×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

এক মাথা চুল এনে দিতে পারে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যানট

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-24 12:47:05

একজন মানুষের দৈনিক চার-পঁচটা থেকে শুরু করে আশি-নব্বইটি পর্যন্ত চুল পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই চুল পড়লে মাথার বেশ খানিকটা অঞ্চল ফাঁকা হয়ে যায়, দেখতে খারাপ লাগে। এই সব ক্ষেত্রে অতি সহজে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে পড়ে যাওয়া চুলকে অনেকটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট আসলে একটি সার্জিক্যাল পদ্ধতি। প্রধানত মাথার পেছন থেকে হেয়ার ফলিকগুলো তোলা হয়। এরপর সেগুলোকে মাথার টাক পড়া অংশে প্রতিস্থাপন করা হয়। যে অংশ থেকে তোলা হয় তাকে বলে ডোনার সাইট। যে জায়গায় এই হেয়ার ফলিকগুলো প্রতিস্থাপন করা হয় তাকে বলে রেসিপয়েন্ট সাইট। কারা এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন সম্প্রতিক কালের সাধারণ কসমেটিক সমস্যা হল মাথার চুল পড়ে যাওয়া। এটা সব বয়সেই হয়। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই এই সমস্যায় ভোগেন। তাই মহিলা, পুরুষ বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। মাথার চুলের বাড়বাড়ন্ত তিনটে ফেজে থাকে।  অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন এবং টেলোজেন। সারাজীবন এটাই চুলের জীবনচক্র। আমাদের ছোটবেলায় যে চুল থাকে বড় বয়সে সেটা থাকে না।  চুল পড়ে যাওয়ার পরে চুল যদি না গজায় তখনই সমস্যা দেখা দেয়। একজন মানুষের দৈনিক চার-পঁচটা থেকে শুরু কওে আশি-নব্বইটি পর্যন্ত চুল পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই চুল পড়লে মাথার বেশ খানিকটা অঞ্চল ফাঁকা হয়ে যায়, দেখতে খারাপ লাগে। এই সব ক্ষেত্রে অতি সহজে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে পড়ে যাওয়া চুলকে অনেকটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। চুল পড়ে কেন প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে ঘন ঘন জলের পরিবর্তন, শরীরে আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ঘাটতি, মহিলাদের মেন্সট্রুয়েশন এবং প্রেগন্যান্সির সময়, প্রি-মেনোপজাল পিরিয়ডে চুল পড়তে দেখা যায়। থাইরয়েড, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগে, কেমোথেরাপি নিলে চুল পড়ে যায়। টেনশন কমাবার ওষধ, কেমোথেরাপি ড্রাগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে চুল ওঠে, শরীরে হরমোনের ভারসম্যের ঘাটতি, ছেলেদের ক্ষেত্রে জেনেটিক কারণ অনেকটা দায়ী থাকে। এছাড়া অ্যালোপেশিয়া বলে একটা অসুখ আছে যার কারণে মাথার ছোট ছোট অংশের চুল ঝরে গিয়ে টাক পড়ে। হেয়ার স্পা, স্ট্রেটনিংয়েও চুলের ক্ষতি হয়। ছেলে ও মেয়ের চুল পড়ার ধরন ছেলেদের সাধারণত কপালের দু’পাশে চুল উঠে টাক পড়ে। একে বলে মেল প্যাটার্ন। মেয়েদের কপালের সামনের দিকে এবং সিথিঁতে টাক পড়ে। বর্তমানে জীবনযাত্রার ধরনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তার প্রভাব চুলেও পড়েছে। ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার সুবিধে ট্রান্সপ্ল্যান্টের সুবিধে হল এই চুল স্থায়ী। এই চুলের ঘনত্ব খুবই ভালো হয়। চুল বাড়ে, কাটা যায়, রোজাকার মতো শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়, মাথা ন্যাড়া করলেও পুনরায় চুল গজায়। এখন শুধু মাথায়ই নয়, ভ্র, গোঁফ, দাড়িতেও হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়, জুলপিও করা যায়। অপারেশনের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্লাড টেস্ট, ই.সি.জি, টি.সি., ডি.সি., হিমোগ্লোবিন, টি-৩, টি-৪, টি.এস.এইচ পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। এছাড়া অপারেশনের আগে আরো যে সব পরীক্ষা দরকার হয়, সেগুলোও করতে হয়। অপারেশনের পরে জটিলতা না, সেরকম কিছু নয়। লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করে চুল প্রতিস্থাপন করা হয়। এত রোগীর মাথা এক বা দু’দিনের জন্য সামান্য ভার থাকে। অপারেশনরে কতদিন পরে কাজে যোগ দেওয়া যায় অপারেশনের দু’দিন পরেই কাজে যোগ দেওয়া যায়। স্নান করা যায়। পনেরো দিন পরে সেলাই কাটাতে যেতে হয়। অপারেশনে কত সময় লাগে মাথার কতটা অংশে ট্রান্সপ্যান্ট করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে সময়। মোটামোটি সময় লাগে চার থেকে ছ’ঘন্টা। রোগীর ভর্তি থাকতে হয় না। কতদিনের মধ্যে ট্রান্সপ্ল্যান্টের ফল বোঝা যায় যে চুল লাগানো হয় তার একটা অংশ দেড় মাসের মধ্যে পড়ে যায়, একে বলে টেলোজেন লস, যা পরবর্তী দেড় মাসে বেরিয়ে যায়। কারণ শাধু চুলটা পড়ে যায়, রুট থেকে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে চুল পড়ে যাওয়ার রেট দশ থেকে পনেরো শতাংশ। মেয়েদের তিরিশ শতাংশ। হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার মাস তিনিকের মধ্যে মাথাটা বেশি ফাঁকা লাগতে পারে। কিন্তু পরবর্তী ছ’মাসের সধ্যে চুল ঘন হয়ে বেরিয়ে যাবে। কাদের ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যাবে সাধারণভাবে কুড়ি থেকে একুশ বছরের ওপর যে কারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যায়। এই বয়সের পর কোনো উর্ধ্বসীমা নেই। যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হার্টে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হয়েছে, ভালভের সমস্যা আছে এবং নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে, সেক্ষেত্রে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার সমস্যা আছে। এছাড়া বাকি ক্ষেত্রে  হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার কোনো অসুবিধা নেই। আনুমানিক খরচ কতটা অংশে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হবে তার ওপর নির্ভর করে খরচ। খরচ যাই হোক আপনার মাথা ভর্তি চুলের কাছে তা খুবই সামাস্য মনে হবে। কারণ মাথা জোড়া টাক  নিয়ে আপনাকে কারো কাছে সাথা লুকাবার বা উইগ পরার দরকার হবে না।