×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা ফেলনা নয় যোগ ও মুষ্টিযোগ

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-14 12:43:56

বন্ধ্যাত্ব একটি মেডিকেল সমস্যা। কোনো কোনো একজনের চিকিৎসা প্রয়োজন হলেও গোটা ব্যাপারটা দু’ জনেই সমানভাবে জড়িত। কোনো কোনো দম্পতির সন্তান ধারণে অক্ষমতা বা অসুবিধা থাকে যেহেতু তারা জানে না যে গর্ভধারণের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। সাধারণত সেটা হল ঋতুচক্রের মাঝপথে, ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার দু’দিন আগে এবং এরপর শেষ পাঁচদিন পর্যন্ত। ডিম্বকোষে ডিম্বাণু পরিপুষ্ট হয় ও বেরিয়ে আসে। দম্পতিরা যখন সন্তানধারণের অক্ষমতা বুঝতে পারে তখন তার জন্য উত্তমরুপে চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। মাইক্রোস্কোপের যখন পুরুষের বীর্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তখন এটা খুব তাড়াতাড়ি বোঝা যায় যে শুক্রাণু যথেষ্ট সংখ্যক ও ব্যবস্থপনা আছে কি না। মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রথম বিবেচ্য বিষয় হল তিনি ডিম্বনতী কি না। তিনি যদি ডিম্ববতী হন তাহলে এটা অবশ্যই নিশ্চিত যে তার ডিম্বাশয়ের সঙ্গে যুক্ত নালী ডিম্বকোষ থেকে ‍ডিম্বাণু গ্রহণে উপযুক্ত। এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। ডিম্বকোষের সঙ্গে নালীর (ফ্যালোপিয়ান টিউব) এবং গর্ভের এক্স-রে করা হয়। গর্ভশয়ের আস্তরণ থেকে একটা ছোট নমুনা নেওয়া যেতে পারে এটা দেখার জন্য যে ডিম্বাণু সংগঠিত হচ্ছে এবং গর্ভশয়ও পরিপুষ্ট আছে। অথচ কোনো কোনো গর্ভশয়ের মুখ শুক্রাণু গ্রহণে অপারগ হয়। পুরুষের বীর্যে শুক্রাণু একদম না থাকতে পারে, আবার অল্প পরিমাণে থাকতেও পারে। তথাপি যদি শুক্রাণু দুর্বল ও সংখ্যায় কম থাকে, এই প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসার চেষ্টা করা যেতে পারে। ডিম্বাণু উৎপাদন অক্ষম মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোন চিকিৎসার মাধ্যমে এই অসুবিধা সারানো যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সমস্যার উৎস হল মানসিক আবেগপূর্ণ চঞ্চলতা এবং এর সমাধান হল মানসিক চিকিৎসা বা পরামর্শ। ফ্যালোপিয়ান টিউবে যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে শল্য চিকিৎসার সুপারিশ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে গর্ভধারণের অক্ষমতাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। দৃশ্যত যখন বোঝা যায় স্ত্রী গর্ভধারণে সক্ষম কিন্তু স্বামী সক্ষম নয়, অথবা মানসিক বা শারীরিক অসুবিধার জন্য যৌন মিলনে অক্ষম বা অপারগ,এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী চাইলে কৃত্রিমভাবে গর্ভসঞ্চারের ‍বিবেচনা করতে পারে। অঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে দেহকে পরিপুষ্ট এবং দেহের প্রধান গ্রন্থি-পিটুইটারি, থাইরয়েড এবং গোনাড বা সেক্স গ্ল্যান্ডকে উজ্জীবিত করতে পারলে প্রভূত ফল পওয়া যায়। দেহ নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রসমূহ  ও পিটুইটারি গ্রন্থিকে উজ্জীবিত করতে পারলে গোনাড গ্রন্থি সহ তলপেটের পেলভিক ফ্লোর অধিক পরিমাণে পুরুষের শুক্রাণু ও মহিলার ডিম্বাণুকে বৃদ্ধি করতে পারে। দেহকে ভেতর থেকেই পরিপূর্ণতা লাভের সহায়ক করে। এজন্য ব্যায়াম ও যোগাসনের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছ। দেহ নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র সমূহ দেহের বিভিন্ন কার্য এবং ছন্দ হরমোনের (প্রাণীদেহজ রস) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি উৎপাদিত হয় এন্ডোত্রিন গ্রন্থিসমূহে। এই এন্ডোত্রিন গ্রন্থিসমূহের অন্তর্গত হল পিটুইটারি, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড, অ্যাড্রিনাল এবং যৌনগ্রন্থি। সমস্থ এন্ডোত্রিন গ্রন্থিসমূহে কিছু কিছু বিক্রিয়া সংগঠিত হয়। কিন্তু শুধু পিটুইটারি থেকে নির্গত হরমোন অন্যান্য গ্রন্থির রস নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রিত করে। বেশিরভাগ গ্রন্থিসমূহ পৃথক পৃথক ধরনের হরমোন নিঃসৃত করে। পিটুইটারি গ্ল্যান্ড-দেহের নিয়ন্ত্রকারী গ্রন্থি মটরের আকৃতির মতো পিটুইটারি গ্রন্থি ঠিক নাকের ওপরে পিছনে দিকে মাথার খুলির একটি ছোট গর্তে এর অবস্থান। মস্তিস্কের যে অংশের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাকে বলা হয় হাইপোথ্যালামাস। এই সংযুক্তির জন্য মস্তিস্ক পিটুইটারি গ্রন্থির রস উৎপাদনে সরাসরি নিয়ন্ত্ররণ রাখতে পারে। পিটুইটারি গ্রন্থি তিন ভাগে বিভক্ত। সামনের অংশ –অ্যান্টেরিয়র, মধ্যিখানের অংশ—ইন্টারমিডিয়েট এবং পিছনের অংশ—পোস্টারিয়র। হরমোনের অধিকাংশ এই সামনের অংশ দ্বারা নিঃসৃত হয়। সমগ্র দেহে অন্যান্য এন্ডোক্রিন গ্রন্থির কাজকে প্রভাবিত করে। থাইরয়েড (শরীরের ব্যবহৃত এনার্জির হারকে নিয়ন্ত্রণ করে,) অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি (দেহের রাসায়নিক বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রিণ করে) এবং যৌনগ্রস্থি সমেত। এই কারণে পিটুইটারি গ্রন্থিকে এন্ডোক্রিন গ্রন্থির ঐক্যতান বলে বর্ণনা করা হয়। এই গ্রন্থি নিয়ন্ত্রিত হরমোনকে বলা হয় ‘ট্রোপিনস’। পিটুইটারির সামনের অংশ থেকে নিঃসৃত অন্যান্য হরমোনগুলো গ্রোথ হরমোন (GH) আর প্রোল্যাক্টিন। হাড় এবং অন্যান্য কোষ সমূহের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে গ্রোথ হরমোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর প্রোল্যাক্টিন একজন মহিলার বুকের দুধের সরবরাহকে উদ্দীপিত করে, যার সবেমাত্র সন্তান হয়েছে। মুষ্টিযোগও টোটকা চিকিৎসা প্রকৃতির প্রাচীন প্রতিষেধক। যখন পৃথিবীর সৃষ্টি হয় তখন তো কোনো ওষুধপত্র ছিল না। মুনিঋষিরা ধ্যান এবং যোগের মাধ্যমে যেসব ওষুধের উপদেশ বের করেছেন তা হচ্ছে রোগ নিবারণের হাতিয়ার প্রকৃতির আছে। গাছগাছড়া, শেকর-বাকড়ের মধ্যেই লুক্কায়িত। শাস্ত্রমতে শ্বেতকন্ঠিকারী শিকড় খালিপেটে প্রত্যহ সকালে বেটে ক্বাথ করে খেতে পারলে বন্ধ্যা নারী সন্তান লাভ করে। বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধা বিশেষ কার্যকারী। অশ্বগন্ধারি শিকড় গুঁড়ো কেরে দুধ অথবা মধু দিয়ে খেলে বন্ধ্যাত্ব দূর করার ক্ষেত্রে উপকার হয়। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া শুক্র সঞ্জীবনা সকালে ও বিকেলে এক চামচ করে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। এটি আচারের মতো চেটে চেটে খাওয়া যায়। শিমুল মূলী চূর্ণ বিশেষ কার্যকারী মুষ্ঠিযোগের ওষুধভ শিমুল মূলকে গুঁড়ো করে এক চামচ চিনি ও দুধের সঙ্গে খেতে হয়। এতে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রকৃতির গাছ-গাছড়া থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের তৈরি হয়ে থাকে। মুষ্ঠিযোগে গাছ-গাছড়া, শিকড়, পাতা, ছাল দীর্ঘদিন ধরে খাবার জন্য প্রসেস করে ওষুধ রুপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মাখন ও মিছিল একযোগে মিশিয়ে খেলে সুফল পাওয়া যায়। জ্ঞাতব্য বিষয় হল ফল এবং সবজিও আমাদের শরীরে ব্যাপক কাজ করে। যেমন আম, কমলালেবু, বাতাবিলেবু বন্ধ্যাত্ব রোধে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বন্ধ্যাত্বে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে উপকার করে এমন যোগের আসন সমূহ উল্লেখ করা হল। তবে উপযুক্ত যোগ চিকিৎসক বা প্রশিক্ষকের উপদেশ অনুযায়ী করবেন। এতে ফল ভালো হয়। অপকারের আশঙ্কা থাকে না। এই অসনগুলি পিটুইটারি, থাইরয়েড, গোনাড গ্ল্যান্ড সহ অন্যান্য গ্রন্থিকে উজ্জীবিত করতে পারে। তলপেট ও সংলগ্ন স্থানে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে পুষ্টি বৃদ্ধি ও মেরামত করতে পারে। আসনগুলি হল শীর্ষাসন (১ম ধাপ), মৎস্যাসন. শশাঙ্গাসন, সর্বাঙ্গাসন, পবনমুক্তাসন, উষ্ট্রাসন, অশ্বিনী মুদ্রা, যোগমুদ্রা ইত্যাদি। মনের স্থিরতা ও দেহের অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য সূর্যভেদ প্রাণায়াম, বভ্রামরী ইত্যাদি। ধ্যান ও শবাসন রিলাক্সেশন বিশেষ উপকারী। এছাড়া আসনের প্রাককালে ওয়ামিং আপ এক্সারসাইজ শরীরকে মজবুত ও রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ব্যায়ামগুলি হল লেগ সার্কেলিং, লেগ ক্রসিং, লেগ রেইজ উইথ মুভমেন্ট ইত্যাদি। মনে রাখবেন, যোগ হল দেহ ও মনের ওষুধ (সাইকো সোমাটিক মেডিসিন)। দেহকে ভেতর থেকে সুস্থ সবল করে তোলে। এটি একটি ন্যাচারাল আর্ট অফ হিলিং। হলিস্টিক সায়েন্স অফ মেডিসিন। দেহ ও মনের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। এর কোনো বিকল্প নেই।