×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

গর্ভাবস্থায় অ্যাপেন্ডিসাইটিসের বিপদ

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-08 16:49:20

মানবদেহে ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের সংযোগস্থলকে বলে ইলিওসিকাল জাংশন । এই সংযোগস্থলের ২ সেন্টিমিটারের নিচে সিকাম থেকে টিকটিকির লেজের মতো দেখতে একটি নালী বেরীয়ে আসে যার এক দিক বন্ধ থাকে । এই নালীকে বলে অ্যাপেন্ডিক্স । অ্যাপেন্ডিক্সের দৈর্ঘ ২ থেকে ২০ সে:মি: পর্যন্ত হতে পারে । তবে গড়ে এর দৈর্ঘ হলো ৯ সে:মি:। যে কারনে হয় অ্যাপেন্ডিসাইটিস : জীবানু সংক্রমন, অবরোধ, পিনের মত কৃমি বা গোল কৃমি নালীর মধ্যে প্রবেশ করে মুখ বন্ধ করে দেয়, ফলে দেখা দেয় প্রদাহ । আবার অনেক সময় পায়খানার সাথে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, ব্যাক্টেরিয়া, এপিথেলিয়াল টিস্যু মিশে গিয়ে দলা পাকিয়ে অ্যাপেন্ডিক্সের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে যার ফল স্বরূপ  অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয় । গর্ভাবস্থায় প্রতি ১৫০০ জনের মধ্যে ১ জনের এই রোগ হতে দেখা যায় । উপসর্গ ও লক্ষণ : পেটে ব্যথা, নাভির চারদিক ব্যথা শুরু হয়ে তলপেটে ডানদিকে তীব্র ব্যথা হয় ।  অ্যাপেন্ডিক্সের অবস্থান এখানেই। সঙ্গে বমি বা বমিভাব এবং খাদ্য গ্রহনে অনীহা দেখা দেয় । জ্বর বা দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, নাড়ির গতি বৃদ্ধি, তলপেটে চাপদিলে ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং পেটের মাংসপেশি গুলো শক্ত হয়ে যাওয়া । তবে গর্ভাবস্থায় অ্যাপেন্ডিসাইটিস বোঝা বা নির্ণয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় । কারন বমিভাব বা বমি গর্ভাবস্থার এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সাধারন উপসর্গ । রক্তে শে^তকনিকার সংখ্যা দুই ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি পায় । জরায়ুর আকার বাড়ার সঙ্গে অ্যাপেন্ডিক্স ওপরের দিকে এবং বাইরের দিকে সরে যায় । সেজন্য ব্যথা নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে না । রোগ নির্ণয়ে তাই অনেক সময়ে অন্য রোগ বলে ভূল হতে পারে, যেমন এক্টোপিক প্রেগনেন্সি, পায়েলোনেফ্রাইটিস, ওভারিয়ান সিস্ট, প্লাসেন্টার রক্তক্ষরন বা ফাইব্রয়েডের ডিজেনারেশন । পরীক্ষা :কোন পরীক্ষা করেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা যায় না । শুধু মাত্র ডাক্তার বাবুরা লক্ষন বা উপসর্গ দেখেই এ রোগ নির্ণয় করে থাকেন । তবে রক্ত পরীক্ষা, প্রসাব পরীক্ষা, আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হতে পারে অন্য কোন রোগের সন্দেহ দুর করার জন্য । গর্ভাবস্থায় রোগ নিণয়ে খুবই অসুবিধা হয় আর ২০ ভাগ ক্ষেত্রে  অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যায় এবং পেরিটোনাইটিস হয়ে যায় । গর্ভাবস্থায় অ্যাপেন্ডিসাইটিসের জটিলতা : রোগ নির্ণয়ে বিলম্বের কারনে ২০ ভাগ ক্ষেত্রে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যায় এবং পেটে বড় ধরনের সংক্রমন অর্থাৎ পেরিটোনাইটিস হতে পারে । এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে গর্ভপাত হতে পারে, প্রসবের নির্দিষ্ট সময়ের আগেও গর্ভপাত হতে পারে । শিশু মৃত্যু এবং গর্ভবতি মায়ের মৃত্যুও ঘটতে পারে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কারনে । চিকিৎসা :অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়লে যত তারাতাড়ি সম্ভব অপারেশন করা দরকার । এতে মা ও শিশু মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে। এই রোগের এক মাত্র চিকিৎসা অ্যাপেন্ডেক্টমি অর্থাৎ অপারেশন করে  অ্যাপেন্ডিক্স কেটে বাদ দেওয়া । অপারেশনের আগে স্যালাইনের সাহায্যে রোগীর শরীরের লবনজলের ঘাটতি পূরন করা হয় । সংক্রমন প্রতিহত করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় । মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য গর্ভাবস্থায় অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়লে অপারেশনে একদমই দেরি নয় । পুনশ্চঃ বাংলা ভাষায় জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘সুস্বাস্থ্য’ এ প্রকাশিত প্রবন্ধ অবলম্বনে রচিত.