অন্য রোগ থেকেও হতে পারে গেঁটে বাত
ডাঃ বেনী মাধব দাস অধিকারী
2019-04-27 14:52:15
প্রথমেই একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অস্থির বিশেষত অস্থিসন্ধির কয়েকটি রোগকে প্রায় সকলেই বাতরোগ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু আয়ুর্বেদ চিকিৎসাবিজ্ঞানের এগুলোকে আমবাত বা রিউম্যাটিজমের অন্তর্গত বিভিন্ন রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাতব্যাধি বলতে যে আশি প্রকার রোগের বর্ণনা আছে সেগুলোর অধিকাংশই স্নায়ু বা নার্ভের গোলযোগের কারণে সৃষ্টি হয়।
বাতব্যাধির কারণে
রক্ষা, শীতল, লঘু বা অল্প পরিমাণ খাদ্য খাওয়া, অতিশয় মৈথুন, বেশি রাতজাগা, অতিশয় বমন-বিরেচনাদি ক্রিয়া করা, বেশি রক্তস্রাব, সাধ্যের বেশি কোনো কাজ করা, শোক, চিন্তা ও বিভিন্ন রোগের কারণে ধাতুক্ষয়, মল-মূত্রাদির বেগ ধারণ, আঘাত, উপবাস ও দ্রুত যানাদি থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে দৈহিক স্রোত সকল অনুকূল পদার্থশূন্য হলে কুপিত বায়ু সেগুলো পূর্ণ করে সমস্ত অঙ্গে অথবা এক-একটি অঙ্গে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। যেম
কুপিত বায়ু মজ্জা বা অস্থিতে আশ্রয় করলে অস্থি ও সন্ধির অসহ্য যন্ত্রণা, ভেঙে গেছে এরকম ব্যথা, বল ও মাংসক্ষয় প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়।
পাঠকদের অবগতির জন্য নীচে আশি প্রকার বাতরোগের নাম উল্লেখ করলাম। কারণ আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বেই এই সমস্ত রোগের বিষয়ে তাঁরা যে অবগত ছিলেন এবং চিকিৎসাও করতেন সেই কথা বোঝাতে।
আশি প্রকার বাত রোগ : শিরোগ্রহ বা মাথার যন্ত্রণা, শারীরিক কৃশতা, বারবার হাই ওঠা, হনুগ্রহ (মুখ বন্ধ ও খুলতে অসুবিধে), জিহ্বাস্তস্ভ (কোনো দ্রব্য পান ও কথা বলতে অসুবিধে), গতগদতা, মিনমিনত্ব, মূকত্ব, বাচালতা, প্রলাপ, রসজ্ঞানাভাব, বধিরতা, কর্ণনাদ (কানে ভেরী, মৃদঞ্গ ও শঙ্থ প্রভৃতির মতো শব্দ শোনা), ত্বকশূন্যতা (স্পর্শজ্ঞানভাব), অর্দিত (মুখমন্ডলের বক্রতা), মন্যাস্তম্ভ, বাহুশোষ, অববাহুক, বিশ্বচী, ঊর্ধ্ববাত, আধমান, প্রত্যাধমান বাতষ্ঠীলা, প্রত্যষ্ঠীলা, তূণী, অগ্নি বৈষম্য, আটোপ (উদরে গুড়গুড় শব্দ), পার্শ্বশূল, ত্রিকশূল (নিতম্বের অস্থি দুটোর এবং পৃষ্ঠবংশের অস্থিদ্বয়ের মিলিত স্থানকে ত্রিক বলে। এই স্থানের সন্ধিতে যন্ত্রণা হলে তাকে ত্রিকশূল বলে), বারবার মূত্রত্যাগ, মূত্রবন্ধ ও মলের অপ্রবৃত্তি, মলের গাঢ়তা, গৃধ্রসী, কলায়খঞ্জ, খঞ্জতা, পঙ্গুতা, ক্রোষ্ঠ, শীর্ষক, খল্বী (খিলধরা), বাতকন্টক (গোড়ালিতে ব্যথা), পাদহর্ষ, দন্ডক, দন্তক, বাত-পিত্তজন আক্ষেপ, দন্ডাপতানক, অভিঘাতজ আক্ষেপ, অন্তরায়ম, বহিরায়ম, ধনুস্তম্ভ, কুজ্বক, অপতন্ত্র, অপতানক, পক্ষাঘাত, খিলাঙ্গ, কম্প, স্তম্ভ, ব্যথা, তোদ (সুঁচের দ্বারা বিদ্ধ হওয়ার মতো যন্ত্রণা) ভেদ, স্ফূরণ, রক্ষতা, কাশ্য, কৃষ্ণবর্ণতা, শীতাভাব, লোমহর্ষ, অঙ্গমর্দ্ধ, অঙ্গবিভ্রংশ, শিরাসংকোচ, অঙ্গশোষ, ভীরত্ব, মোহ, চলচ্চিত্তত্, নিদ্রানাশ, স্বেদোনাশ, বলহানি, শুক্রক্ষয়, রজোনাশ, গর্ভনা ও ভ্রম—এই আশি প্রকার বাতরোগের বিষয়ে উল্লেখ আছে।
এইসব রোগগুলোর অধিকাংশই স্নায়ু সম্পর্কীয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা বাতরোগ বলতে যেগুলোকে উল্লেখ করছি সেগুলো অস্থি সংক্রান্ত রোগ। যা আয়ুর্বেদে অন্যান্য নামে উল্লেখ করা হয়েছে। রিউম্যাটিজম অর্থাৎ সাধারণত অস্থি-সন্ধি ও তৎসংলগ্ন স্থানের সংযোজক কলার প্রদাহ ও ক্ষয়প্রাপ্তিযুক্ত অবস্থা। এই অবস্থাকে আয়ুর্বেদে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়েছে। সেগুলো পরে উল্লেখ করব।
উল্লেখ্য যে, চাকরি সংহিতায় সন্ধিগত প্রদাহের বিষয়ে স্পষ্টভাবে রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা উল্লেখ আছে। ভৃগু সংহিতায় সাইরোভিয়াল ফ্লুইডের সঙ্গে সন্ধির প্রদাহের পরিবর্তনের উল্লেখ আছে। মাধব কর প্রথম ও একমাত্র গ্রন্থকার যিনি তার মাধব নিদান গ্রন্থে আমবাতকে পৃথক রোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আয়ুর্বেদ রিউম্যাটিক সংক্রান্ত গোলযোগকে নিম্নোক্ত নামে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন সন্ধিগত বাত নিরাময়, সন্ধিগত বাত সাম, বাতরক্ত উত্তান, বাতরক্ত গম্ভীর, আমবাত, অববাহক, কৌষ্টুকশীর্ষ, সন্ধিগত জ্বর, গৃধ্রসী, বিশ্বসী, স্নায়ুগতবাত, মাংসগত বাত।
এই রোগ মানব সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই উপস্থিত। এমনকী ডাইনোসারের জীবাশ্মতেও সন্ধিপ্রদাহের প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, আদিম মানবদের কষ্কালেও সন্ধিগত প্রদাহের চিহ্ন প্রত্যক্ষ করা গেছে। মিশরের আট হাজার বছরের প্রাচীন মমিতেও সন্ধিপ্রদাহের নিদর্শন দেখা যায়।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে সন্ধিসমূহের রোগগুলোকে সদ্য ও তীব্র অবস্থা, মধ্যবর্তী অবস্থা এবং পুরাতন তথা দীর্ঘকাল স্থায়ী তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
সদ্য ও তীব্র অবস্থা: অ্যাকিউট রিউম্যাটিজম, গাউট (গেঁটে বাত), গনোরিয়ার কারণে সন্ধির প্রদাহ, সদ্য রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, আঘাতজনিত সন্ধির প্রদাহ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
মধ্যবর্তী এবং পুরাতন তথা দীর্ঘকাল স্থায়ী সন্ধিরোগ :অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ক্রনিক গনোকক্কাল ও ইনফেকটিভ আর্থ্রাইটিস, গাউট, অ্যাষ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস, এস.এল.ই, পলি আর্টেরাইটিস নোডোসা, যক্ষ্মা রোগের জীবাণুর কারণে সন্ধির রোগ, সিফিলিসের কারণে সন্ধির প্রদাহ, স্নায়ুজনিত সন্ধির প্রদাহ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
প্রথমে রিউম্যাটিজম বা রিউম্যাটিক ফিভার বিষয়ে উল্লেখ করা আবশ্যক। রোগটি প্রধানত পাঁচ থেকে পনেরো বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। স্ট্রেপ্টোকক্কাস গ্রুপের জীবাণুর সংক্রমণে সাধারণত এক থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর সন্ধির প্রদাহ হয়। প্রধানত ছোট ছোট সন্ধির প্রদাহ, যন্ত্রণা কয়েকদিন হওয়ার পর কমে যায়। পুনরায় অন্য ছোট ছোট সন্ধির প্রদাহ ও যন্ত্রণা হয়ে থাকে। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই সমস্ত রোগীদের বিষয়ে অধিকাংশ চিকিৎসকই গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা না করলে পঞ্চাশ শতাংশের মাইট্রাল ভালভ, পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ শতাংশের উভয় ভালভ এবং দু’ থেকে তিন শতাংশের ক্ষেত্রে মাইট্রাল অ্যাওর্টিক এবং ট্রাইকোসপিড ভালভ আক্রান্ত হয়।
অন্যান্য সন্ধিগত রোগের উল্লেখ করার আগে রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিস উল্লেখ করলাম এই কারণে যে সঠিক সময়ে সঠিক রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা না করার ফলে বহু ছেলেমেয়ের হৃদযন্ত্রের ভালভের গোলযোগ, হৃদযন্ত্রের প্রদাহ প্রভৃতি হয়ে থাকে। তাই সর্দিকাশি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। অথচ রোগ নির্ণয়ের জন্য এ.এস.ও টাইটার ও গলার সোয়াব কালচার করা যায় সহজেই।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানানুসারে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইুটিস একটি অটো ইমিউন রোগ। যে সমস্ত কারণ রোগটির সহায়ক বা প্রিডিসপোজিং সেগুলো হল---
বয়স : যে কোনো বয়সে হতে পারে। কিন্তু কুড়ি থেকে চল্লিশ বছর বয়সের মধ্যে বেশি হয়। মহিলারা পুরুষদের তুলনায় তিনগুণ বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বংশগত প্রভাবও অস্বীকার করা যায় না। বেশি ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় বসবাস রোগ উৎপত্তির কারণ হতে পারে। আঘাত, বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণ, দুর্বল ও শীর্ণ শারীরিক গঠন প্রভৃতি রোগের কারণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অস্টিওআর্থ্রাইটিস :পঞ্চাশ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। প্রধানত শরীরের ভারবাহী সন্ধিগুলো যেমন মেরুদন্ড, কোমরের হাড়, হাঁটু প্রভৃতি আক্রান্ত হয়। যে সন্ধিতে লক্ষণ প্রকাশ পায় সেখান থেকে অন্য সন্ধিতে সাধারণত স্থানান্তরিত হয় না। বংশগত, সন্ধির ওপর চাপ,স্থূলতা, অণ্তঃস্রাবী গ্রন্থির গোলযোগ প্রভৃতি রোগটি সৃষ্টির সহায়ক কারণ।
গাউট: প্রধানত শরীরের বিপাকীয় গোলযোগের কারণে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল সন্ধিতে জমা হয়ে রোগ সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে বয়ষ ত্রিশ বছরের বেশি, স্থূলতা, বংশগত ইতিহসা, শল্যক্রিয়ারইতিহাস, আঘাত, বিভিন্ন ওষুধ খাওয়া রোগটি হওয়ার সহায়ক কারণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে চিরাচরিত আহার-বিহার প্রভৃতির বিষয়ে পরিবর্তন অপরিহার্য। তাছাড়া যে সমস্ত কারণে এই সমস্ত সন্ধির রোগ হয়সে বিষয়ে বহু পূর্ব থেকে পরিকল্পনা মাফিক জীবন যাপন করতে হবে।
চিকিৎসা
রোগের প্রথম অবস্থাতেই চিকিৎসা করা প্রয়োজন। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে স্থানিক স্বেদন, স্নেহনক্রিয়া এবং বিভিন্ন ভেষজের প্রলেপ প্রয়োজন। সাধারণভাব উপবাস, দীপন ও পাচন ক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন ভেষজ খেতে দিতে হবে।
ওষুধ :
- ক্বাথ : রাম্না সপ্তক পাচন, মাষবলাদি ক্বাথ, মহা রাম্নাদি ক্বাথ, রান্সাদশমূল ক্বাথ প্রভৃতি মাত্রানাসুরে ব্যবহার করতে হবে।
- চূর্ণ : বৈশ্বানর চূর্ণ, হিঙ্গাষ্টকচূর্ণ।
- বটি : অগ্নিতুন্ডি বটি, আমবাতারি বটি, রসোন বটি উপকারী।
- গুগগুলু : সিংঘনাদগুগুলু, মহাযোগরাজগুগগুলু, কৈশোর গুগগুলু, এয়োদশাঙ্গ গুগুলু উল্লেখযোগ্য ওষুধ।
- রসঘটিত ওষুধ : হিঙ্গুলেশ্বর রস, বাতগজাষ্কুশ রস, মৃত্যুঞ্জয় রস, রসোন পিন্ড রস।
- প্রলেপ : সৈন্ধবাদি তৈল, নারায়ণ তৈল উপকারী।
মন্তব্য : বিভিন্ন ভেষজ সম্বলিত ওষুধ, তেল, প্রলেপ তৈরি করে ব্যবহার করলে সন্ধিগত রোগের উপশম উল্লেখ বিভিন্ন আয়ুর্বেদ গ্রন্থে থাকলেও ভেষজগুলো সংগ্রহ করে ওষুধ তৈরি করা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়, তাই পৃথকভাবে একক বা একাধিক ভেষজের ব্যবহারের উল্লেখ করলাম না। শাস্ত্রীয় ওষুধ ছাড়াও বিভিন্ন আয়ুর্বেদ প্রস্ত্তুতকারক সংস্থা আধুনিক ভেষজ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিভিন্ন ভেষজের গবেষণার দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ওষুধ প্রস্তুত করছেন। সেগুলোও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ব্যবহার করলে রোগের উপশম তথা নিরাময় সম্ভব।
কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখছি আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই প্রথমে হোমিওপ্যাথি, পরে অ্যালোপ্যাথি দীর্ঘকাল করার পর শেষে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার জন্য আসেন। এদের মধ্যে আবার বহু রোগী স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেয়ে এবং সন্ধিস্থানে ইঞ্জেকশন নিয়ে নিম্ফল মনোরথ হয়ে আসেন। এই সমস্ত রোগীদের চিকিৎসা করা খুবই কষ্টসাধ্য।
তাছাড়া আর এক শ্রেণীর রোগী আর্থ্রাইটিসে অব্যর্থ নিরাময়ের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে চিকিৎসার জন্য যান। কাজের কাজ কিছু হয় না। কিন্তু রোগটি এমন অবস্থায় তখন পৌঁছয় যে কোনো চিকিৎসাতেই সুফল পাওয়া যায় না। অর্থাৎ সব আশা ছেড়ে তারা তখন যন্ত্রণাযুক্ত জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়ে থাকেন।
অপথ্য :গুরুপাকদ্রব্য, কফজনক দ্রব্য, মাছ, মাংস, গুড়, দই, পুঁইশাক, মাষকলাই, পিঠে খাওয়া অনুচিত। তাছাড়া মলমূত্রাদির বেগধারণ, দিনে নিদ্রা, রাত্রি জাগরণ, ঠান্ডা লাগানো ক্ষতিকর।
সতর্কতা :অনেক এক্ষেত্রেও নিজে নিজেই ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রায় সমস্ত নন-স্টেরয়েড অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগস-এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে এই সমস্ত ওষুধ না খাওয়াই শ্রেয়।
সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন