×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যায় হোমিওপ্যাথি কখন বেশি উপযোগী

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-10 15:22:42

মহিলাদের জরায়ুর দু’পাশে দুটো টিউব থাকে যার নাম ফ্যালোপিয়ান টিউব। আমাদের কাঁধের দু’পাশ দিয়ে যেমন দুটো হাত ঝুলে থাকে, ঠিক তেমন ভাবেই ফ্যালোপিয়ান টিউব দুটোও ঝুলে থাকে। টিউবের শেষ প্রান্তে থাকে আঙুলের মতো ফিমব্রিয়া। এই ফিমব্রিয়াগুলো থাকে ওভারের ঠিক ওপরে। ওভারি থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু বের হয়। ডিম্বাণু ওভারি থেকে বেরোলেই ফিমব্রিয়াগুলো তাকে ধরে টিউবের মধ্যে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে, যৌন মিলনের পর শুত্রাণু এই টিউবের মধ্যে ডিম্বাণুর জন্য অপেক্ষা করে। ফ্যালোপিয়ান টিউবের অন্যতম গুরুত্ব এখানেই ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর প্রথম মিলন হয়ে এখানেই নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে টিউবের মধে দিয়ে গড়িয়ে গিয়ে জরায়ুতে প্রবেশ করে ও প্রতিস্থাপিত হয়। জরায়ুতেই র্ভ্রণের বিকাশ ঘটে পূণাঙ্গ শিশুতে পরিণত হয়। ফ্যালোপিয়ান টিউবের দোষ-ক্রটি মাতৃত্ব লাভে বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়াই। সেক্ষেত্রে কখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্ভব, আর কখন নয় তাই নিয়েই আলোচনা। ফ্যালোপিয়ান টিউবের প্রধান সমস্যা হল ইনেফ্লামেশন ও ইনফেকশন, যাকে বলা হয় স্যালপিনজাই টিস। স্যালপিনজাই টিসকে পি.আই.ডি বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজের একটি অংশ হিসাবে ধরা হয়। যোনির ইনফেকশন থেকে জঅবণিু লিম্ফ চ্যানেল দিয়ে টিউবে পৌঁছে যায়। গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, স্ট্রেপ্টোকক্কাস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস ইত্যাদি ব্যাক্টেরিয়াগুলো প্রধানত ইনফেকশন ঘটায়। এই ধরনের ইনফেকশনের প্রধান উৎস হল যৌন মিলন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, পেরিটোনাইটিস, গাইনোকোজিক্যাল অপারেশন বা তলপেটের অপারেশন, অপরিচ্ছন্নতা প্রভৃতি। স্যালপিনজাই টিসের প্রধান লক্ষণগুলো হল দুর্গন্ধ যুক্ত স্রাব, দুটো পিরিয়ডের মাঝে থেকে থেকে রক্তস্রাব, যৌনসিলনে কষ্ট, পিরিয়ডের সময় পেটে ও কোমরে ব্যথা, হালকা জ্বর। স্যালপিনজাইটিস বেশি দিন চললে টিউব ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে। ইনিফেকশন অনেক দিন থাকলে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে বাধা তৈরি করে। ইনফেকশন পুরনো হলে টিউবের ভিতরের মসৃণতা নষ্ট হয়। তখন ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে সৃষ্ট র্ভ্রণটি টিউবের মধ্যেই আটকে থেকে সেখানেই বড় হতে থাকে। একে এক্টোপিক প্রেগনেন্সি বলে। এই প্রেগনেন্সি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় ও টিউবটিকেও ফাটিয়ে নষ্ট করে দেয়। স্যালপিনজাই টিসের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে খুব ভালো ভাবেই করা যায়। প্রয়োজনে ভ্যাজাই নাল সোয়াব থেকে ব্যাক্টেরিয়াকে চিহ্নিত করতে হয় বা হিস্টেরোস্যালপিঙ্গোপি করে দেখে নিতে হয়। হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণ ভিত্তিক ওষুধ দিলেই স্যালপিনজাই টিস সারানো যায়। লাইকোপোডিয়াম, থুজা, টিউবারকু লিনাম, সরাইনাম, পাইরোজেন, ওভা টেস্ট, আলুমিনা ইত্যাদি ওষুধগুলো ভালো কাজ করে। ফ্যালোপিয়ান টিউবে অনেক সময় ব্লক ও অ্যাডেশন থাকে। এই ব্লক জন্মগত কারণে বা অন্য কোনো কারণেও হতে পারে। অ্যাপন্ডিসাইটিস রাপচার হয়েও ফ্যালোপিয়ান টিউব জড়িয়ে যেতে পারে। অনেক সময় এন্ডোমেট্রিয়োসিস বা ইউটেরাইন টিস্যু টিউবে ঢুকে ব্লক হতে পারে। ইনফেকটিভ ব্লক বা ইনফেকশন থেকে ব্লক হলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় সারানো যায়। এক দিকের টিউবে ব্লক বা ইনফেকশন থেকে ব্লক হলে হোমওিপ্যাথিক চিকিৎসায় সারানো যায়। এক দিকের টিউবে ব্লক থাকলে বাচ্চা আসা সম্ভব কিন্তু দু’টো টিউব ব্লক থাকলে শল্য চিকিৎসার সাহায্য নেওয়াই ভালো। জন্মগত ব্লক থাকলে সার্জারি করাতেই হবে। টিউবের মধ্যে অনেক সময় সিস্ট বা টিউমার হয়ে ব্লক করতে পারে। টিউবের বাইরে বা আশেপাশে কোনো বড় টিউমার থাকলে তার চাপেও অনেক সময় টিউব ব্লক হয়ে যেতে পারে। ইউটেরাসের মধ্যে বড় ফাইব্রয়েড থাকলেও টিউবের মুখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই সব ক্ষেত্রে সিস্ট বা টিউমার বা ফাইব্রয়েডের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে করা যায়। ফ্যালোপিয়ান টিউব এতই সরু ও সংবেদনশীল যে এখানে অপারেশন করতে সবাই ভয় পাই। সামান্যতম এদিক-ওদিক হলেই টিউব নষ্ট হয়ে যায়। আর এই টিউব একবার নষ্ট হয়ে গেলে তাকে পুনরায় সারানো প্রায় অসম্ভব। টিউবের ব্লক সরলেও তার মটিলিটি ফিরবে কি না তা কেই বলেতে পারে না । কাজেই সিস্ট, টিউমার বা ফাইব্রয়েডের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতেই করা ভালো। এতে টিউব ও তার গুণ অক্ষত থাকে। কিন্তু টিউমার যদি খুব বড় হয় বা টিউবকে ওপর হয় তাহলে অপারেশন করাই ভালো। ক্যানসারের টিউমার যত তাড়াতাড়ি বাদ দেওয়া যায় ততই মঙ্গল। অনেক সময় টিউবের গঠনগত ক্রটি না থাকলেও কার্যক্ষমতা কম থাকে। সেক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। টিউবের সব থেকে মারাত্মক সমস্যা হল এক্টোপিক প্রেগনেন্সি। আগেই উল্লেখ করেছি যে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন হয় ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে। তারপর ভ্রূণটি টিউবের মধ্যে দিয়ে গড়িয়ে জরায়ুতে পড়ে ও সেখানে বড় হয়। অনেক সময় ভ্রূণটি জরায়ুতে না পৌঁছে টিউবের মধ্যেই আটকে যায় ও সেখানেই বড় হতে থাকে। অল্প কিছুদিন এর মধ্যেই টিউবটি ফাটিয়ে দেয় ও রোগিনীকে ইমার্জেন্সি অপারেশন করে টিউবটি বাদ দিতে থাকে। ফ্যামিলি কমপ্লিট হবার আগে মহিলাদের কাছে এই টিউবের গুরুত্ব অপরিসীম। ছোট থেকেই এই টিউবের যত্ন নিতে হবে। নিজেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। শুরু থেকেই সাদা স্রাব, অনিয়মিত মাসিক, মাঝে মাঝে রক্তস্রাব, মাসিকের সময় পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করালে টিউবে ইনফেকশনের সম্ভবনা কম থাকে। ছোট্র টিউবের যত্ন প্রথম থেকে না নিলে জীবনের সব থেকে বড় সমস্যা আসতে পারে। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন