গুটখা, সিগারেট ও মদ্যপানে মুখের ক্যানসার
হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-24 12:35:47
ওরাল ক্যানসার অর্থাৎ মুখের ক্যানসার আজকাল বহুলাংশে বেড়ে গেছে। কীভাবে বুঝবেন আপনি এই ক্যানসারে আক্রান্ত বা কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন, তাই নিয়েই আজকের আলোচনা। ক্যানসার রোগের সমস্যা দিনকে দিন বাড়ছে। যার কারণ হিসাবে দায়ী করা হচ্ছে অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান এবং আমাদের খাদ্যাভ্যাসকে । চিকিৎসকেরা সব সময় পরামর্শ দিচ্ছেন নিয়মিত চেকআপারে মধ্যে থাকুন। ক্যানসারের বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে। সেগুলো ন্যূনতাম দেখা গেলই সতর্ক হোন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুস্থ জীবনে অতিবাহিত করুন। নিয়মিত সবুজ শাক- সবজি কান। রেগুলার একটা হেলদি ডায়েট মেনটন করুন। ক্যানসার যাতে আপনাকে গ্রাস করতে না পারে তার জন্য আগে থেকে সাবধান হোন। ওরাল ক্যানসার আসলে কী আমাদের শরীরের কোষগুলো যখন শুকিয়ে যায় বা মৃতপ্রায় হয়ে যায়, তখন ক্যানসার বাসা বাধেঁ শরীরে। মুখের কোষগুলো মরে গেলে এই ধরনের ক্যানসার হয়। ওরাল ক্যানসার ঠোঁট, চিক, গলা এবং মুখের ভেতরের অংশ হতে পারে। উপসর্গ এই সময় মুখের ভেতেরটা শুকিয়ে যায় ক্রমশ। এছাড়া মুখের মধ্যে বেশি পরিমাণে লালা বের হয়, মুখের ভেতরটা সাদা অথবা লাল রঙের হয়ে যায়। কখনও কখনও মুখ থেকে রক্তও পড়ে। গলা, মুখের ভেতরটা জ্বালা করে। দু,সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত এমনটা হতে থাকলে বুঝতে হবে সমস্যা গুরুতর। কারোর ক্ষেত্রে কানে ব্যথা হয়, গলার স্বর বদলে যায়, দাঁত নড়ে যায়, খাবার চিবোতে অসুবিধে হয়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ওজন কমে যায় ইত্যাদি উপসর্গগুলো দেখা যায় ওরাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে ক্যানসার নির্মূল হওয়া সম্ভব প্রথমাবস্থায় যদি রোগী সঠিক চিকিৎসা করান, তাহলে অনেকক্ষেত্রে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। প্রচলিত বিশ্বাস, ক্যানসারের কোনো ওষুধ এখনও আবিস্কার হয়নি। এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো মেনে প্রথমে থেকে চিকিৎসা করলে ঠিক হয়ে যান রোগী। প্রতি বছর এই ধরনের ক্যানসারে মোটামোটি কতজন আক্রান্ত হন সারা বিশ্বেপ্রায় চল্লিশ হাজার রোগী প্রতি বছর আক্রান্ত হন। যার মধে মহিলাদের সংখ্যা পঞ্চাশ শতাংশ। এই ক্যানসারের কারণ সিগারেট, পাইপ সিগারেট যারা নিয়মিত খান তাদেরই বেশি এই ধরনের ক্যানসার হয়। মদ্যপান করলেও এই ক্যানসার হতে পারে। এছাড়া যাদের বংশে কারোর ক্যানসার আছে তাদেরও হতে পারে। তবে যারা ধূমপান, মদ্যপান করেন না তাদেরও হয় ওরাল ক্যানসার। যারা কম বয়সে রোদে ঘুরে ঘুরেকাজ করেন তাদেরও এই ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ওরাল ক্যানসার হলে মুখের অবস্থটা ঠিক কি রকম হয় মুখের ভেতরের মাংসগুলো লাল হয়ে যায। অনেকক্ষেত্রে ক্রমাগত রক্ত পড়তে থাকে। যাই খাওয়া হয় বমি হয়ে যায়। খাবার চিবোনা যায় না। যেকোনো খাবার খেলেই মুখের ভেতরে জ্বালা করে। মুখের ভেতরের মাংসপিন্ড বেড়ে গিয়ে খুব খারাপ অবস্থা হয়। অনেকক্ষেত্রে মুখ ফুলে যায়। কীভাবে এই ক্যানসারের চিকিৎসা করা হয় প্রথমে ক্যানসার হয়েছে কি না সেটা বায়োপসি করে দেখা হয়। তারপর দাঁতের ডাক্তার দাঁত পরীক্ষা করেন। তারপর গলা, মাথা, মুখও পরীক্ষা করা হয়। এই সময় রোগীকে লোকাল বায়োপসি রিপোর্ট থেকে যদি প্রমাণ হয় যে মুখে ক্যানসার হয়েছে, তাহলে কেমোথেরাপি অথবা রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হয়। যার ক্ষেত্রে যেটা দরকার তাকে সেটা দেওয়া হয়। এই প্রসেসটা অনেকদিন ধরে নিয়ম করে চলিয়ে যেতে হয়। অ্যানাস্থেশিয়া করে পরীক্ষা হয়। কারণ পরীক্ষাগুলো নল ঢুকিয়ে করতে হয়। এরপর বায়োপসি রিপোর্ট থেকে যদি প্রমাণ হয় যে মুখে ক্যানসার হয়েছে, তাহলে কেমোথেরাপি অথবা রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হয়। যার ক্ষেত্রে যেটা দরকার তাকে সেটা দেওয়া হয়।এই প্রসেসটা অনেকদিন ধরে নিয়ম করে চলিয়ে যেতে হয়। ওরাল ক্যানসার ধরা পরার পর কী কী সাবধানতা নেওয়া দরকার এই সময় একেবারে ধূমপান বা মদ্যপান করা চলবে না। এছাড়া রোদ থেকে নিজেকে যতটা দূরে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। তেমন কোনো খাবারের সাবধানতা মাসতে হয় না। তবে তেল, ঘি, ঝাল, মশলা যতটা সম্ভব না খাওয়ই ভালো। অনেক সময় তো মুখের অপারেশনও করতে হয় হ্যাঁ, সেটা নির্ভর করে মুখের অবস্থা কেমন আছে তার ওপর। নিয়মিত ওষুধ কতগুলো করে খেতে হয় সেটা ঠিকভাবে বলা যায় না। এক এক জনের এক এক রকম সমস্যা থাকে। শুধুই তো ক্যানসার হয় না, তার সঙ্গে অন্য উপসর্গও অনেক দেখা যায়। সেগুলোর জন্যও সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন