×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

অনিদ্রা থেকে নিশ্চিত রেহাই

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-24 14:00:00

অতি সম্প্রতি শিকাগো বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিস্টেন নাটসন মানুষের ঘুমের সঙ্গে মোটা হওয়ার প্রবণতা নিয়ে একটি গবেষণামূলক সমীক্ষা করেন। ৬৮০০ জন মহিলাকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। এদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। একদল যারা প্রতি রাতে ৬ ঘন্টার কম ঘুমান তাদেও ‘স্বল্প ঘুমানো’ দলে রাখা হয়। অন্যদিকে ৬ ঘন্টার বেশি ঘুমানো মহিলাদের ‘স্বাভাবিক ঘুমের’ দলে রাখা হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে ৪-৫ ঘন্টা ঘুমানো মহিলাদের ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী হরমোন ‘ঘ্রেলিন’ বেশিমাত্রায় সৃষ্টি হচ্ছে এবং ক্ষুধা কমানোর হরমোন লেপটিন তৈরি হচ্ছে কম মাত্রায়। এর ফলে কম ঘুমানো লোকেরা প্রতিদিন প্রায় ১০৯০ ক্যালোরি খাদ্য গ্রহন করছে। অন্যদিকে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো লোকেরা মাত্র ৮৭০ ক্যালোরি খাদ্য গ্রহণ করছে। উল্লেখ্য, বাড়তি ক্যালোরি হিসাবে উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার যেমন, চিপ্স, ক্রাকার্স, পপকর্ন, কুকিজ, ¯œ্যাক্স, পুডিং, আইসক্রিম ও ক্যান্ডির চাহিদা থাকছে বেশি। এর ফলে কম ঘুমানো লোকেদের মোটা হওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত বেশি মাত্রায় দেখা দিচ্ছে। একই সাথে এদেও মধ্যে ইনসুলিন প্রতিরোধ ঘটে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে দেখা গেছে। ঝুঁকি রয়েছে উচ্চ রক্তচাপেরও। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুম কম হলে মস্তিস্কের ‘ ভেন্ট্রো মিডিয়াল প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স’-এর পুষ্টিকম হয়। ফলে মানুষের নীতিবোধ ঠিকভাবে কাজ করে না। মানুষ বদমেজাজী হয়ে ওঠে। এছাড়া অনিদ্রার ফলে ক্লান্তি ও অবসাদ দেখা দেয়।  একটানা অনিদ্রায় কর্মদক্ষতা এবং প্রতুৎপন্নমতিত্ব ভীষণভাবে কমে যায়। দীর্ঘকালীন অনিদ্রায় হ্যালুসিনেশন ও ডিলিউশন ঘটতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সিজোফ্যেনিয়ার কারণ হিসাবেও অনিদ্রাকে দায়ী করা হয়। ঘুম হল শরীরের স্বাভাবিক প্রতিবর্তক্রিয়া, যা শরীরের শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করে। স্বাভাবিক ঘুমের সময়ে মস্তিস্কের মিডাব্রেন, হাইপোথ্যালামাসও অ্যাকুইডাক্টের চারপাশে--- সেরোটোনিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যাসেটাইল কোলিন প্রভৃতিও নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে। সাধারণত দিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমকেই একজন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে যথেস্ট বলে মনে করা হয়। অনিদ্রার ক্ষেত্রে রোগীর ঘুম খুব কম হতে পারে, যেমন ৩-৪ ঘন্টা।  অনেক সময় ঘুম আসতে দেরিহ য়। আবার অনেকের ঘুম বারবার ভেঙে যায়। শিশু বা কম বয়সীদের ক্ষেত্রে অনিদ্রার সাথে দুঃস্বপ্ন, ভয়, ঘুমের মধ্যে কথা বলা প্রভূতি বেশি দেখা যায়। কিছু মানুষের বিছানায় শুতে গেলে তাদের পায়ে অদ্ভুত ধরনের অস্বস্তি হয়। কিছু সময় হাঁটার পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। অনিদ্রার কারণ নানরকম হতে পারে। যেমন--দীর্ঘকালীন রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক অস্থিরতা, মানুসিক চাপ, অত্যধিক চা-কফি-মদ্যপান প্রভূতি। আকুপাংচার যে অনিদ্রা নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী তা নানা গবেষণায় প্রমাণিত। ই.ই.জি পরীক্ষায় দেখা গেছে আকুপাংচার চলাকালীন ডেল্টা ও থিটা ওয়েভ হ্রাস পায়। অন্যদিকে গামা ইমিউনো বিউটারিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ঘুমের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আকুপাংচার চিকিৎসায় রোগীর সামগ্রিক অনুসন্ধানের পর অনিদ্রার কারণটি নির্ণয় করা হয়। এরপর শরীরের ত্বকের ওপর অবস্থিত ৪-৫টি বিন্দুতে অতি সূক্ষ সূচ উপযুক্তভাবে পরিশোধনের পর ফোটানো হয়। দক্ষ হাতে সূচ ফোটালে কোনো ব্যথাই অনুভূত হয় না। সূচগুলি ২০ মিনিট রাখার পর তুলে নেওয়া হয়। এর সাথে ৭টি সূচবিশিষ্ট হ্যামারের সাহায্যে মাথার, ঘাড়ে, কোমরে মৃদু আঘাত করা হয়। আকুপাংচাওে কোনো ওষুধ বা রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয় না। ফলে পাশর্^প্রতিক্রিয়ার সম্ভবনা নেই। আকুপাংচারের নীতিই হল শরীরের নিজস্ব সম্পদ অর্থাৎ বিভিন্ন এনজাইম, হরমোন প্রভৃতিকে কাজে লাগিয়ে রোগ নিরাময় করা। অনিদ্রার রোগীদের কিছু অবশ্য করণীয়---

  • দীর্ঘকালিন কোনো রোগ থাকলে তার উপযুক্ত চিকিৎসা করতে হবে।
  • খাদ্যের ব্যাপাওে আনতে হবে সংযম। তেল, মশলা, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত চা, কফি, পান কমাতে হবে।
  • মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান করা যেতে পারে।
  • রাত্রে শোবার আগে বেশি জলপান করলে বারবার আঘে বেশি জলপান করলে বারবার প্রস্রাবের বেগ ঘুমকে ব্যাহত করে। তাই রাতে সীমিত বা পরিমিত জল পান করা উচিত। উত্তেজক গান, বাজনা, সুর ঘুমকে ব্যাহত করে। তবে মৃদু সুর, মূলত তার-বাদ্যের সুর ঘুমের সহায়ক।
এভাবেই আকুপাংচার চিকিৎসা এবং কিছু সরল অভ্যাস অনিদ্রা নিরাময় করতে পারে।  সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন