×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

ধূমপায়ীদের হার্ট অ্যাটাক হলে বিপদ বাড়ে বহুগুন

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-24 12:12:21

আমাদের হৃদপিন্ড একটি পাম্প, যা ভ্রূণের ২১ দিন বয়স থেকে লাব-ডুব শব্দে রক্ত পাম্প করা শুরু করে, চলতে থাকে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। শরীরের প্রতিটি কোষে কোষে পৌঁছে দেয় অক্সিজেন যুক্ত রক্ত। আর এই অবিরত পাম্প করার জন্য মায়োকার্ডিয়াম নামক পেশি দিয়ে তৈরি হৃদপিন্ডের প্রয়োজন অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত। হার্টের পেশিকে বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় যে ধমনী ডাক্তারি পরিভাষায় তাকে করোনারি আর্টারি বলা হয়। বিভিন্ন কারণে অ্যাথেরোস্কে¬রোসিস অর্থাৎ ধমনীর ভেতরে কোলেস্টেরলের আস্তরণ জমে রক্ত চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে যায়। অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের অভাবে হার্টেও পেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন করোনির আর্টারি ডিজিজ বা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা চলতি কথায় হার্টের অসুখ হয়। হার্টেও বিভিন্ন ধরনের অসুখ হতে পারে। কিন্তু গোড়াতেই যদি হার্টের যতœ নেওয়া যায় তাহলে হার্টের সমস্যা কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব। হার্টের অসুখের রিস্ক ফ্যাক্টর

  • ছেলেদের হার্টের অসুখের ঝুঁকি মেয়েদের তুলনায় কিছুটা বেশি। স্ত্রী-হরমোন ইস্ট্রোজেন মেয়েদের হৃৎপিন্ডকে সুরক্ষিত রাখে। তাই পুরুষদের ক্ষেত্রে তা না থাকায় হার্টের অসুখের একটা ঝুঁকি থাকে।
  • পরিবারে কারও হার্টের অসুখের ইতিহাস থাকলে হার্টেও অসুখের সম্ভবনা অন্যদের থেকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বেশ কয়েকগুণ বেশি থাকে। তাই ছোটবেলা থেকেই লাইফ-স্টাইল মডিফিকেশন করা উচিত।
  • টাইপ-এ পার্সোনালিটির মানুষদের মধ্যে হার্টের অসুখের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। টাইপ-এ পার্সোনালিটি অর্থাৎ যারা অত্যন্ত উচ্চাকাঙক্ষী, পড়াশুনা, কেরিয়ার সব ব্যাপারেই সেরা হতে চান, কাজ নিয়ে খুঁতখুঁতানি থাকে, এদের জীবনের স্ট্রেস ও টেনশন বেশি। তাই এদের হৃদরোগের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • ধুমপান শুধুই যে ফসফুসের ক্যানসার ডেকে আনে তাই নয়, হাট অ্যাটাকের একটা বড় কারণ ধূমপান।
  • ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই নিয়মিত চেক আপের পাশাপাশি সুগার নিয়ন্ত্রণও করা দরকার।
  • হার্টের অসুখের আর একটা রিস্ক ফ্যাক্টর কর্মবিমুখ লাইফ স্টাইল। অর্থাৎ দিনরাত কম্পিউটারে কাজ বা বসে টিভি দেখা, গাড়িতে বা অটোতে করে ঘোড়াঘুরি, হাঁটাচলা না করা, সর্বোপরি কায়িক পরিশ্রমের অভাব।
  • অতিরিক্ত কাজের চাপ, মনের ওপর চাপ, স্ট্রেস, টেনশন, অ্যাংজাইটি হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • এই রোগের আর একটি রিস্ক ফ্যাক্টর হল ওবেসিটি। বাড়তি ওজন বিশেষ করে ওবেসিটি হার্টের অসুখ ডেকে আনে।
এছাড়া বেশি তেল, ঘি, মশলা দেওয়া খাবার খেলেও হার্টের সমস্যা হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক কেন হয় হার্টের রক্তবাহী ধমনীতে চর্বির প্রলেপ জমে রক্ত চলাচলের পথ সরু হয়ে গেলে হার্টের পেশি প্রয়োজনীয় রক্ত পায় না। এরই মধ্যে আচমকা জমাট বাধাঁ রক্তের ডেলা ওই সংকীর্ণ পথে যেতে গিয়ে আটকে যায়। তখন হার্টের ওই অংশের পেশিতে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকতে ধুঁকতে হার্টের পেশি মরে যায়। এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনর্ফাকশন বা হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্টের তিনটি মেজর আর্টারি ও তাদের শাখা-প্রশাখাতে বøকেজ হলে হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক কখন মারাত্মক কোন আর্টারি বøক হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে হার্ট অ্যাটাক কতটা মারাত্মক। হৃদপিন্ডের রক্তবাহী প্রধান ধমনী বøক হলে তা ভয়ানক আকার নেয়। হার্ট অ্যাটাকের ঘন্টা খানেকের মধ্যে বøকেজ দূর করতে পারলে হার্টের পেশি বাঁচানো যায়। এক ঘন্টায় বেশি রক্ত সরবরাহ বন্ধ থাকলে হার্টের পেশি মরে যায়। তাই হার্ট অ্যাটাকের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাইপাস সার্জারি করা প্রয়োজন। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বেশিরভাগ মানুষের ধারণা একমাত্র বুকের বাঁদিকে ব্যথা হলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। সব সময় কিন্তু তা হয় না। অনেক সময় চোয়ালে বা কাঁধ থেকে হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে থাকে বুকে ভারী পাথর চাপিয়ে দেওয়ার অনুভূতি। শ^াস বন্ধ হয়ে আসে, বাতাসের অভাবে ছটফট করতে থাকে। দরদরিয়ে ঘাম হয়, বমি বমি ভাব থাকে, বমিও হতে পারে। রোগী ক্রমশ নেতিয়ে পড়ে, নাড়ির গতি হেরফের হয়। সিভিয়ার হার্ট  অ্যাটাক হলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা একমাত্র বুকের বাঁদিকে ব্যথা হলেই হার্ট অ্যাটাক হয়।সব সময় কিন্তু তা হয় না। অনেক সময় চোয়ালে বা কাঁধ থেকে হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে থাকে বুকে ভারী পাথর চাপিয়ে দেওয়ার অনুভূতি। ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা উচিত। অন্যান্য দেশে হার্ট অ্যাটাকের গড় বয়স ৬০ বছর। আমাদের দেশে ৪০ বছর বা তারও কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন ২৭-২৮ বছরের তরুণরা।  ডায়াবেটিস,স্থূলতা ও ধুমপান সহ স্ট্রেস, সেকেন্ডারি লাইফ  স্টাইল এবং ভুলভাল খাদ্যাভাস এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। শুধুমাত্র ধুমপানের নেশায় প্রত্যেক বছর আমাদের দেশে মারা যান ৮ থেকে ১০ লক্ষ মানুষ। এই বিপুল সংখ্যক ভারতবাসী মৃত্যুর কারণে কী জানেন? তামাক আর তামাকের বিষ ধোঁয়া।  হাঁ, সিগারেট আর বিড়ির নেশায় প্রত্যেক বছর ৮ লক্ষ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। আচমকা হার্ট অ্যাটাকের একটা বড় কারণ সিগারেট আর বিড়ির নেশা।সব থেকে বড় কথা ধুমপায়ীদের ক্ষেত্রে সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাক দ্রæত সেরা চিকিৎসা দিলেও সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দেওয়া খুব মুশকিল। গবেষকরা জানিয়েছন, ধুমপায়ীদের প্রতি দু’জনের মধ্যে একজন তার নির্ধারিত আয়ুর চোদ্দ বছর আগেই মারা যান। বাড়তি ওজন ঝড়িয়ে হার্ট ভালো রাখুন বাড়তি ওজন হার্টের অসুখের অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর। গবেষকরা জানিয়েছেন, কোল্ড ড্রিস্কস্ বা চিপস্ খেতে খেতে টিভি দেখলে, কম্পিউটারে গেমস খেললে শরীরের ওজন অনেক বেড়ে যায়। যা হার্টের পক্ষে খারাপ। তাই ওজন স্বাভাবিক রাখতে গা ঘামিয়ে এক্সারসাইজ করুন। হার্ট ভালো রাখার ডায়েট যাই খান পরিমাণে কম খেতে হবে। পেট কিছুটা খালি রেখে খাওয়া ভালো। রোজকার ডায়েটে সবজি, ভাত, রুটিসহ নানা ধরনের ডাল রাখুন। সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, ঢ্যাঁড়শ, লাউ, ক্যাপসিকাম, চালকুমড়ো, বেগুন, টমেটো খান। প্রতিদিন মরশুমি ফল খান। মাছ, মাংস, ডিমও খান। বেশি ভাজাভুজি হার্টের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ।