×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

কীভাবে করবেন হাইপ্রেসারের মোকাবিলা

ডাঃ আশিষ মিত্র
2019-04-15 15:31:01

আমাদের শরীরে হৃৎপিন্ড তথা হার্ট সারা দেহে রক্ত সরবরাহ করে অ্যাওর্টা নামক ধমনীর মাধ্যমে। হার্ট পাম্প করার মতো একটি প্রতিক্রিয়ায় এই রক্ত সরবরহা করে থাকে। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের সময় তৈরি হওয়া চাপকে বলে ব্লাডপ্রেসার, সংক্ষেপে বিপি। আদর্শ ব্লাডপ্রেসারের ক্ষেত্রে  ওপরের প্রেসার অর্থাৎ সিস্টোলিক থাকে ১২০-এর নীচে ও নীচেরটা অর্থাৎ ডায়াস্টোলিক থাকে ৮০-এর নীচে। এখন সিস্টোলিক যদি ১২০-১৩০ আর ডায়াস্টোলিক ৮০-৮৪-এর মধ্যে থাকে তাকে বলে স্বাভাবিক ব্লাডপ্রেসার। কিন্তু যখন এই ব্লাডপ্রেসার আরও বাড়তে থাকে, তখন সেই অবস্থা হাইপারটেনশন। অর্থাৎ স্বাভাবিকের থেকে হাই ব্লাডপ্রেসারই ডাক্তারি পরিভাষায় হাইপারটেনশন। এর কয়েকটি ভাগ আছে---

  • প্রি-হাইপারটেনশন—অর্থাৎ রোগীর ব্লাডপ্রেসার এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যেখানে হাইপারটেনশন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা, এক্ষেত্রে সিস্টোলিক ১৩০-১৩৯ ও ডায়াস্টোলিক ৮৫-৮৯ এর মধ্যে থাকে।
  • স্টেজ ওয়ান—এটি মাইল্ড হাইপারটেনশন, সিস্টোলিক ১৪০-১৪৯ ও ডায়াস্টোলিক ৯০-৯৯-এর মধ্যে থাকে।
  • স্টেজ টু—মডারেট হাইপারটেনশন, সিস্টোলিক ১৬০-১৬৯ ও ডায়াস্টোলিক ১০০-১০৯ এর মধ্যে থাকে।
  • স্টেজ থ্রি- এটি সবচেয়ে মারাত্মক। যখন সিস্টোলিক ১৮০-এর এবং ডায়াস্টোলিক ১১০-এর ওপর থাকে তখন তাকে বলে সিভিয়ার হাইপারটেনশন। এই রোগীরা রিস্ক জোনের মধ্যে আছেন।

অনেকের আবার শুধু সিস্টোলিক বাড়ে, ডায়াস্টোলিক থাকে ৯০-এর নীচে, একে বলে আইসোলেটেড সিস্টোলিক হাইপারটেনশন। সিস্টোলিক এক্ষেত্রে ১৫০-১৬০ পর্যন্ত চলে যায়। সাধারণত বয়স্কদের এই সমস্যা হয়।

স্টেজিংয়ের ব্যাখ্যা

অনেকের হয়তো ব্লাপপ্রেসার রয়েছে ওপরে ১৭৬, নীচে ৯৪। তাহলে সে কোন স্টেজে পড়বে? সেক্ষেত্রে যে প্রেসারটা বেশি থাকবে সেটা অনুযায়ীই গ্রুপ নির্বাচন করা হবে। সিস্টোলিক ১৭৬ মডারেট, ডায়াস্টোলিক ৯৪ মানে মাইল্ড। অর্থাৎ রোগী স্টেজ টু-তে রয়েছেন।

ব্লাডপ্রেসার মাপার পদ্ধতি

  • রোগী চেম্বারে এসে বসার পাঁচ মিনিট পর প্রেসার মাপতে হবে।
  • অনেকে ডাক্তারের চেম্বারে, হাসপাতালে এলে এই পরিবেশে প্রেসার বেড়ে যায়। একে বলে হোয়াইট কোট হাইপারটেনশন।
  • চা, কফি খেলে বা স্মোক করার আধঘন্টা পর প্রেসার মাপা উচিত।
  • প্রেসার রিল্যাক্সড অবস্থায় মাপতে হবে।
  • ঠিকঠাক মূল্যায়ন করতে হলে সাতদিনের ব্যবধানে দুটো সিটিংস প্রেসার মাপানো আবশ্যক।

অনেকে এসে বলেন বাড়িতে প্রেসার দেখার সময় ঠিক ছিল, কিন্তু চেম্বারে এসে বেড়ে গেল। তখন রোগীর ২৪ ঘন্টায় প্রেসারের ওঠানামা দেখা হয় একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে। একে বলে অ্যাম্বুলেটারি ব্লাডপ্রেসার মনিটরিং, হল্টার মনিটরিংয়ের মতো হাতে একটি ছোট ডিভাইস লাগানো হয়। এর পরিমাপ বেশি মানে রোগী হাইপারটেনশনে আক্রান্ত।

হাইপারটেনশনের কারণ কী

৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই হাইপারটেনশনের কোনও নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে এসেনসিয়াল হাইপারটেনশন। পরিবারের কারোর থাকলে অর্থাৎ জেনেটিক কারণ রোগীটিকে ত্বরান্বিত করে। বাকি ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কারণ থাকে। অর্থাৎ সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন। এর মধ্যে রয়েছে—

  • থাইরয়েডের সমস্যা।
  • ক্রনিক কিডনি ডিজিজ।
  • কর্টিকোস্টেরয়েড হরমোন বেশি থাকলে।
  • অ্যাড্রিনালিন গ্ল্যান্ডে টিউমার থাকলে
  • দীর্ঘদিন ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ খেলে
  • ওবেসিটি
  • কিডনির রক্ত সঞ্চালনকারী ধমনী ছোট হয়ে যাওয়া।

হাইপারটেনশনের উপসর্গ

  • মাথা ঘোরা।
  • মাথা ব্যথা। সাইনাস বা মাইগ্রেনের ব্যথা মূলত মাথার একদিকে হয়, সাইনাসের ব্যথা সামনে হয়। কিন্তু ব্লাডপ্রেসার বেড়ে মাথা ঘুরলে তখন মনে হয় পিছনটা ভারী হয়ে আছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথার পিছনটা ব্যথা করে।
  • বুক ধড়ফড় করা, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে শ্বাসকষ্ট।
  • দীর্ঘদিন হাইপারটেনশনের চিকিৎসা না হলে চোখের ভিতর রক্তপাত হয়। কারণ রেটিনার রক্ত সঞ্চালনের ধমনী রক্তের চাপে ছিঁড়ে যায়। কখনও অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়, আবার কখনো বাইরে থেকে রক্তপাত দেখা যায়
  • চোখে দেখতে অসুবিধা
  • খুব বেশি প্রেসার বেড়ে গেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, ক্ষেত্রবিশেষে মুখ দিয়েও পড়তে পারে। এটি খুবই কমন উপসর্গ।
  • ইউরিনের সঙ্গে রক্ত বেরোতে পারে।

এছাড়া রোগী প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে যেতে পারে। তখন রোগীর খানিকটা জ্ঞান থাকে। দেখতে হবে রোগীর হাইপারটেনসিভ এনকেফেলোপ্যাথিক (ব্লাডপ্রেসার হঠাৎ করে খুব বেড়ে যায়, হয়তো ২০০/১২০) হয়ে গেল আচমকাই। এই রোগে স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে, মস্তিষ্কে জল জমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয় প্রচন্ড মাথা ব্যথা, অজ্ঞান হয়ে পড়া, ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়া ইত্যাদি।

  • বমি ভাব
    ঘাম।

ব্লাডপ্রেসার বেড়ে গিয়ে জটিলতা

দীর্ঘদিন হাইপারটেনশনের চিকিৎসা না হলে মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনি সহ শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্ক ফুলে গিয়ে বা তাতে জল জমে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়, রোগীর খিঁচুনি হতে পারে। মস্তিষ্কে রক্তপাত হয়ে বা রক্ত ক্লট করে গিয়ে সেরিব্রাল অ্যাটার্ক পর্যন্ত হতে পারে। হার্ট বড় হতে থাকে, হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা কমে আসে। সিঁড়ি ভাঙতে এমনকী প্লেন রাস্তাতে হাঁটতেও শ্বাসকষ্ট হয়, পা ফুলে যায়। সঙ্গে ইস্কিমিয়া থাকলে হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত ধূমপান থেকে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ হতে পারে। পায়ের ধমনীতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে হাঁটতে অসুবিধা। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ না করলে হাইপ্রেসারের সমস্যা হয়।

কী কী পরীক্ষা করতে হবে

রোগ নির্ণয়ের প্রথম ধাপ হল ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। চিকিৎসক যদি মনে করেন রোগীর হাইপারটেনসিভ এনকেফেলোপ্যাথি হয়েছে, সেক্ষেত্রে বাড়িতে না রেখে তৎক্ষণাৎ আই.সি.ইউ-তে ভর্তি করতে হবে।

এছাড়া অন্যান্য স্টেজে ব্লাডপ্রেসার মাপার সঙ্গে সঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট ব্লাড টেস্ট যেমন সিবিসি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট), ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, লিপিড প্রোফাইল দেখা হয়। অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের টিউমার থেকে হাইপারটেনশন হচ্ছে কি না তা দেখতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম লেভেল মাপা হয়। চিকিৎসক যদি অ্যাড্রিনালিন টিউমারের আশষ্কা করেন তাহলে প্রয়োজন সিটি স্ক্যান।

হার্ট কতটা বড় হয়েছে, ইস্কিমিয়া আছে কি না জানতে করা হয় ই.সি.জি, হার্টের ভালভের সমস্যা জানতে হলে প্রয়োজন ইকোকার্ডিওগ্রাফি। কিডনির কাযূকারিতা নির্ধারণ করতে হলে রুটিন ইউরিন পরীক্ষা (ইউরিন আর.ই), কিডনিতে প্রোটিন, মাইক্রো অ্যালবুমিন আছে কি না দেখতে হয়।

ওষুধ একবার শুরু করলে কি ছাড়া যায়

অবশ্যই ছাড়া যেতে পারে, রোগীর স্বাস্থ্য পর্যালোচনা করে। তকে কখনোই নিজের মতে নয়, চিতিৎসকের তত্ত্বাবধানে। যেমন গরমকালে প্রেসারের ওষুধের ডোজ কমিয়ে দেওয়া হয় বা বন্ধ করা হয়। কারণ এ সময় অতিরিক্ত ঘামে ব্লাপপ্রোসর কমে যায়। আবার যাদের টেনশন বা থাইরয়েডে সমস্যার জন্য ব্লাডপ্রেসার বাড়ে তখন নির্দিষ্ট কারণটির চিকিৎসা করলে প্রেসার নর্মাল হয়ে গেলে ওষুধ ছাড়া যায়।

টেনশন থেকে কি ব্লাডপ্রেসার বাড়ে

অতিরিক্ত টেনশন, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা হাইপারটেনশনের জন্ম দেয়। এমনকী স্লিপ অ্যাপনিয়া (ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হয় না, ফলে শ্বাসকষ্ট হয়) পর্যন্ত হতে পারে। যাদের চাকরিক্ষেত্রে প্রচুর টেনশন রয়েছে, তাদের হাইপারটেনশন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। অনেক সময় পরীক্ষার সময়েও সাময়িক টেনশন বেড়ে যায়। মানুষের যত বয়স বাড়ে, তত স্ট্রেস বাড়ে। ফলে মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন, সেরাটোনিনের হেরফের হার্টে সংকেত যায়, সেখান থেকে স্ট্রেসের ফলে দ্রুত রক্ত সঞ্চালন হয়ে হাইপারটেনশস হতে পারে। যাদের ব্লাডপ্রেসার বেশি থাকে, তাদের কারও কারও দেখা যায় অল্পতে উত্তেজিত হয়ে পড়া, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা, ঘুম না হওয়ার মতো সমস্যাগুলো হয়। তাদের প্রেসারের জন্য অ্যালপ্রাজোলাম  জাতীয় ওষুধ প্রয়োজন।

চিকিৎসা কীভাবে হবে

প্রি-হাইপারটেনশনের রোগীদের প্রথমে কোনও ওষুধ না দিয়ে শুধুমাত্র লাইফস্টাইল মডিফিকেশন করে তিন মাস পর্যবেক্ষণ করা হয়। অনেকেরই এতে উপকার হয়। কী কী রয়েছে এই লাইফস্টাইল মডিফিকেশনে—

  • ধূপমপান বর্জন।
  • খাবারে নুন পরিমিত খাওয়া।
  • অতিরিক্ত নুনযুক্ত খাবার বর্জন করা, যেমন মুড়ি মাখা, চানাচুর কম খাওয়া। মুড়ি খেতে গেলে জলে ভিজিয়ে তারপর জল ফেলে দিয়ে খান।
  • কলা, লেবু, আপেল, শশা খান। এগুলি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • তেল কম খান। রান্না করুন ৫০ শতাংশ সরষের তেল আর বাকি ৫০ শতাংশ সাদা তেলে। সাদা তেলের মধ্যে চলবে স্যাফোলা, ক্যানোলা, অলিভ অয়েল।
  • ঘি, ডালডা, মাখনের মতো মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাদ্যতালিকা থেকে ছেঁটে ফেলুন।
  • ডিম, পাঁঠার মাংস কম খান।
  • মাছ খান বেশি, কারণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খুব উপকারী।
  • অতিরিক্ত ভাজাভুজি, জাষ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। কারণ এসব ওবেসিটি বাড়ায়, যা অচিরেই হাইপারটেনশনের জন্ম দেবে।
  • অ্যালকোহল ছেড়ে দিন।
  • প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে হাঁটুন।
  • নিয়মিত দুধ খান এবং গায়ে রোদ লাগান।

যারা স্টেজ টু বা থ্রি-তে আছেন, তাদের প্রাথমিকভাবে অ্যামলোডিপিন, এসিই ইনহিবিটর দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। তাছাড়াও বিটাব্লকার, আলফাব্লকার, ডাইইউরেটিকম এ.আর.বি গ্রুপের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। অনেকের আবার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। অনেকের আবার ওষুধ খেয়ে চলাফেরা করতে করতে ব্লাডপ্রেসার হঠাৎ কমে যায়। সেক্ষেত্রে বুঝে ওষুধ দিতে হয়। সাধারণত সকালে ব্লাডপ্রেসার বেশি থাকে, আর মাঝরাতে কম। কিন্তু কারোর যদি অ্যাম্বুলেটরি মনিটরিংয়ে মাঝরাতে প্রেসার বেশি আসে তাহলে সে রিস্ক ফ্যাক্টর রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসারের লক্ষ্যমাত্রা হবে ওষুধ খেয়ে ওপরে ১৪০, নীচে ৯০। ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১৩০/৮০-এর নীচে। আর যাদের কিডনির সমস্যা হয়েছে তাদের ১২৫/৭৫-এর নীচে প্রেসার রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন গ্রুপের ওষুধ একসঙ্গে দেওয়া সত্ত্বেও ব্লাডপ্রেসার কমছে না। তখন দেখতে হবে তাদের কিডনির সমস্যা, স্লিপ অ্যাপনিয়া, অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে নেওয়া, বেশি পেনকিলার বা স্টেরয়েড খাওয়া, কোকেন নেওয়ার মতো কোনো সমস্যা আছে কি না। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কারণটি খুঁজে বের করে রোগীকে তা থেকে বের করে আনা হয়।

অনেকদিন ধরে হাইপারটেনশনের একই ওষুধ খেলে তার কার্যকারিতা কমে যায়। তখন নতুন গ্রুপ যোগ করতে হয়। বা ওষুধের সময় বদলে ডোজ কমবেশি করে দিতে হয়। একাধিক ব্লাডপ্রেসারের ওষুধ খেলে একটা সকালে এবং একটা বিকেলে খাওয়া ভালো।

কবে থেকে ব্লাড প্রেসার মাপা উচিত

  • হার্টের সমস্যা ২০ বছর থেকেই শুরু হতে পারে। ফলে এই বয়স থেকেই বছরে একবার ব্লাডপ্রেসার চেক-আপ জরুরি।
  • ৪০ বছর বয়সের পর যদি সুগার, ক্রিয়েটিনিন, লিপিড, ই.সি.জি ঠিক থাকে, তাহলে ৬ মাস অন্তর প্রেসার চেক করান।
  • ডায়াবেটিস বা চোখের সমস্যা থাকলে ব্লাপপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • হার্টের রোগ বা ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলে বাড়িতে নিজসবব মেশিনে রোজ একবার প্রেসার মাপলে ভালো হয়।

গর্ভাবস্থায় কি ব্লাডপ্রেসার বাড়ে

গর্ভাবস্থায় হাইপারটেনশন হতে পারে। পরে তা কমেও যায়। কিন্তু নিয়মিত ফলো-আপ জরুরি। কারণ পরে তা ফিরে আসতে পারে। এসময় সব গ্রুপের ওষুধ চলে না, কারণ তাতে গর্ভস্থ ভ্রুণের সমস্যা হয়।

এমার্জেন্সি হলে করণীয়

  • হঠাৎ করে যদি নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পরে আর যদি রোগীর হাইপারটেনশনের ইতিহাস থাকে, তাহলে পাশ ফিরে শুইয়ে দিন।
  • নাকে বরফ চাপা দিয়ে রক্ত আটকানোর চেষ্টা করুন।
  • বুকে ব্যথা হলে জিভের তলায় সরবিট্রেট দিন।
  • অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান।
  • আপৎকালীন জরুরি নম্বর হাতের কাছে রাখুন।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন