×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

হৃদ-ভাল্বের সমস্যা

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-06 13:14:28

“ভাল্ব রিপেয়ারিং করা হয় ওপেন হার্ট পদ্ধতি এবং নন ওপেন হার্ট পদ্ধতির মাধ্যমে।  রিপেয়ারিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হিমোডায়নমিক পদ্ধতি স্বাভাবিক করে দেওয়া। হিমোডায়নামিক পদ্ধতির অর্থ সিস্টেমিক ব্লাড প্রেসার, টিস্যু রেসপিরেশন প্রেসার যা শরীরের  এক গুরুত্বপূরর্ণ অংশ। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই শরীরের রক্ত সঞ্চালিত হয়। কোষে পুষ্টি এবং রেচন  ঘটে। ভাল্ব গন্ডগোল হলে এই পদ্ধতি ঠিকভাবে কাজ করে না। তাই ভাল্ব রিপেয়ারিংয়ের মূল উদ্দেশ্যই হল এই পদ্ধতিতে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করে দেওয়া” আমাদের হৃৎপিন্ড চারটি প্রকোষ্ঠ দিয়ে গঠিত। ওপরের দুটি প্রকোষ্ঠ যথাক্রমে ডান ও বাম অলিন্দ এবং নীচের দুটি প্রকোষ্ঠ যথাক্রমে ডান ও বাম নিলয়। অলিন্দের সঙ্গে ঊর্ধ্ব ও নিম্ন মহাশিরা এবং বাম অলিন্দের সঙ্গে চারটি ফুসফুসীয় শিরা যুক্ত থাকে। ডান অলিন্দ ডান নিলয়ে সঙ্গে ডান অলিন্দ-নিলয় ছিদ্র দিয়ে উম্মুক্ত। এই ছিদ্রে ত্রিপত্রক কপাটিকা থাকে। বাম অলিন্দ বাম নিলয়ের সাথে বাম-অলিন্দ নিলয় ছিদ্র দিয়ে উম্মক্ত। ওই গহ্বরে থাকে দ্বিপত্রক কপাটিকা। বাম অলিন্দ থেকে মহাধমনী এবং ডান অলিন্দ থেকে ফুসফুসীয় ধমর্নী নির্গত হয়েছে। এই দুই সংযোগস্থলে থাকে অর্ধ চন্দ্রাকার কপাটিকা। কপাটিকাগুলো রক্তের প্রবাহ একমুখী রাখতে সাহায্য করে। ডান হৃৎপিন্ডে দূষিত রক্ত এবং বাম হৃৎপিন্ডে বিশুদ্ধ রক্ত প্রবাহিত হয়। ডান হৃৎপিন্ডটি বাম হৃৎপিন্ডের ওপরে অবস্থান করে। বাম হৃৎপিন্ডটি ডান হৃৎপিন্ডটির থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাম হৃৎপিন্ডের রক্ত সারা শরীরে ছরিয়ে পড়ে। এই চেম্বারটি উচ্চ রক্তচাপ যুক্ত চেম্বার এবং শরীরের প্রধান রক্ত সরবরাহকারী অঙ্গ। দ্বিপত্রক কপাটিকার গঠন দ্বিপত্রক কপাটিকা পাঁচটি অংশ নিয়ে গঠিত। এই পাঁচটি অংশ হল – রিং, কাম্প, কার্ডি, ভাল্ব অ্যাপারচার, ভাল্ব সংলগ্ন লেফ্ট ভেট্রিকলের গার্ড। এই পাঁচটি অংশের কোনও একটিতে কিছুমাত্র গন্ডগোল দেখা দিলে ভাল্বটি আর ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এই ভাল্বটি ঠিক নৌকার পাল বা নসস্কারের মতো বন্ধ হয়। নমস্কারের চূড়ায় কোনও অবলম্বন না থাকা সত্ত্বেও ভাল্বটি কী করে ৮০ ডায়াস্টোলিক প্রেসার ঠিক থাকে তা এক অপার বিস্ময়! ভাল্ববের এই গঠনে কারণে রক্ত বেরিয়ে যেতে পারে কিন্তু ফিরে আসতে পারে না। যখন লেফ্ট ভেট্রিকল সংকুচিত হয় তখন ভাল্বটি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে রক্ত লেফ্ট আর্টারিতে প্রবেশ করতে পারে না। এরপর যখন আর্টারিতে প্রবেশ করতে পারে না। এরপর যখন আর্টারিতে প্রবেশ করতে পারে না। এরপর যখন আর্টারির ভাল্ব খুলে যায় তখন রক্ত দ্বিপত্র কপাটিকার মাধ্যমে অ্যাওয়ার্টার প্রবেশ করে। মনে রাখতে হবে বাম হৃৎপিন্ডে যেহেতু বিশুদ্ধ রক্ত প্রবাহিত হয় তাই দ্বিপত্রক কপাটিকার সামান্য ছিদ্র থাকলেও বিপদ। ত্রিপত্রক কপাটিকার গঠন ত্রিপত্রক কপাটিকার গঠনও অনেকটা দ্বিপত্রক কপাটিকার মতোই। তবে ত্রিপত্রক কপাটিকার মাধ্যমে যেহেতু দূষিত রক্ত প্রবাহিত হয় তাই এই ভাল্ব সামান্য ছিদ্র থাকলে কোন্র অসুবিধার হয় না। যেহেতু তা দ্বিপত্রক কপাটিকার মতো করাও দরকার। দরতার ডাক্তারবাবুর সাথে পরামর্শ করা। ভাল্বের সমস্যা ভাল্বের সমস্যাকে দু’ ভাগে ভাগ করা যায়—জন্মগত এবং অর্জিত। জন্মগত সমস্যাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পালমোনারি ভাল্বে পালমোনারি স্টেনোসিস, অ্যাওটিক ভাল্বে অ্যাওটিক স্টেনোসিস, মাইট্রাল ভাল্বে মাইট্রাল স্টেনোসিস। তবে এই সমস্যাটি খুব কম দেখা যায়। স্টেনোসিস শব্দটির অর্থ ভাল্বগুলো যুক্ত হয়ে যাওয়া, যার ফলে ঠিকভাবে খোলা-বন্ধ হতে পারে না। ত্রিপত্রক কপাটিকার সাধারণত কোনও জন্মগত ত্রুটির কারণে সমস্যা হয় না। অনেক সময় আবার ভাল্বগুলোতে লিকও হয়। আবার অনেক সময় লিক ও স্টেনোসিসের সমস্যা একসঙ্গে দেখা যায়। আর অর্জিত যেসব কারণে ভাল্বের সমস্যা দেখা দেয় সেগুলো হয় রিওম্যাটিক প্রসেস, মাইট্রাল ভাল্ব স্টেনোসিস অথবা স্মলার মাইট্রাল ভাল্ব ওরিফিস রিগারজিটেসন অথবা লিক কম্বাইন্ড অ্যাফেকশন। অ্যাওটিক ভাল্বেও একই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজের কারণে প্যাপিলারি মাসলসে সমস্যা দেখা দিলে তার ফলে ভাল্ব সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভাল্বের রিপেয়ারিং ভাল্ব রিপেয়ারিং করা হয় ওপেন হার্ট পদ্ধতি এবং ওপেন হার্ট পদ্ধতির মাধম্যে। রিপেয়ারিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হিমোডায়নামিক পদ্ধতি স্বাভাবিক করে দেওয়া। হিমোডায়নামিক পদ্ধতির অর্থ সিস্টেমিক ব্লাড প্রেসার, টিস্যু রেসপিরেশন প্রেসার এবং গ্লোমেরুলাস ফিলট্রেশন প্রেসার যা শরীরের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই শরীরের রক্ত সঞ্চালিত হয়। কোষে পুষ্টি এবং রেচন ঘটে। ভাল্বে গেন্ডগোল হলে এই পদ্ধতি ঠিকভাবে কাজ করে না । তাই ভাল্ব রিপেয়ারিংয়ের মূল উদ্দেশ্যই হল এই পদ্ধতিতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে দেওয়া। নন ওপেন হার্ট পদ্ধতি এই পদ্ধতিটি কার্ডিওলজিস্ট এবং র্কাডিও থোরসিক সার্জেন এই দু’ধরনের চিকিৎসকই প্রয়োগ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে মাইট্রাল ভাল্ব স্টেনোসিস এবং পালমোনারি ভাল্ব স্টেনোসিস বেলুন সার্জারির মাধ্যমে ঠিক করা হয়। এই পদ্ধতিতে নলের মাথার একটি বেলুন যুক্ত করা থাক। বেলুনটি দেখতে অনেকটা ‘৪’-এর মতো। এই বেলুনের মধ্যে ডাই সলিউশন ভরা থাকে। এরপর বেলুন-সুদ্ধ নলটি কুঁচকি দিয়ে মাইট্রাল ভাল্ব অরিফিসে প্রবেশ করিয়ে বেলুনটি ফাটিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে বেলুনটির ‘৪’ এর আর্কতি পরিবর্তিত ‘০’-এর আকৃতি হয়। ফলে ভাল্বটি খুলে যায়। লেফ্ট আর্টারি এবং লেফ্ট ভেট্রিকলের মধ্যে চাপের পার্থক্যের ওপর থেকে অস্ত্রোপাচারের সাফল্য নির্ভর করে। বেলুন পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসার খরচ ৩০০০০ টাকার বেশি। এক্ষেত্রে নতুন বেলুন ব্যবহার করা হয়। আর পুরনো বেলুনের ব্যবহার করলে খরচ অনেক কম হয়। একটা বেলুন তিন থেকে চারবার ব্যবহার করা চলে। তবে এই পদ্ধতি একাধিকার প্রয়োগ করার দরকার হতে পারে । এই পদ্ধতি একাধিকার প্রয়োগের পরেও কিছু ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। যা অনেক সময় শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ওপেন হার্ট পদ্ধতি যখন বেলুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না, যখন বেলুন পদ্ধতি প্রয়োগ সত্ত্বেও সাঁফল্য আসে না, যখন মাইট্রাল ভাল্ব স্টেনোসিসের সাথে ব্লাড ক্লটও থাকে তখন ওপেন হার্ট পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে খরচ বেশি। কারণ হার্ট, লাং মেশিন চালানোর খরচ অনেক। অভিঙ্গ ডাক্তারবাবু ছাড়া এই পদ্ধতিতে সাফল্যের হার কমে যায়। যাঁর হৃৎপিন্ডের ভাল্বের গঠন সম্বন্ধে যত জ্ঞান তাঁর হতে অস্ত্রোপ্রচার ততই ভালো হবে। এই পদ্ধতিতে রোগীর হৃৎপিন্ড, হার্ট-লাং মেশিনের সাহায্যে সচল রাখা হয়। তারপর রোগীকে অজ্ঞান করার পর হৃৎপিন্ড পাঁজর কেটে উম্মুক্ত করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অসোত্রাপ্রচার করে হৃৎপিন্ডের ভাল্ব ঠিক করা হয়। এরপর ওপেন হার্ট পদ্ধতির প্রয়োগের পর অন্যান্য রোগীদের যেভাবে রাখা হয়ে সেভাবেই এই রোগীকে রাখা হয়। আর অস্ত্রোপচারের পর কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হয়। ভাল্ব রিপেয়ারিং আর ভাল্ব রিপ্লেসমেন্টের মধ্যে প্রধান পার্থক্য সার্জেনের অভিজ্ঞতা। রিপেয়ার করতে সবাই পারে না। একমাত্র অভিজ্ঞ ডাক্তারবাবুই এ ধরনের অস্ত্রোপ্রচার করতে পারেন। গর্ভবতী মা বা শিশুদের কক্ষেত্রে ভাল্বরিপ্লেসমেন্ট করা যায় না। গর্ভবতী মা এবং শিশু উভয় ক্ষেত্রেই ভাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করার পর যে অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট দেওয়া হয় তা তাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। শিশুদের ক্ষেত্রে ভাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করার আরও যে অসুবিধা আছে তা হল শিশুরা পরিণত হলে তাদের হৃদপিন্ড আয়তন বাড়ে। কিন্তু কৃত্রিম ভাল্ব আয়তনে বাড়ে না। তাই সমস্যাটি পুনরায় ফিরে আসে। এছাড়া ভাল্ব রিপ্লেসমেন্টের কারণে নিয়মিত চেক-আপ করাতে হয় যা আমাদের মতো দেশে ব্যয়বহুল। ওপেন হার্ট পদ্ধতিতে ভাল্ব রিপেয়ার করা হলে পরবর্তী কালে রোগী স্বাচ্ছন্দ স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারে। অন্যান্য অস্ত্রোপাচারে যে ধরনের সতর্কদা অবলম্বন করতে হয় এই অস্ত্রোপচারেরও সেই একই ধরনের সতকর্তা অবলম্বন করতে হয়। যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। বিবাহিত জীবনেও কোনও অসুবিধা নেই। খাওয়া-দাওয়াতেও কোনও বিধিনিষেধ নেই। তাই হৃদ ভাল্বে কোনও গন্ডগোল দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারবাবুর সাথে যোগাযোগ করুন। সুস্থ হয়ে যাবেন। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন