×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

মিলিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-16 11:22:06

মহিলাদের হার্টের শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যবস্থা হল মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি। সাধারণত হার্টের শল্য চিকিৎসা করার জন্য বুকের মধ্যস্থলে পাঁজরের অস্থি কাটার প্রয়োজন হয় এবং সেই ক্ষতস্থান প্রায় এক ফুট পর্যন্ত হযে থাকে।কিন্তু মিনিম্যালি ইনিভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারির মতো। সামান্য দুই ইঞ্চির মতো কেটে শল্য চিকিৎসা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভিডিও ব্যবহারের কারণে কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এবং নানা ধরনের শল্য চিকিৎসা এই পদ্ধতিতে করা হয়। এখানে মূল আলোচ্য বিষয় হল মহিলাদের হার্ট বা হৃদয় সংক্রান্ত সমস্যা এবং তার জন্য উপযুক্ত শল্য চিকিৎসা। বর্তমানে মহিলাদের যে সকল হার্টের সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাতে অনেক ক্ষেত্রে কিছু আলাদা বৈশিষ্ট থাকলেও সামগ্রিকভাবে পুরুষদের যেসব হার্টের সমস্যা হয় মহিলাদেরও সেগুলো হতে পারে। তবে কিছু প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে মহিলাদের হার্টের সমস্যায় অনেক সময় বৈচিত্র্য দেখা যায়। সাধারণত কমবয়সী মহিলাদের হার্টের যে সব সমস্যা লক্ষণীয় তার মধ্যে অন্যতমতা হল হার্টের পর্দার মধ্যে ছিদ্র বা এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট বা ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট। এই ধরনের সমস্যা খুবই সাধারণ। এছাড়াও হার্টের মধ্যে যে কপাটিকা বা ভাল্ব পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। আর দেখা যায় হার্টের মধ্যে টিউমার, যা মিক্সিমা নামে পরিচিত। এটা প্রাপ্তবয়স্ক অথবা একটু বয়সী মহিলাদের মধ্যে অধিক পরিমাণে দেখা যায়, যাতে ক্যালসিফায়েড ভাল্ব সংকুচিত হয় এবং অ্যাওর্টিখ স্টেনোসিস দেখা যেতে পারে। এর জন্য শল্য চিকিৎসা করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে যে সমস্যাটি আমাদের দেশে মহামারির আকার ধারণ করেছে তা হল করোনারি আর্টারি ডিজিজ অর্থাৎ যার জন্য হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে মহিলাদের করোনারি ভাসকুলার ডিজিজ হয়ে থাকে যা মহিলাদের ঋতুকালের সময় কিছুটা প্রতিহত থাকে। তবে ঋতুকালের পর তার সম্ভবনা পুরুষদের মতোই। ইদানিংকালে খুব বেশি করোনারি ভাসকুলার ডিজিজ হচ্ছে তার বিভিন্ন কারণ বর্তমান। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হল মহিলাদের নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব। ওজন সঠিক রাখা, খাদ্যাভ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি অনেকসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না এবং তার জন্য করোনারি ভাসকুলার ডিজিজ হতে পারে। আবার শরীরের মধ্যে কোরেস্টেরল ও স্নেহজাতীয় পদার্থের বৃদ্ধির কারণেও এমন সমস্যা হতে পারে। ভারতবর্ষ হল ডায়াবেটিস ক্যাপিটাল অর্থাৎ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিসের প্রকটতা অনেকটা বেশি এবং এই কারণে করোনারি ভাসকুলার ডিজিজের সম্ভবনা যথেষ্ট। অনেক সময় অল্প বয়সে ডায়াবেটিস চিহ্নিত না হলে পরবর্তীকালে ডায়াবেটিস এতটাই প্রকটভাবে দেখা দেয় যার কারণে ভাসকুলার ডিজিজ হয়ে থাকে। আমাদের দেশের মহিলাদের এই ধরনের ডিজিজ অন্যান্য দেশ তথা পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। মহিলাদের কিছু অভ্যাস যেমন দূমপান অথবা কৃত্রিম উপায় ঋতুবন্ধের জন্য কিছু হরমোনাল সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের কারণে হার্টের রোগ বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা দেখা যায়। যেসব মহিলাদের পরিবারে হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের বেশ প্রাধান্য দেখা যায়। সেক্ষেত্রে মহিলাদের বয়স চল্লিশ বছর হওয়ার পরেই নিয়মিত চেক-আপ করানো, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, সিটিঅ্যাঞ্জিও করা বা কার্ডিয়াক ভেসেলের কোনো স্নেহজাতীয় পদার্থ বর্তমান কিনা তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। এমনকী মহিলাদের কিডনির কোনো সমস্যা আছে। কি না অথবা ডায়াবেটিস আছে কি না তাও পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। আমাদের দেশের মহিলাদের শারীরিক গঠন ছোটোখাটো হওয়ার জন্য তাদের করোনারি আর্টারির মাপ ছোট। এর জন্য যদি করোনারি আর্টারিতে কোনো ব্লকেজ দেখা যায় তবে শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। আবার করোনারি আর্টারিতে সমস্যা না থাকলেও ছোট ভেসেলের জন্য ব্যথা হতে পারে বিশেষ করে যেসব মহিলার ডায়াবেটিস আছে। তাকে বলা হয় সিনড্রোম-এক্স। এক্ষেত্রে কিছু ওষুধ ব্যবহারের দ্বারা এই রোগের নিরাময় করা হয়। তবে বড় করোনারি আর্টারিতে ক্রিটিক্যাল ব্লকেজ পাওয়া গেলে অ্যাঞ্জিওপ্লান্টি বা সার্জারির প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশের মহিলাদের শারীরিক খর্বতার কারণে করোনারি আর্টারি ছোট হওয়ার জন্য অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির ফলাফল অনেক সময় ভালো নাও হতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে যে স্টেইনটা ব্যবহার করা হয় তা ছোট হওয়ার জন্য ব্লকেজের সম্ভবনা থাকে। সুতরাং অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির ক্ষেত্রে একটা রিস্ক থেকেই যায়। করোনারি আর্টারি সার্জারি এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে এই সব সমস্যা প্রতিহত করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যে নয়া শল্য চিকিৎসা হচ্ছে তা হল মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি। অন্য পদ্ধতিতে শল্য চিকিৎসার সময় বুকের মধ্যস্থলে পাঁজর কাটা হয় তাতে তাদের বুকে ব্যথা বহুদিন থেকে যায় এবং সেই ব্যথা নিরাময় করতে গিয়ে আবার হাড়ের ব্যথার সূচনা হয়। কিন্তু মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারির মাধ্য্মে পাঁজর-অস্থির মধ্যস্থলে যে ফাঁকা জায়গা আছে সেখানে দুই বা আড়াই উঞ্চি কেটে শল্য চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ এখানে শল্য চিকিৎসার প্রয়োজন হলে মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াবে সার্জারির মাধ্যমে পাঁজর-অস্থির মধ্যস্থলের ফাঁকা স্থান ব্যবহার করা হয়, পরে ভাল্ব পরিবর্তন করা থেকে করোনারি বাইপাস সার্জারি এবং সম্পূর্ণ বাইপাস সার্জারি করা হচ্ছে। এমনকী কিছু দিন আগেও একজন ৪০ বছর বয়সী মহিলার বাইপাস মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারির মাধ্যমে করা হয়েছে। যেসব মহিলাদের বয়স বেশি তাদের হাড়ের ঘনত্ব কম থাকার জন্য এভাবে সার্জারি করা হয়ে থাকে এবং তাতে বেশ ভালো সাড়া মিলছে। কিছু কিছু মহিলা যাদের বয়স ৬০-এর উর্ধ্বে তাদের অনেকসময় বাইপাস করলে সুফল পাওয়া যায় না। তাদের ক্ষেত্রে মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারির মাধ্যমে অপারেশন করা হয়। এই চিকিৎসার অন্যতম সুবিধা হল সার্জারি হওয়ার পরই রোগী নিজের দৈনন্দিন কাজকর্মে খুব সহজেই ফিরে যেতে পারেন। কিন্তু সাধারণ শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুস্থতা অর্জন করতে প্রায় বছর খানেক সময় লেগে যায়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য এবং এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী। যেহেতু এখন মহিলাদের লাইফস্টাইলের অনেকটা পরিবর্তন ঘটে গেছে,ডায়াবেটিসের প্রভাবের কারণে তাদের মধ্যে হৃদরোগজনিত সমস্যা বাড়ছে। তাই এই আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা বহুল ব্যবহার হচ্ছে এবং কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন