×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

রোগী চাইলে তবেই কমবে সুগার

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-24 12:00:54

সমীক্ষা বলছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় উনষাট কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাই বিশ্বে জুড়েই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। ডায়াবেটিস এখন সাধারণ রোগের পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাই বলে তো আর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করে, তাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবন যাপন করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগ আসলে কী সহজভাবে ডায়াবেটিস রোগকে ব্যাখ্যা করতে হলে বলতে হবে, রক্ত যখন গ্লুকোজ বা শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তখন তাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। রক্তে এই গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পরিমাণটা কিন্তু বেড়েই যেতে থাকে ক্রমাগত। মানুষ জন্মগ্রহণের সময় প্যাংক্রিয়াস নিয়ে জন্মায়। এই প্যাংক্রিয়াসের অন্যতম কাজ হল ইনসুলিন নিঃসরন করা। আমরা যখন খাবার খাই তখন এই প্যাংক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন বের ডায়াবেটিসের প্রথম চিকিৎসা হল সচেনতা বাড়ানো। আমি আমার সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করব, এই মানসিকতা যদি কোনো ডায়াবেটিস রোগীর থাকে তবেই সে সুস্থ থাকবে। হয়ে তা শরীরের রক্তে এবং বিভিন্ন কোষে পৌছে যায়। এর ফলে শরীরে এ.টি.পি বা শক্তি সঞ্চয় হয়। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে, এটা হল স্বাভাবিক নিয়ম। মানুষ এতে সুস্থ থাকে। কিন্তু য়খনই প্যাংক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ কমে যায় তখনই রক্তে শর্করার পরিমাণ যায় বেড়ে। আর ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। ডায়াবেটিসের কারণ বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এছাড়া বংশগত কারণে, জিনগত কারণে, স্থ’লতা বৃদ্ধি পেলে (অতিরিক্ত খেলে), অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তা ছাড়া আগে আমরা হাঁটাচলা করতাম কিন্তু এখন গাড়ি ছাড়া এক পা-ও এগোই না। এই যে শারীরিক কার্যকারিতা কমে গেছে মানুষের, এর ফলেও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তা ছাড়া পিংজা, বার্গার, হাই ওয়েল কন্টেনিং ফুড অর্থাৎ সব সময় জাঙ্ক ফুড খেলেও ডায়াবেটিস হতে পারে। কী কী উপসর্গ দেখা যায় সাধারণভাবে ডাক্তারি পরিভাষায় সুগার, প্রেসার এবং কিডনির রোগকে আমরা সাইলেন্ট কিলার বলে থাকি। প্রাথমিক অবস্থায় কোনো উপসর্গ আমাদেও চোখে ধরা পড়ে না। যখন ডায়াবেটিসের মাত্রা চারশো বা পাঁচশো-তে পৌছয় তখন কিছু কিছু উপসর্গ দেখা যায়। সেই কারণেই আমার ডাক্তাররা বলে থাকি, মাঝে মাঝে শরীরের রুটিন চেক-আপ করান। যেহেতু এগুলো শরীরে বাসা বাঁধলে আপনি বাইরে থেকে বুঝতে পারবে না, তাই পরীক্ষা করিয়ে জেনে নিন আপনার সুগোর আছে কি না। তবে উপসর্গ হিসাবে সাধারণত যা দেখা দিতে পারে সেগুলো হল খিদে বেশি পেতে পারে, বারবার প্রসাব হতে পারে, ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়, কোনো ছোটখাটো কারণে শরীরে সংক্রমণ হতে পারে। টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস কাদের হয় এই ধরনের ডায়াবেটিস মূলত শিশুদের ক্ষেত্রে হয়। কম বয়সে প্যাংক্রিয়াস একেবারে বিকল হয়ে পড়ে। ফলে বাইরে থেকে ইনসুলিন দিতে হয়। টাইপ-টু ডায়াবেটিস কাদের হয় এই ডায়াবেটিস প্রাপ্ত বয়স্কদের হয়। অর্থাৎ আঠারো বছরের পর যাদের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। চিকিৎসা ডায়াবেটিসের প্রথম চিকিৎসা হল সচেতনতা বাড়ানো। আমি আমার সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করব, এই মানসিকতা যদি কোনো ডায়াবেটিস রোগীর থাকে তবেই সে সুস্থ থাকবে। ডায়াবেটিস হলে মুষরে পড়ার কোনো কারণ নেই। মনে রাখতে হবে, সুগার, প্রেসার এই ধরনের রোগগুলো মানুষের চিরকালের সঙ্গী হয়ে যাবে আপনার, এমনকী মাঝে মাঝে আপনার সঙ্গে শত্রুতাও করতে পারে বলে আপনার জানা আছে, তখন তাকে সমঝে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাই ডায়াবেটিস হোক বা না হোক, কয়েক মাস অন্তর অন্তর রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নিন ডায়াবেটিস হয়েছে কি না। যদি আপনার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন, আপনার শরীরে কী কী সমস্যা আছে। সেই সমস্যা অনুযায়ী তিনি আপনার চিকিৎসা করবেন। এক রকম সাইজের জামা যেমন সকলের গায়ে ফিট হয় না, ঠিক তেমনই সকলের জন্য একধরনের চিকিৎসা হবে না। ফলে আপনার সমস্যা বুঝে আপনার চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। ইনসুলিন কী প্যাংক্রিয়াস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে যখন ইনসুলিন নিঃসৃত হয় না, তখন বাইরে থেকে সেই ইনসুলিনের ঘাটতি পূণে করার প্রয়োজন হয়। নইলে কোষের শক্তি সঞ্চয় হবে না, শরীর ঝিমিয়ে পড়বে। এই কারণেই ইনসুলিন দেওয়া হয়। অনেকে প্রথমেই ইনসুলিন নিতে চান না। এক রকম সাইজের জামা যেমন সকলের গায়ে ফিট হয় না, ঠিক তেমনই সকলের জন্য একধরনের চিকিৎসা হবে না। ফলে আপনার সমস্যা বুঝে আপনার চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। তাদের মুখে খাওয়ার ওষুধ দেওয়া হয়। তবে প্যাংক্রিয়াস বেশি বিকল হয়ে পড়লে ইনসুলিন নিতেই হয় রোগীকে। ইনসুলিন আবার দু’রকমের হয়। ইনসুলিন অ্যাকশন এবং ইনসুলিন সিক্রিয়েশন। যে রোগীর যেটা প্রয়োজন তাকে সেটা দেওয়া হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ইনসুলিন নিতে হয় প্যাংক্রিয়াস একবারে বিকল হয়ে পড়লে, সেখান থেকে আর ইনসুলিন নিঃসরণ না হলে ইনসুলিন দিতে হবে। এটাও নির্ভর করে কোন রোগীর কি অবস্থা তার ওপর। অর্থাৎ কাউকে দিনে একবার, কাউকে দু’বার বা কাউকে তিনবার নিতে বলা হয়। অনেককে খালি পেট বা ভরা পেট নয়, যে কোনো সময় নিতে বলা হয়। কোনো কোনো রোগীকে খেতে বসার পর নিতে বলা হয়। আবার কোনো কোনো রোগীকে খাওয়ার আগে নিতে বলা হয। এটা যার শরীরের যেমন অবসস্থা সেই অনুযায়ী নিতে হয়। বাড়তি ইনসুলিন নেওয়ার সাবধানতা ইনসুলিন নিজেকেই নিতে হবে। অনেকের মধ্যে ইনসুলিন নাম শুনলেই আতঙ্ক দেখা যায়। কীভাবে নেব, লাগবে না তো ? এর জন্য ডাক্তার বা নার্স কিংবা কোনো ভলেন্টিয়ারি অর্গানাইজেশনের কাছে ইনসুলিন নেওয়ার পদ্ধতি শিখে নিতে হবে। আর আপনি সঠিকভাবে ইনসুলিন নিচ্ছেন কি না, সেটা মাঝে মাঝে তাদের কাছে দেখিয়ে জেনে নিতে হবে। অনেককে দশ ইউনিট, আবার অনেককে পনেরো ইউনিট ইনসুলি নিতে বলা হয়। যার একবার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তার এটা চিরকালের সঙ্গী হয়ে যায়। সুতরাং এই রোগ সম্পর্কে সেলফ এডুকেশন দরকার। এটা একদিনে সম্ভব নয়। ক্রমাগত এই চর্চটা চালিয়ে যেতে হবে। এই বিষয়ে বিভিন্ন লেখা পড়তে হবে, কার কী সমস্যা হয়, তার সমাধান কিভাবে সম্ভব সেগুলো জানতে হবে। ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করতে হবে। সবটাই নিজের তাগিদের ওপর নির্ভর করছে। হাইপারগ্লাইসেমিয়া কী সুগার লেভেলের যখন বেড়ে যায় তখন তাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া কী সুগার লেভেল কমে গেলে বা সুগার ফল করলে তাকে হাইপোগ্লইসেমিয়া বলা হয়। এক্ষেত্রে রোগীর অতিরিক্ত ঘাম হয়, রোগী টলমল করতে থাকে। এই উপসর্গগুলো হলে বোঝা যায় সুগার ফল হচ্ছে। সুগার ফল করলে রোগী বা তার বাড়ির লোকের প্রাথমিক কর্তব্য সঙ্গে লজেন্স, গ্লুকোজ রাখতে হবে। বাইরে বেরিয়েও এমনটা হতে পারে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীরা সঙ্গে জল, গ্লুকোজ, লজেন্স নিয়ে বের হোন। যখনই মনে হবে অসুস্থ বোধ করছেন, আগে এগুলো খেয়ে নিন। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যিনি সাবধানতা মেনে নিজে চলতে পারেন, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে পারেন, তিনি সবথেকে ভালো ডায়াবেটিস রোগী। ফাস্টিং আর পিপি-তে নর্মাল লেভেল কত থাকা উচিত সাধারণত ফাস্টিং একশোর নীচে থাকলে এবং পিপি একশো চল্লিশের নীচে থাকলে নর্মাল। একশো ছাব্বিশ-এর ওপর ফাস্টিং আর দু’শো-র ওপরে পিপি থাকলে ডায়াবেটিসের ওষুধ চালু করতে হয়। ডায়াবেটিসের সঙ্গে মহিলাদের মেনস্ট্রুয়েশনের যোগ আছে কি সাধারণত এর সঙ্গে ডায়াবেটিসের যোগ নেই। তবে এখন অনেক মহিলার পিসিওএস অর্থাৎ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম দেখা যাচ্ছে। যাদের মাসিক অনিয়মিত তারা কোনো গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যে বিষয়টা প্রতি মাসে স্বাভাবিক নিয়মে নিয়মিত হওয়ার কথা, সেটা যখন অনিয়মিত ভাবে হয় তখন সেটা চিন্তার। এক্ষেত্রে দেখা যায় ওভারিতে একাধিক সিস্ট আছে। তখন সেটা অপারেশন করাতে হয় বা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। এটা অবহেলা করলে সুগার হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীরা সঙ্গে জল, গ্লুকোজ, লজেন্স নিয়ে বের হোন। যখনই মনে হবে অসুস্থ বোধ করছেন, আগে এগুলো খেয়ে নিন। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যিনি সাবধানতা মেনে নিজে চলতে পারেন, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে পারেন, তিনি সবথেকে ভালো ডায়াবেটিস রোগী। ডায়াবেটিক গর্ভবতী মায়েদের সাবধানতা অবশ্যয় বিশেষ সর্তকতা নিতে হবে গর্ভবতী মাকে। যেহেতু তার প্যাংক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হচ্ছে না, তাই তার বাচ্চাও তা পাচ্ছে না। সুতরাং এই সময় নিয়ম করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ইনসুলিন নিতে হবে। সেলফ মনিটরিং করতে হবে। শুধু বাচ্চা গর্ভে থাকা অবস্থায় নয়, বাচ্চা যতদিন মায়ের দুধ খাবে ততদিন এই মনিটরিং করে যেতে হবে। গ্লকোমিটার দিয়ে নিয়মিত নিজের সুগার লেভেল মাপতে হবে। শিশুর কোনো ক্ষতি হয় কি এর ফলে গর্ভজাত শিশুর কোনো ক্ষতি হয় না। ক্ষতি যাতে না হয় তার জন্যই তো এই ইনসুলিন মায়ের শরীরে দেওয়া হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েট চার্ট কেমন হওয়া দরকার কোনো নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট হয় না ডায়াবেটিস রোগীদের। কারণ একজন গৃহবধু, একজন কর্পোরেট অফিসের কর্মচারি আর যিনি আজ দিল্ল, কাল মুম্বাই ঘুরে কাজ করছেন, তাদের যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে তাদের সকলের একই ডায়েট চার্ট হতে পারে না। রোগীর রোগ আর কাজ বুঝেই আলাদা-আলাদা ডায়েট চার্ট বানাতে হবে। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ।