ওষুধে যা হয় না, তাই করে যোগব্যায়াম
হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-24 13:54:56
কথায় কথায় ওষুধ খাওয়া কোনও কাজের কথা নয়। বিশেষ করে যখন হাতের কাছেই আছে ওষুধের বিকল্প। নিয়মিত অভ্যাসে বাই বাই করে দিতে পারেন ওষুধ আর ওষুধজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। মন স্থির রাখতে মন স্থির রাখতে পদ্মাসন ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড করে দু’ বার অভ্যাস করা যায়। পদ্মাসনে বসে চোখ বন্ধ করে মনে মনে এক থেকে দশ পর্যন্ত গুণতে হবে। পদ্মাসন: বাঁ জানুর ওপর ডান পা এবং ডান জানুর ওপরেবাঁ-পা রেখে এমনভাবে বসতে হবে যাতে মেরুদন্ড, মাথা, ঘাড় সমন্তরাল ও সোজা থাকে। হাতে দুটি দু’পায়ের দু’ হাঁটুতে বা কোলে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অভ্যাসের পর পা বদল করে করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য উষ্ট্রাসন ও তারাসন নিয়মিত ১৫ থেকে ২৫ সেকেন্ড করে দু’ বার অভ্যাস করতে হবে। সঙ্গে ১৫ সেকেন্ড করে শবাসন করা দরকার। উষ্ট্রাসন হাঁটু ভেঙে নিল ডাউন ভঙ্গিতে বসে কোমর থেকে শরীরের ঊর্ধ্বাংশক ধীওে ধীওে পিছনের দিকে বাঁকিয়ে দু’ হাতে দিয়ে দু’ পায়ের গোড়ালি ধরে মাথা পিছন দিকে ঝুলিয়ে দিতে হবে। তারাসন: দু’পা ১২ ইঞ্চি ফাঁক করে দাঁড়াতে হবে। দু’-হাত মাথার ওপরে তুলে গোড়ালি ভূমি থেকে উঠবে। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড থাকতে হবে। হজমশক্তি বাড়াতে খিদে কম থাকলে, হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য দু’বেলা খাবার পর ২০ সেকেন্ড বজ্রাসন অভ্যাস করা দরকার। বজ্রাসন: হাঁটু ভেঙে গোড়ালির ওপর নিতম্ব রেখে সোজা বসে দু’হাতে দু’ জানুর ওপর রাখতে হবে। এরপর শিরদাঁড়া সোজা করে শ^াস-প্রশ^ার নেওয়া-ছাড়া করতে হবে। সুদৃঢ় পেশির জন্য: সুদৃঢ় পেশির জন্য বৃক্ষাসন অভ্যাস করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া এই আসনটি মনকে একাগ্র করে। বৃক্ষাসন : সোজা দাঁড়িয়ে ডান পা তুলে পায়ের পাতা বাঁ-পায়ের উরু সংরগ্ন করে যতটা সম্ভব ওপরে তুলতে হবে। এবার সোজা হয়ে দু’হাত সমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে এনে ৩০ সেকেন্ড থাকার পর বিপরীত পা একইভাবে করতে হবে। শরীরের বাড়বৃদ্ধির জন্য শরীরের বাড়বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ধনুরাসন, অর্ধচক্রাসন ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড করে দু’বার অভ্যাস করা দরকার। ধনুরসন: মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পা দুটি হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে পিঠের কাছে আনতে হবে। দু’হাত দিয়ে গোড়ালি শক্ত করে ধরতে হবে। হাঁটু সাধ্যমতো ১০-১২ ইঞ্চি ফাঁক রাখতে হবে। তলপেট কেবলমাত্র ভূমিসংলগ্ন হবে এবং শরীরকে পিছন থেকে ধনুকের মতো বাঁকাতে হবে। পেটের গোলমালে পেটের গোলমাল সারাতে নিয়মিত অর্ধকুর্মাসন, পবনমুক্তাসন ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড করে দু’ বার অভ্যাস করলে ফলপ্রদ হয়। অর্ধকুর্মাসন: হাঁটু জোড়া করে হাঁটু মুড়ে পায়ের ওপর বসে হাত দুটো সোজা করে ওপরে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিমায় রেখে সামনে ঝুঁকি ঘুরে প্রণাম করতে হবে। পেট ও বুক উরুর সঙ্গে এবং কপাল মাটিতে লেগে থাকবে। আসনের সময় যখন ইচ্ছা তখনই আসন করা যায়। শুধু দুপুরের খাওয়ার ২ ঘন্টা এবং হালকা খাবার পর ১৫ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে। খালিপেটে আসন কখনোই করা উচিত নয়। খাদ্যাভাস ছানা, দুধ, সোয়াবিন, চিজ, ছোলা, দই, পালং শাক, পুঁটি মাছ, মৌরলা মাছ, মাখন, ডিম (সিদ্ধ), ডাল, টাটকা শাকসবজি, মরশুমি ফল, চিনে বাদাম, কাজু, কিসমসি, মোচা, ডুমুর, থোড়, পাতিলেবু, শশা,পেয়ারা ও টক জাতীয় ফল বেশি খাওয়া দরকার। লজেন্স, চকলেট, ক্যাডবেরি, কোল্ড ড্রিস্কস্, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার বা তেল-ঝাল মশলাযুক্ত খাবার, চাউমিন, ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া উচিত নয়। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন