×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

সিগময়েড কোলন থেকেও রক্ত আসে মলে

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-16 11:11:15

পলিপ কাকে বলে সিগময়েড কোলনে পলিপ গ্যাস্ট্রো-এন্টারোলজিতে কমন অসুখ। পলিপ বলতে আমরা সাধারণত মাংসপিন্ড কে বুঝি। যে মাংসপিন্ড পেয়ারার আকৃতি নিয়ে কোলনের দেওয়াল অর্থাৎ মিউকাস থেকে সৃষ্টি হয়েছে। এই পলিপ এক ধরনের টিস্যুর ওভারগ্রোথ। কোলনের যে মিউকোসা থাকে, তার ভিতরের আবরণীর অতিরিক্ত কোনো গ্রোথ হয়ে গেলে পলিপ হয়। যেটা পেয়ারা বা ন্যাসপাতির মতো সাইজ নিয়ে কোলনের লুম্লেনের মধ্যে থাকে। এটাকে পলিপ বলা হয়। এককথায় পলিপ হচ্ছে টিস্যুর বা কোলনিক টিস্যুর ওভারগ্রোথ বা অতিরিক্ত গ্রোথ। অতিরিক্ত বৃদ্ধি বা অস্বাভাবিক গ্রোথ এই ব্যাপারটা বুঝলেই বোঝা যায় কেন পলিপ নিয়ে এত আতঙ্ক। কোলন পলিপ কোথায়, কাদের হয় কোলনিক পলিপ বাচ্চাদের হয়। তিন থেকে পাঁচ বছরের পায়খানার সাথে তাজা রক্ত নিয়ে হাজির হয়। সাধারণত এদের কোলনে এক বা একাধিক পলিপ থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পলিপ সিগময়েড সাধারণত কোলনেই দেখা যায়। আবার রেক্টমেও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোলনের অন্যান্য অংশেও পলিপ দেখা  যায়। এই পলিপগুলো ডাক্তারি পরিভাষায় জুভেনাইল পলিপ বলে। এই পলিপগুলোর গ্রোথ আছে বটে কিন্তু খারাপ কিছু অর্থাৎ ম্যালিগনেন্সি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র ব্লিডিং নিয়ে দেখা দেয় যে পলিপ, সেই ব্লিডিং কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এদের চিকিৎসাই হচ্ছে রিমুভ করা। তবে এই পলিপগুলো রেখে দিয়েও দেখা গেছে খারাপ কিছু হয় না। বড় বয়সে যে পলিপ হয় তার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। অ্যাডাল্ট পলিপ সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যাডেনোমাস পলিপ হয়। আর একটা হয় যখন এপিথেলিয়া মিউকাস মেমব্রেন তথা কভারিংটায় অতিরিক্ত গ্রোথ হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার বা ম্যালগিন্যান্ট পলিপ হওয়ার সম্ভবনা আছে। জুভেনাইল পলিপ যেমন বাচ্চাদের হয় তেমন অ্যাডেনোমাস পলিপ একটু বেশি বয়সে হয়। জুভেনাইল পলিপের মতো অ্যাডেনোমাস পলিপ সাধারণত কোলনের বাঁ-দিকটায় নীচের দিকে হয়। যেমন রেক্টম বা সিগময়েড কোলন অথবা রেক্টো সিগময়েড জাংশনে হতে পারে। এই পলিপ এক বা একাধিকহয়। এদের হিস্টোপ্যাথোলজিটা আলাদা। বাচ্চাদের মতো নয়। হিস্টোপ্যাথোলজি আলাদা বলেই এদের একটু ভয়ও বেশি। এই পলিপ থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যানসার হয়। এদের ক্ষেত্রেও রোগ চেনার উপায় পায়খানার সাথে রক্ত দেখে। কোলনের নীচের দিকে বা বাঁদিকে থাকে বলে কাঁচা রক্ত আসে। যে সব পলিপগুলো কোলনের ওপরদিকে বা কোলনের ডানদিকের অংশে থাকে সেগুলোর ক্ষেত্রে ঠিক কাঁচা রক্ত না হয়ে একটু কালচে রক্ত মলের সাথে হাজির হয়। ডাক্তাররা তাকে বলেন মেলিনা বা ব্ল্যাক স্টুল। কারণ অনেক ওপরে রক্তপাত হয় এবং সেই রক্তটা কোলন বরাবর আসতে আসতে রঙের পরিবর্তন হয়ে যায়। লক্ষণ যে বয়সেই পলিপ হোক না কেন ব্লিডিং বা রক্তপাত হবে পায়খানার সাথে। হতে পারে তার বিভিন্ন ধরন। অনেক রক্ত দেখতে পান না বা বুঝতে পারেন না, তারা অ্যানিমিয়া নিয়ে আসে। আর পলিপ যখন ক্যানসার হয়ে যায় তখন ক্যানসারের যা যা লক্ষণ তাই হবে। পেটে ব্যথা, বমি, খাদ্যনালী আটকে যেতে পারে এমনকী পেট ফুলে যেতে পারে। এছাড়া ব্লিডিং-এর লক্ষণ তো থাকেই। চিকিৎসা পলিপকে বাদ দিয়ে দেওয়াই সেরা চিকিৎসা। অবশ্য সেটা নির্ভর করে কতটা পলিপ আছে, কড় বড় পলিপ আছে তার ওপর। পলিপকে চিহ্নিত করা হয় কোলোনোস্কোপির মাধ্যমে। বাচ্চা বা বড়দের রক্তপাত হলে কোলোনোস্কোপি করে জানার চেষ্টা করা হয় পলিপ আছে কি না। যদি পলিপ পাওয়া যায় তাহলে কোলোনোস্কোপি করে চিকিৎসা করা হয়। অর্থাৎ পলিপগুলোকে কেটে দেওয়া হয়। একাধিক পলিপ থাকলে কখনও একসাথে কখনওবা কিছুটা করে দু’বারে করা হয়। খুব ছোট পলিপকে তার দিয়ে কেটে ফেলা হয়। বেসটাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয় একরকম কারেন্ট দিয়ে। সার্জিক্যাল কাটাছেঁড়ায় যে কারেন্ট ব্যবহার করা হয়, তাতে শক লাগে না। এর নাম মোনোপোলার কারেন্ট। যদি খুব বড় পলিপ হয় তবে অনেক সময় পলিপের গলায় লুপ বা ফাঁস পরিয়ে কাটা হয়। একাধিক থাকলে বা অনেকটা জায়গা জুরে থাকলে একাধিকাবার এটা করা হয়। তবে যে পলিপই কাটা হোক না কেন, ছোট এবং বড়দের –তা বায়োপসি করতে পাঠানো হয়। কারণ বলা তো যায় না হয়তো পাঠানো হয়। কারণ বলা তো যায় না হয়তো কোনও পলিপের মধ্যে কোন পলিপের মধ্যে ক্যানসারের একটা ফোকাস লুকিয়ে থাকল। বিশেষ করে বয়স্কদের এবং বাঁ-দিকের কোলনের পলিপের ক্ষেত্রে। কোলনের বেশিরভাগে ক্যানসার রেক্টম সিগময়েড এবং রেক্টোসিগময়েড অংশে হয়। অর্থাৎ কোলন ক্যানসার কোলনের সেই জিায়গাটায় হয় যেখানে কোলনের পলিপ বেশি হয়। দেখা গেছে বেশির ভাগ কোলন ক্যানসারই পলিপ থেকে হয়। এইজন্য প্রতিটি অ্যাডেনোমার গুরুত্ব আছে। সব অ্যাডেনোমাই ক্যানসারে পরিণত হয় না, অর্থাৎ মেজর অ্যাডেনোমাই প্রগ্রেস করে না। কিন্তু যত কোলন ক্যানসারের হয় সবই অ্যাডেনোমা থেকে এগিয়ে গিয়ে কোলন ক্যানসারে পরিণত হয়। তাই বড়দের পলিপ পাওয়া গেলে যেগুলো অ্যাডেনোমেটাস পলিপ সেগুলোকে রিমুভ করতে হবে এবং বায়োপসি করে দেখতে হবে যে কোলন ক্যানসারের কোনো সূচনা হয়েছে কি না। সেই বুঝে অন্য কোনো অপারেশন লাগবে কি না, অন্য কিছু চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কি না দেখতে হবে। বাঁ-দিকের সিগময়েড কোলন থেকেই বেশি ক্যানসার হয়। এখানকার পলিপই ক্যানসার তৈরি করে। পলিপ সবসময় রিমুভ করে ক্যানসারের কথা মাথায় রেখে বায়োপসি করতে হবে। চিকিৎসাহীন অবস্থায় এই পলিপগুলো রেখে দিলে ক্যানসার হতে পারে। এর বাইরেও এক ধরনের সিনড্রোম আছে তাকে বলে পরিপোসিস সিনড্রোম। এক্ষেত্রে অজস্র পলিপ হয়। এগুলো সাধারণত পারিবারিক ভাবে আসে। বংশে অনেকেরই থাকে। কম বয়স থেকে ব্লিডিংহতে থাকে। সেজন্য এদের ক্যানসারের সম্ভবনা বেশি। বংশগত পলিপ, ফ্যামিলিয়ান পলিপোসিস-এদের কিছু কিছু টিস্যুতে গ্রোথের জিন আছে, সে জিনগুলো ক্রটির জন্য অত্যিধিক গ্রোথ হয়, এছাড়া শরীরের অন্যান্য অস্বাভাবিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে টিউমার বা ক্যানসার হয়। পারিবারিক পলিপোনিন সাধারণত ভারতবর্ষে খুব একটা হয় না। উত্তর ইউরোপে বেশি হয়। এইজন্য ওরা পারিবারিক জিনগুলো আইডেন্টিফাই করেছে। এদের ক্যানসার হবার সম্ভবনা খুব বেশি। পনেরো, ষোলো, কুঢ়ি বছরের মধ্যে ক্যানসার হয়ে যাচ্ছে। কারণ জন্ম থেকেই পলিপগুলো গজাতে শুরু করে। কম বয়সে ব্লিডিং হয়। কেয়ার না নিলে পনেরো, কুড়ি বছরের মধ্যে কোলন ক্যানসার হয়। তা না হলে চল্লিশ বছরের নীচে কোলন ক্যানসার খুবই আনকমন। কম বয়সেই ওরা কোলেক্টমি করে কোলন বাদ দিয়ে দেন যাতে আর ভবিষ্যতে কোলন ক্যানসার না হয়। জুভেনাইল পলিপ: প্রধানত ব্লিডিং। বায়োপসি রিপোর্ট ভালো দেখে রেখে দিলে বেশি কিছু অসুবিধা নেই। ক্যানসার হবার সম্ভবরা নেই বললেই চলে। বড়দের পলিপ: প্রধানত রেক্টম, সিগময়েড, রেক্টোসিগময়েড অঞ্চলে হয়। তারাও ব্লিডিং দিয়েই জানান দেয়। ওপরদিকে হলে কালো পায়খানা হতে পারে। এগুলো কখনোই রেখে দেওয়া উচিত নয়। এবং বায়োপসি করে দেখা উচিত ক্যানসার হচ্ছে কি না। রেখে দিলে কারো কারো ক্ষেত্রে ক্যানসার রিমুভ করতে হবে কারণ কেউ তো জানে না কার ক্যানসার হবে আর কারই বা হবে না। ফ্যামিলিয়াল পলিপ: ভারতবর্ষে ততটা পরিচিত নয়। ভারতবর্ষে বিরল হলেও বিদেশে বহু হয়। এদরে ক্যানসার হবার সম্ভবনা বহুগুণ বেশি থাকে। অল্পবয়সে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্যানসার হয়ে যায়। ফ্যামিলিয়াল পলিপ হলে পলিপ কেটে লাভ নেই। পুরো কোলন কেটে বাদ দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে স্মল ইনটেস্টাইনটাকে তখন এনে পায়খানার দ্বারে অ্যানাল ক্যানালে জুড়ে দেওয়া হয়। তখন স্মল ইনটেস্টাইন হচ্ছে একমাত্র খাদ্যনালী। সমস্যা হল এর ফলে বার বার স্টুল অর্থাৎ ছ’বার, আটবার বা দশবারও হতে পারে। কারণ কোলনের জন্যই তো স্টুলটা জমাট বাঁধে। স্টুল জমাট বাঁধতে না পারায় লিকুইড স্টুল হয়। কিন্তু রোগী ক্যানসারের মতো রোগ থেকে বেঁচে যায়। পলিপ হওয়া একটা ট্রেন্ড। যার একবার পলিপ হয়েছে তার একশোবার হতে পারে। নিয়মিত এ ব্যাপারে চেক-আপ করা উচিত। লক্ষণ প্রকাশ পেলে নতুন স্ক্রিনিং করতে হবে। এক জায়গায় পলিপ কাটা হয়েছে কিন্তু কোলন যেহেতু অনেক বড় তাই অন্য জায়গায়ও পলিপ হতে পারে। পলিপ যদি হিস্টোপ্যাথোলজি রিপোর্টটা খারাপ হয় তাহলে নতুন করে কোলোনোস্কোপি করে দেখে নিয়ে পলিপের চিকিৎসা করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোলনে আলসার হবার পর যখন শুকোতে আরম্ভ করে তখন কিছু কিছু টিস্যুর ওভারগ্রোথ হয়ে যায়। এগুলোকে দেখে পলিপ মনে হয়। এগুলোকে প্রদাহযুক্ত পলিপ বলা হয়। এই পলিপের আলাদা কোনো গুরুত্ব নেই। এদের থেকে ক্যানসারও হয় না। এদের ইনফ্লামেশনের চিকিৎসা করলেই পলিপগুলো প্রধানত সেরে যায়। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন