×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

ইউটেরাসের টিউমারে সবক্ষেত্রে সার্জারি আবশ্যক নয়

ডাঃ অভিজিৎ মজুমদার
2019-04-28 13:27:20

স্ত্রী-জনতন্ত্রের জরায়ু বা ইউটেরাসে সবচেয়ে বেশি যে রোগটি হতে দেখা যায় তা হল ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড বা ফাইব্রোমায়োমা। এটি মূলত একটি টিউমার বিনাইন টিউমার হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে এটি ক্যানসার জাতীয় টিউমার নয়। তবে ইউটেরাসে হওয়া টিউমারটি ক্যানসার জাতীয় টিউমার কি না, নাকি সেটি বিনাইন টিউমার তার পার্থক্য নির্ণয় করা জরুরি। তাছাড়া দীর্ঘদিন এই রোগ ফেলে রাখলে এবং অন্যান্য কিছু সেকেন্ডারি কারণে ক্যানসার-প্রবণতা আসাটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইউটেরাইন ফাইব্রেয়েড স্মুথ মাসল বা পেশির টিউমার বলেই একে ফাইব্রোমায়োমা বলা হয়।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি পাঁচ জন মহিলার একজনের মেনোপজের আগে কোনো না কোনো সময়ে এই রোগটি হতে পারে। বাইরে থেকে প্রাথমিক ভাবে তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশিত হয় না। ফলে রোগটি দেরিতে ধরা পড়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কোনো মহিলা আজীবন ইউরেটাইন ফাইব্রয়েড নিয়েই দিব্যি বেঁচে রেইলেন। হয়তো মৃত্যুর পরে কোনো কারণে অটোপসি করতে হলে সেখানে ক্রটি ধরা পড়ল। প্রচুর মিশরীর মমিতে পরবর্তীকালে ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড লক্ষ করা গেছে। যদিও তখন এই রোগটি নির্ণয় করার কোনো উপায় ছিল না। যাই হোক, ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড ধরা পড়লেই রোগী অনেক ক্ষেত্রে ঘাবড়ে গিয়ে সার্জারি করিয়ে নিশ্চিত হতে চান। কিন্তু মনে রাখা দরকার, সার্জারির পরে মহিলাদের কিছু কিছু জটিলতা যেমন আসতে পারে, ঠিক সেইরকম পরবর্তী জীবন সন্তান নেবার সম্ভাবনাকেও দূরে সরিয়ে রাখতে হয়। তবে রোগীর জরায়ু মুখের কাছে। ফাইব্রয়েডটি হলে বাচ্চার ডেলিভারি হবার সময় সমস্যা তৈরি হয়।

এই ধরনের টিউমারগুলি শক্ত, গোলাকার, ফ্যাকাশে ধরনের হয়। আকৃতি মটরের দানা থেকে বড় কুমড়োর মতোও হতে পারে। ফলে ফাইব্রয়েড ধরা পড়লে তা অবহেলা না করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করা উচিত। কারণ টিউমার ক্যানসার জাতীয় না হলেও সেকেন্ডারি কারণ হিসাবে অনকে জটিলতা সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

জটিলতা

  • ফাইব্রয়েডটি ইউটেরাসে অবস্থান করায় তার আকৃতি যদি খুব বড় হয় তবে ইউটেরাসের পাশে থাকা অর্গানগুলি যেমন মূত্রথলি, রেক্টাম বা পায়ু, ইনস্টেনটাইনে চাপ দিয়ে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
  • কোনো কারণে ফাইব্রয়েডটির মধ্যে সংক্রমণ হলে তা থেকে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
  • কোনো সেকেন্ডারি কারণে ক্যানসারের প্রবণতা এলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

হোল অ্যাবডমেনের আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। প্রয়োজন হলে ট্রান্স অ্যাবডোমিনাল সনোগ্রাফি করা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সিটি বা এম.আর.আই স্ক্যান করা হয়।

করণীয়

ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করতে হবে। বেশি তেল-ঝাল মশলাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করাই বাঞ্ছনীয়। ওজন কমাতে হবে। দীর্ঘদিন গর্ভনিরোধক বড়ি অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাবার প্রবণতা নিয়ন্ত্রিত বা বন্ধ করতে হবে।

চিকিৎসা

ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডের সাইজ খুব বড় না হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় টিউমারটির আকৃতি ছোট হতে থাকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। নিয়মকানুন সঠিকভাবে মেনে চললে এবং ধৈর্য ধরে ওষুধ খেয়ে গেলে রোগটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া অবিবাহিতা মহিলা বা যে সব বিবাহিত মহিলাদের সন্তান হয়নি, তাদের ক্ষেত্রে সার্জারি না করানোই শ্রেয়ে। তবে যদি টিউমারের আকৃতি অত্যন্ত বড় হয়ে যায় এবং জটিলতা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে সার্জারি করিয়ে নেবার পরামর্শ দেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথি ওষুধের কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় দীর্ঘদিন ওষুধ খেলেও কোনোরকম পাশ্র্বপ্রতিক্রিয়া জনিত জটিলতা আসার সম্ভাবনা থাকে না। সাধারণত এই রোগের ক্ষেত্রে যে সব ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল—আউরাম মুর, নাট, থুজা, ক্যাল, ফ্লোর, আরম মেট, লাপিস থ্রিলিয়াম, আরগোট, ক্যাল, আয়োড, কোনিয়াম ,বার্থ মুর, মার্ক আয়োড রাব, হাইড্রাস্ট, ফিটোল, প্লাম্ব প্রভৃতি সহ বহু ওষুধ। তবে কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। এবং নিয়মিত চিকিৎসকের ফলো আপে থাকা উচিত।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন