- মানসিক
- পরিবেশ সম্পর্কিত।
- অতিরিক্ত জোরে কথা বলা বা ফিসফিস করে বলা, দুটোই গলার স্বর নষ্ট করে দেয়।
- মাত্রাতিরিক্ত কথা বলার জন্যও গলার স্বর ভেঙে যায়। যেমন স্কুল শিক্ষক, হকার, গান করেন যারা। এক কথায় যাদের খুব চিৎকার করতে হয়।
- অতিরিক্ত কম জল খাওয়া দরুন গলা নষ্ট হতে পারে।
- ধূমপান ও মদ্যপান গলার স্বর নষ্টের অন্যতম কারণ।
- অসময়ে খাওয়া বা অতিরিক্ত ভাজা মশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটি হয় যা গলার অনেক ক্ষতি করে।
- নার্ভজনিত সমস্যা বা রোগ থাকার জন্যও গলার স্বরে সমস্যা দেখা দেয়।
- হরমোনজনিত সমস্যা থাকার দরুনও এই সমস্যা হতে পারে।
লক্ষণ কী কী
- গলার স্বরের পরিবর্তন।
- বেশিক্ষণ কথা বললেই
গলা ধরে যাওয়া
কথা বলার সময় বার বার শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। - গান করার সময় গলা ভেঙে যাওয়া, বিশেষত উচ্চ স্কেলে।
- সকালে গলা ভালো থাকলেও দিনের শেষে গলার স্বর খারাপ হয়ে যাওয়া।
- গলার জোর দিয়ে কথা বলতে হয়।
- কথা বলার সময় গলার পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া।
গলা ভালো রাখার উপায় কী
অতিরিক্ত কথা বলার প্রয়োজন থাকলে নিম্ন খিত কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে—
- বেশি করে জল খাওয়া উচিত যাতে গলার শুকনো ভাব কম থাকে।
- প্রয়োজনের বাইরে গলাকে যথেষ্ট বিশ্রাম দেওয়া।
- খুব জোরে চিৎকার-চেঁচামেচ না করা।
- ধূমপান না করা।
- চা বা কফি জাতীয় পানীয় কম খাওয়া।
- বারবার গলা ঝাড়া গলার অনেক ক্ষতি করে, তাই গলা ঝাড়ার বদভ্যাস ত্যাগ করা।
- বেশিক্ষণ ফিসফিস করে কথা না বল।
- তেল-মশলা জাতীয় খাবার কম খাওয়া যাতে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা কমে।
সমস্যা বেড়ে গেলে চিকিৎসা কী
অনেক ক্ষেত্রেই গলার সমস্যার জন্য মেডিকেল ট্রিটমেন্ট-এর সাথে সাথে ভয়েস থেরাপিও প্রয়োজন হয়। একজন স্পীচ থেরাপিস্ট প্রয়োজন অনুযায়ী গলার এক্সারসাইজ করিয়ে গলার স্বর ঠিক করেন।
সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন