×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

কাদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি

ডাঃ প্রকাশ মাল্লিক
2019-05-07 11:47:49

দেশে ভয়াবহ হারে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।ক্যানসারের হার বাড়ার কারণ, পরিবেশ-পরিস্থিতি তথা লাইফস্টাইলের পরিবর্তন। সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে ৫ লক্ষ মানুষ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

স্তনের আকার ও গঠন

মহিলাদের স্তন দু’ধরনের টিসু বা কলা নিয়ে গঠিত। গ্ল্যান্ডুলার টিস্যু এবং সাপোর্টিং টিস্যু। ব্রেস্টের গ্ল্যান্ডুলার অংশ লোবিউল এবং ডাক্টস নিয়ে গঠিত। লোবিউলের কোষগুলি দুগ্ধ তৈরি করে। ওই দুধ অপর নালী দিয়ে গিয়ে টিউবে পড়ে। সেই টিউব দিয়ে দুধ এসে নিপল দিয়ে বের হয়। ব্রেস্টের সাপোটিং টিসু ব্রেস্টের ফ্যাটি টিসু ও ফাইব্রাস কানেকটিভ টিসু দিয়ে গঠিত যা স্বাভাবিক স্তনের আকার ও আকৃতি প্রদান করে।

মহিলাদের স্তনের অভ্যন্তরে ১২-২০টা লোব বা দুগ্ধথলি আছে। প্রত্যেক লোব আবার শতাধিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী লোবিউল নিয়ে গঠিত। প্রত্যেক লোবিউল থেকে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম নালী বের হয়ে বড় দুগ্ধনালীতে বা ডাক্টে এসে মিলিত হয়। এদের ল্যাক্টিফেরাস ডাক্ট বলে। এরা মিলিত হয়ে স্তনের ভিতরের বোঁটায় ছিদ্রের মাধ্যমে শেষ হয়। আভ্যন্তরীণ অংশগুলি দু’ধরনের পর্দা দিয়ে সম্পূর্ণ স্তন আবৃত করে। পাতলা ও বাইরের পুরু পর্দার মাঝখানে স্তনের মাংসপেশি আছে যা লিগামেন্টের মাধ্যমে বক্ষ প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত থাকে ও স্তনের সুরক্ষার সাহায্য করে।

মহিলাদের স্তন নবজাত শিশুকে দুগ্ধপানে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, স্তন নারীত্ব ও যৌনক্রিয়ার আকর্ষণীয় অঙ্গও বটে। যা মহিলাদের সর্বাঙ্গীন সৌন্দর্যের রূপ দেয়।

স্তন ক্যানসারের কারণসমূহ

স্তন ক্যানসারের প্রকৃত কারণ এখনও অজানা। তবে বহু গবেষণার মাধ্যমে যে রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি জানা গেছে তা হল—

  • জেনেটিক ফ্যাক্টর
  • ব্যক্তিগত ইতিহাস
  • অপরিমিত, ভুল আহার

সিগনিফিক্যান্টলি হায়ার রিস্ক

যেসব মহিলাদের ঋতুস্রাব বন্ধের আগে একদিকের স্তনে ক্যানাসর হয়েছে তাদের অপর দিকের স্তনেও ক্যানসার হবার সম্ভাবনা খুব বেশি।

মডারেটলি হায়ার রিস্ক

  • বয়স্ক মহিলাদের
  • পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে। বিশেষত মা, মেয়ে, বোনেদের হয়ে থাকলে।
  • বংশগত ক্যানসারের জিনবাহক (BRCA1, BRCA2)

স্তনের আলসার বা ক্ষত যেগুলো ক্যানসারে পরিণত হয়—মাল্টিপল প্যাপিলোমাটোসিস, আটিপিক্যাল হাইপারগ্লেসিয়া, লোবিউলার কার্সিনোমা ইনসিটু।

  • দূর আত্মীয়দের স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে কাকীমা, জ্যেঠিমা, দিদিমা, খুড়তুতো-জ্যাঠতুতো বোনেদের ক্যানাসর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • কিছু কিছু বড় আকারের ব্রেস্ট-সিস্ট যেগুলো প্রাথমিক এটিপিকল হাইপার গ্লেসিয়া বলে অনুমান করা হয়।
  • যেসব মহিলা পুরো মাস কখনোই প্রেগনেন্সি বহন করতে পারেননি।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় রেডিয়েশন গ্রহণ
  • পোস্টপার্টাম ম্যাসটাইটিস।
  • বার বার বহুসময় ধরে ফ্লুরোস্কোপিক এক্স-রে গ্রহন।
  • ৩০ বছর বয়সের আগে অতিরিক্ত মাত্রায় রেডিয়েশন
  • বংশে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে—সারভিক্স, জরায়ু ও কোলনে ক্যানসার

লোয়ার রিস্ক

  • ১৮ বছর বয়সের আগে গর্ভসঞ্চার।
  • সময়ের অনেক পূর্বে রজঃস্রাব বন্ধ।
  • ৩৭ বছর বয়সের আগে অপারেশন করে ওভারিগুলো বাদ দেওয়া হলে।

ফ্যাক্টর-যেগুলো থেকে ক্যানসার হতে পারে

  • বহুদিন যাবত ইস্ট্রোজেন দ্বারা চিকিৎসা (হরমোন প্রতিস্থাপন অথবা কন্ট্রাসেপটিভ ট্যাবলেট)।
  • অত্যধিক ক্যালোরিযুক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার বিশেষত প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ।
  • কম ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ।
  • সন্তানকে স্তন কম পান করান যারা।

উত্তেজক কারণ

  • অত্যধিক ধূমপান,মদ্যপান, যাবতীয় নেশা যেমন জর্দা, দোক্তা, পান পানমশলা, খৈনি, গুটকা, তাম্বুল, নস্যি, মাদকদ্রব্য গ্রহণ।
  • অসংযত জীবনযাপন ও ভেজাল খাদ্য।
  • তেজস্ক্রিয় রশ্মির পুনঃপুনঃ অব্যবহার।
  • আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে ও সূর্যরশ্মি।
  • প্রচুর খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য ব্যাপকভঅবে সার প্রয়োগ।
  • জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা কৃত্রিম পদ্ধতি ও ওষুধ প্রয়োগ।
  • বারবার বিষাক্ত ওষুধ দিয়ে গর্ভমোচন করা।
  • দীর্ঘদিন কোনো জায়গায় আঘাত, ঘর্ষণ ও তাপ লাগা।
  • যৌন হরমোন, যেমন ইস্ট্রোজেন ও ডি অক্সিকোলিক অ্যাসিডের প্রাবল্য।
  • লাগাতার মানসিক দুশ্চিন্তা।
  • ভ্যাকসিনেশন
  • অতিরিক্ত মাত্রায় মাংস ও ডিম খাওয়া।
  • অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার—পলি—সাইক্লিক হাইড্রোকার্বন, অ্যাজোকম্পাউন্ডস—সারলেটরেড প্যারাডাইমিথাইল—অ্যামাইনো অ্যাজো বেঞ্জিন, ন্যাপথলিন, আর্সেনিক।
  • অনেক বিজ্ঞানী জিন আর হরমোনকে স্তন ক্যানসার গ্রোথের কারণ বলে দাবি করেন। জেনেটিসিস্টরাও প্রমাণ করেছেন যে জিন আর হরমোনের কারণে ব্রেস্টে ক্যানসার সৃষ্টি হতে পারে।
  • HER 2 জিন ক্যানসার সেলকে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। মেডিসিনের সাহায্যে HER 2-কে থামিয়েও রাখা যেতে পারে।
  • কিছু ধরনের হরমোনও স্তনের ক্যানসার রোগে সাহায্য করে তাদের হরমোন রিসেপটর বলে।
  • ইস্ট্রোজেন রিসেপটর পজিটিভ টিউমার ক্যানসার গ্রোথে ইস্ট্রোজেনকে ব্যবহার করে।
  • প্রোজেস্টেরন রিসেপটার পজিটিভ টিউমার ক্যানসার গ্রোথে প্রোজেস্টেরনকে ব্যবহার করে।
  • হরমোন রিসেপটর নেগেটিভ

যেসব ফ্যাক্টরগুলো স্তন ক্যানসারের সাথে যুক্ত নেই

  • মালটিপল প্রেগনেন্সি
  • কফি অথবা ক্যাফেইন গ্রহণ

স্তন ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা বেশি

বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাস এবং স্তনের ফাইব্রোসিস্টিক রোগসমূহ এই রোগের জন্য দায়ী। যারা নিয়মিত ইস্ট্রোজেন ব্যবহার করেন তা হরমোন প্রতিস্থাপক হিসাবে হোক বা কনট্রাসেপটিভ ট্যাবলেট এবং যাদের বংশগত এই রোগের ইতিহাস রয়েছে তাদের স্তন ক্যানসার প্রবণতা বেশি। যারা প্রচুর পরিমাণে চর্বিজাতীয় খাবার খান তাদের ক্যানসার প্রবণতা বেশি।

স্তন ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা কম

যাদের কুড়ি বছরের আগে বাচ্চা হয়েছে, অনেক বাচ্চার মা, ভারতীয় বা এশিয় মহাদেশের মহিলা যারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান, কম ক্যালোরি, বেশি ফাইবার জাতীয় খাদ্যের অভ্যাস, নিরামিষাশী মহিলা।

শ্রেণীবিভাগ

অবস্থান ও কলাস্থান অনুসারে স্তন ক্যানসারের শ্রেণীবিভাগ করা হয়।

  • নন ইনভেসিভ: সলিড, ক্রিব্রিফর্ম, প্যাপিলারি, কমেডো।
  • ইনভেসিভ ইনফিলট্রেটিং ডাক্টাল কার্সিনোমা
  • বিশেষ ধরনের ইনভেসিভ ব্রেস্ট কার্সিনোমা: মেডুলারি কার্সিনোমা, মিউসিনাস অথবা কলয়েড কার্সিনোমা, টিউবিউলার, প্যাপিলারি, স্কিরাস।
  • স্পেশাল ইনফিলট্রেটিং ক্যানসার : প্যাগেট রোগ—স্তনের বোটার মুখে ঘা ও রক্তপাত হয়, প্রদাগযুক্ত ও ব্যথা অনুভূত হয়।
  • ইনফ্ল্যামেটরি স্তন ক্যানসার : খুবই মারাত্মক ধরনের ক্যানসার। এক্ষেত্রে স্তন লাল হয়ে চুলকানিসহ জ্বালা করে। ফুলে যায়, পাকা ফোঁড়ার মতো টাটানো ব্যথা, প্রচন্ড যন্ত্রণা হয় ও গরম অনুভূতি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা গর্ভাবস্থায় ও শিশুদের দুগ্ধদানকালীন সময়ে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
  • স্তন ক্যানসার যখন গ্ল্যান্ডুলার টিসু থেকে উৎপন্ন হয়: অ্যাডিনোকার্সিনোমা।
  • স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা: সারকোমা, কার্সিনোসারকোমা, সিস্টোসারকোমা ফাইলয়েড, সোয়েট গ্ল্যান্ড কার্সিনোমা।
  • ট্রিপল নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসার: এ ধরনের ক্যানসারকে সাধারণ ইনভেসিভ ডাক্টাল কার্সিনোমা বলে। এই ধরনের ক্যানসার সেলে ইস্ট্রোজেন রিসেপটর, প্রজেস্টেরন রিসেপটর ও HER 2 প্রোটিনের অভাব থাকে।
  • এডিনোকার্সিনোমা স্তনের অভ্যন্তরে বাইরের কলা এপিথেলিয়াম থেকে উৎপন্ন হয়
  • স্তনের ডাক্ট বা দুগ্ধনালী থেকে এবং দুগ্ধথলি বা লোবিউল থেকে ক্যানসার উৎপন্ন হলে তাকে টিস্য/নন- ইনভেসিভ বলে। এরা আবার দু’ধরনের, যথা—ডাক্টাল কার্সিনোমা ইনসিটু (DCIS) ও লোবিউলার কার্সিনোমা ইন সিটু (LCIS)। এক্ষেত্রৈ ক্যানসার ডাক্টাল বা লোবিউলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কখনোই পর্দা ভেদ করে স্তনের বাইরে বেরিয়ে আসে না।
  • ইনভেসিভ কার্সিনোমাতে ক্যানসার স্তন ভেদ করে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।
  • মেডুলারি বা সারকামস্ক্রাইবড—বড় ধরনের টিউমার, অতি দ্রুত হারে ক্যানসার বেড়ে যাওয়া প্রবণতা। একে সিস্টোসারকোমা ফাইব্রয়েড বলে।

রোগ পরিচয়

স্তনে স্কিরাস নামক ক্যানসারই অধিক দেখা দেয়। ক্যানসার হলে একটি স্থানে আলুর মতো শক্ত ভাব ঠেকে এবং স্তনের বোঁটাটি স্তনের ভিতরদিকে পুনঃপ্রবিষ্ট হয়ে নাভির কুন্ডলীর আকৃতি ধারণ করে। কিছুদিন পরে ক্রমে তাতে ক্ষত হতে থাকে। ক্ষতের চারধার শক্ত। ক্ষতস্থানটিতে বহুসংখ্যক ফুলকপির মতো উঁচু উঁচু ভাব দেখা যায়। ক্ষতের থেকে কষাটে মতো দুর্গন্ধময় পুঁজ পড়ে। ক্ষতস্থানে জ্বালা, সুচিবদ্ধবৎ বেদনা ইত্যাদি যন্ত্রণা হেতু রোগী সর্বদা অস্থির থাকে। রক্তবহা নালীতে ক্ষত হয়, সময় সময় বহু পরিমাণে রক্তস্রাব হয়। শরীরের অন্যান্য যন্ত্রও এই পীড়ার শেষ অবস্থায় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। রোগী জীর্ণশীর্ণ হতে থাকে। পা ফুলে যায়, উদরাময় এবং রক্তস্রাবাদি ইত্যাদি অন্তিমকালে উপস্থিত হয়।

স্তনের কোন অংশ সর্বাধিক আক্রান্ত হয়

প্রত্যেক স্তনকে চারটি সমান ভাগে ভাগ করা গেলে দেখা গেছে বাম স্তনে বিশেষ করে ওপরে বাইরের দিকে এই ক্যানসার বেশি হয়। ধীর গতিসম্পন্ন ক্যানসারেএক সেন্টিমিটার আকার নিতে প্রায় আট বছর সময় নিতে পারে।

ক্যানসার ধরা পড়ার পর রোগ কী স্টেজে বা গ্রেডে আছে

স্তন ক্যানসারের শ্রেণীবিভাগ অনুসারে ভাগগুলি- T(টিউমার), N(নোড বা লাসিকাগ্রন্থি) ও  M(মেটাস্টেসিস বা স্তনের বাইরে কতদূর ছড়িয়েছে)—রোগীর ক্যানসারের প্রকৃত স্টেজ বা গ্রেড জানা যায়।

স্টেজিং

স্তন ক্যানসারে স্টেজ নির্নয় করা হয় কারণ যে মহিলারা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন তাদের ক্যানসার কোন স্টেজে আছে, তা, বর্তমান চিকিৎসায় কতটা নিরাময় সম্ভব এবং আক্রান্ত ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানার জন্য। TNM ক্ল্যাসিফিকেশন পদ্ধতি স্তনে ক্যানসারের স্টেজ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।

  • T দ্বারা টিউমার তথা ডাক্টাল, লোবিউলার অথবা নিপলের প্যাগেট রোগ সূচনা করে।
  • N দ্বার লসিকা গ্রন্থির সূচনা করে।
  • M মেটাটেস্টিস আবস্থার সূচক।
  • T1 টিউমার ০.১ সেমি অথবা এর কম সাইজের।
  • T1a টিউমার ০.১ সেমির বেশি বড় কিন্তু ০.৫ সেমির কম সাইজের
  • T1b টিউমার ০.৫ সেমির বেশি কিন্তু ১ সেমির কম সাইজের
  • T1c টিউমার ১ সেমির বেশি কিন্তু ২ সেমির কম সাইজের
  • T2 টিউমার যখন ২ সেমির বেশি কিন্তু ৫ সেমির কম সাইজের
  • T3  টিউমার ৫ সেমির চেয়ে বড় সাইজের
  • T4 টিউমার যখন ৫ সেমির বড় সাইজের কিন্তু সরাসরি বক্ষ আবরণীর সাথে অথবা ব্রেস্টের চামড়ার সাখে যুক্ত থাকে
  • T4a চেস্ট ওয়ালের সাথে যুক্ত থাকে কিন্তু পেকটোর‌্যালিস মেজরের সাথে যুক্ত নয়।
  • T4b ইডিমা, কমলালেবুর খোসার মতো স্তনের চামড়া ছিদ্রযুক্ত হয়ে যায়, স্তনের ত্বকে ঘা, ক্ষত হয়ে যায়
  • T4c উভয় T4a এবং T4b।
  • T4d ইনফ্ল্যামেটরি কার্সিনোমা
  • রিজিওনাল লিম্ফনোড ক্লিনিক্যাল--
  • Nx কোনো লিম্ফনোড নির্ণয় করা যায়নি।
  • N0 কোনো লিম্ফনোডে মেটাস্টেসিস হয়নি।
  • N1 একদিকের অ্যাক্সিলারি একত্রে লিম্ফেনোড ছড়ায় যেটা নড়াচড়ার সক্ষম
  • N2 একদিকের অ্যাক্সিলারি লিম্ফনোড একের অধিক থাকে যা নড়াচড়া সম্ভব।
  • N3 একদিকের একের অধিক অ্যাক্সিলারি লিম্ফনোড দ্বারা একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে অথবা বগলের চামড়ার ভিতরের সাথে যুক্ত থাকে।
  • N4 দুদিকের অ্যাক্সিলারি লিম্ফনোড ছড়িয়ে পড়ে, তাছাড়া ইনফ্ল্যাক্ল্যাভিকিউলার লিম্ফনোডে ছড়িয়ে পড়ে।
  • ডিস্ট্যান্ট মেটাস্টেসিস---
  • Mx লোকাল টিউমারের স্থান থেকে দূরে কোথাও ছড়িয়েছে কিনা নির্ণয় করা যায়নি।
  • M0 লোকার টিউমারের স্থান থেকে দূরে কোথাও ছড়ায়নি।
  • M1 টিউমার থেকে দূরে কোথাও ছড়িয়ে পড়েছে।
  • M2 লোকাল টিউমারের স্থান থেকে দূরে কোথাও একের অধিক জায়গায় ছড়িয়েছে।

ব্রেস্ট ক্যানসার স্টেজ

  • স্টেজ O: ইন সিটু ব্রেস্ট ক্যানসার।
  • স্টেজ । : ছোট টিউমার যা নড়াচড়ায় সক্ষম।
  • স্টেজ ।। : স্টেজ । কিন্তু টিউমারটি যে দিকের ব্রেস্টে আছে সে দিকের অ্যাক্সিলারি লিম্ফনোডে ছড়িয়ে পড়ে।
  • স্টেজ ।।। : লোকালি অ্যাপভ্যান্সড যেটি ব্রেস্টের এবঙং চেস্ট মাসলের সাথে যুক্ত থাকে। নড়াচড়া করতে পানে না।
  • স্টজ ।v : ডিসট্যান্ট মেটাস্টেসিস হয়। টিউমার ব্রেস্ট ভেদ করে দূরে ছড়িয়ে পড়ে।

ক্যানসার গতি বাড়া বা কমার তারতম্য আছে। ধীরে গতি সম্পন্ন ক্যানসার এক সেন্টিমিটার আকার নিয়ে প্রায় আট বছর সময় নিতে পারে। দ্রুতগতি সম্পন্ন ক্যানসার খুব দ্রুত হারে বেড়ে যায়। লসিকাগ্রন্থি প্রণালী ও রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে প্রথমে বামদিকের হৃৎপিন্ড এবং পরে ফুসফুস, যকৃত, কিডনি, মস্তিষ্ক, হাড় এবং এড্রিনাল গ্রন্থিকে পৌঁছায়। এইসব রোগীরা সাধারণত রোগ ছড়ানোর পর মারা যান। স্তনের ক্যানসার তিনটি ছড়ানোর পর মারা যান। স্তনের ক্যানসার তিনটি পদ্ধতিতে সারা শরীরে ছড়ায়।

প্রথমত, লোকাল টিউমার স্তনেই আস্তে আস্তেআকারে বড় হয়। পরে পর্দা ভেদ করে মাংসপেশি ও বক্ষপ্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

দ্বিতীয়ত, রিজিওন্যাল (লসিকা প্রণালীর মাধ্যমে) প্রথমে বগলের লসিকা গ্রন্থিতেও ধীরে ধীরে বক্ষপ্রদেশের, সারভাইকাল, সুপ্রাক্ল্যাকিউলার গ্রন্থিগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।

তৃতীয়ত, ডিসট্যান্ট। রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ফুসফুস, লিভার, কিডনি, মস্তিষ্কে, এড্রিনাল গ্রন্থিতে ও হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

মেটাস্টেটিক ব্রেস্ট ক্যানসার

মেটাস্টেটিক ব্রেস্ট ক্যানসারকে আবার চতার্থ স্টেজের ব্রেস্ট ক্যানসার বলে।

কীভাবে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে

  • ক্যানসার সেল পার্শ্ববর্তী সুস্থ কোষগুলিকে খেয়ে ফেলে।
  • ক্যানসার সেল লিম্ফাটিক সিস্টেমের সাহায্যে ছড়িয়ে পড়ে।
  • ক্যানসার সেল রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
  • ক্যানসার কোষ ক্যাপিলারির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী টিসুগুলিতে পৌঁছে যায়।
  • নতুন ছোট টিউমার তৈরি হয়।

ব্রেস্ট ক্যানসার হাড়ে কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়ে

  • হাড়ে
  • মস্তিষ্কে
  • ফুসফুসে
  • লিভার

ব্রেস্ট ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়লে কী কী লক্ষণ দেখা যায়

  • হাড়ে যন্ত্রণা অসহ্য যন্ত্রণা যা সহজেই বেড়ে যায়
  • হাড় ফুলে যায়
  • হাড়গুলো ভঙ্গুর হয়ে যায়

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন