×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

সাইকো সেক্সুয়াল সমস্যা ডাক্তারবাবুকে বলতে যেন সমস্যা না হয়

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-16 12:08:47

সোহম আর ছন্দার তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। আজ সকাল থেকেই টেলিফোন আর এসএমএস-এ শুভেচ্চা বন্যা। এত আনন্দের মধ্যে শুধু ছন্দাই মন খুলে হাসতে পারে না। ছন্দা অনুভব করে প্রত্যেক শুভার্থীর কথার পিছনেই যেন রয়েছে এক প্রছন্ন ইুঙ্গত। সকলেই চায় তিন বছর তো হয়ে গেল, এবার নতুক কেউ আসুক। কিন্তু ছন্দা ভাবে তার পক্ষে কি একা কোনও সন্তানকে পৃথিবীতে আনা সম্ভব? সোহমের কোনও সাহায্য ছাড়া? কেই বিশ্বাস করবে কি সোহমের মতো একজন সুদর্শন, সুপুরুষ যৌন সঙ্গমে অপারগ? তার থেকেও মর্মান্তিক যে, সোহমের এটাকে কোনও সমস্যা বলে মনে করে না। তার মতে, বাচ্চা হওয়ার হলে ঠিকই হবে। ডাক্তার দেখাতে বললে সোহম বলে, ডাক্তার দেখাতে হলে ছন্দা দেখাক, সে সম্পূর্ণ সুস্থ-এও এক ধরনের মানসিক সমস্যা। সুনন্দার বিয়ে হয়েছে তিন মাস হয়ে গেল, কিন্তু সুনন্দার মনে তা নিয়ে কোনও উচ্ছ্বাস নেই। বন্ধুরা জিঞ্জেস করে-কেমন চলছে? সে ম্লান হেসে জবাব দেয়, তার বর খার দায়ে অফিস যায়। বাড়ি ফিরে একটা গল্পের বই হাতে নিয়ে খাটে শুয়ে গান শোনে আর বই পড়ে। অনেক পরে জানা যায়, ছেলেটার পেনিসের মুখ চামড়া দিয়ে ঢাকা ছিল, ফলে সে ভয় পেতে। কিন্তু পরবর্তীকালে তার এক বন্ধু একজন সায়কিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যায়। সেই ডাক্তারের কাইন্সেলিংয়ের পরে ছোট্র একটা সার্জারি হয়। বর্তমানে দু’জনের হ্যাপি। সাইকো-সেক্সুয়াল সমস্যা কেন দিনদিন বেড়ে উঠছে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের জীবনের দিকেই তাকাতে হবে। জীবন এখন গতিময়। গতিময়তারই যুগ। আর সেই গতিময়তার পিছনে ছুটতে গিয়ে অনেক স্বামী-স্ত্রীই ক্লান্ত, বিধ্বস্ত হয়ে দিনেই শেষে বাড়ি ফেরেন। সারাদিনেই ক্লান্তির ধকলের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকা উচিত, সেই আকর্ষণ আর কাজ করে না, ঝিমিয়ে পড়ে। রাতের খাওয়া চলে টিভি দেখতে দেখতে। সারাদিন পরে দেখা হলে যে-সমস্ত গল্প, খুনসুটি, আদর হবার কথা, সেই জায়গাটা নিয়ে নেয় স্মার্টফোন। দু’জনের দু’পাশ ফিরে হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক-এ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই সময় যে শারীরিক-স্বাভাবিক চাহিদাগুলোর জায়গা নৌয়ার কথা কিংবা দু’জনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে তোলার সুযোগ, সে সব কিছুই হয় না। অনেক সময় শরীরের খিদে মেটে কোনওরকম মানসিক প্রস্ত্ততি ছাড়াই। প্রাত্যহিক অন্যান্য কাজের মতো দায়সারাভাবে যেীনমিলন শেষ হয়। পরিতৃপ্তির কোনও লেষই থাকে না। দিনের পর দিন এই ভাবে দৈহিক আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। যৌন মিলনের ক্ষেত্রে শুধু শারীরিক প্রস্ত্ততিই, মানসিক প্রস্ত্ততি অনেক বেশি জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সাইকো-সেক্সুয়াল সমস্যার পিছনে কিছু শারীরিক সমস্যাও লুকিয়ে থাকে, যা মানসিক স্থিতাবস্থাকে টলিয়ে দেয়। বিবাহিত জীবনের প্রথম থেকেই প্রেম-ভালোবাসা, যৌন আকর্ষন তৈরি হয় যেমন, ঠিক তেমনি যৌনমিলন ঘটে দু’টি শরীরের চরম তৃপ্তি। দু’টি সুস্থ মনের মধ্যে যাদি কোথাও কোনও অসন্তোস, অনীহা বা সন্দেহ জাগে, সেক্সুয়াল সমস্যা সেখানে এসে ভিড় করে। অনেক নারী-পুরুষকে দেখা যায়, শারীরিক মিলনের আগে ফোরপ্লে কিংবা পর্ণো জাতীয় সিনেমার মাধ্যমে নিজেদেরকে উত্তেজিত করে। বিশেষ ভাবে দেখা গেছে, পুরুষের ক্ষেত্রে যৌন ইচ্ছে আগে আসে এবং মহিলারা ধীরে ধীরে উত্তেজিত হন। ফোর প্লে-কে সাধারণ অর্থে শারীরিক আদর বলা হয়। যেমন-চুমু খাওয়া, স্ত্রীর শরীর স্পর্শ করা, শরীরের উত্তেজন স্থানে হাত দেওয়া ইত্যাদি। আবার অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ যৌনমিলনের সময় যৌনাঙ্গ, স্তন, ঠোঁট, গাল কামড়ে রক্তাক্ত করে। নারীর শরীর এই কারণে অনেকসময় নিরীহ সেক্সুয়াল ব্যাপরেও অনাগ্রহ প্রকাশ করে। অনেকের পূর্ব কোনও অভিজ্ঞতা বিবাহিত জীবনের পর তাকে মানসিকভাবে ভীত করে তোলে। ফলে বিাহিত জীবনে শারীরিক মিলন কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায়, দূরত্ব  তৈরি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। অনেকে আবার বাচ্চা হবার পর নিজেদের মধ্যে শারীরিক মিলনের উপর বিচ্ছেদের পাঁচিল গড়ে তোলেন কিংবা নানা অজুহাতে স্বামীকে এড়িয়ে চলেন।সাধারণত পুরুষদের মধ্যে যৌনমিলনের আকাঙক্ষা মেয়েদের তুলনায় বেশি হতে দেখা যায়। তার ফলে বেশির ভাগ সময় পুরুষরা বিবাহিত জীবনে অতৃপ্তি নিয়ে দিন কাটান এবং খিটখিটে মেজাজের হয়ে পড়েন। জীবনের অন্যান্য আনন্দের মতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম-সখ্যতা-ভালোবাসা এবং অবশ্যই শারীরিক মিলনের মূল্য আছে। এগুলো জীবনকে সুস্থ ও সুখী রাখে। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক মিলন না হওয়ার কারণে উৎকন্ঠ, অবসাদ ও ক্লান্তিতে দিন কাটে। বিশেষ ভাবে পরীক্ষিত সত্য যে, সুস্থ স্বাভাবিক যৌনমিলন অনেক রকম মানসিক ও শারীরিক রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে। সাইকো সেক্সুয়াল বিভিন্ন ধরনের হয়। যেমন- ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখা যায় পি.এম. ই বা প্রি-ম্যাচিওর ইজাকুলেশন বা শীঘ্র পতন।

  • পি.এম.ই. বা শীঘ্রপতন
নতুন বিয়ে করেছে, অথচ তিন-চার বা ছ’মাস পর থেকেই এমন অনেকে স্ত্রীর কাছে আসতে ভয় পায়। কারণ মিলনের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বীর্য পতন হয়। শারীরিক মিলনে তৃপ্তি আসে না। আর এই ঘটনা যদি প্রতিদিন চলে, তাহলে বোঝাপড়ার অভাব দেখা যায়ম দু’টি মানুষের মধ্যে। সেকান থেকে বিরক্তি এমনকী না, অর্থাৎ সে ব্যর্থ হয়। পুরুষাঙ্গ দৃঢ় না হওয়া এবং দৃঢ়তা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না রাখতে পারাই অনেক সময় প্রধান সমস্যা হয়ে ওঠে। ডায়াবেটিস বা হার্টের অসুখ কিংবা অ্যাজমার কারণে যেমন এই সমস্যা হতে পারে, তেমনি গঠনগত ক্রটিও ইরেকটাইল ডিসফাংশনের কারণ, বাংলায় একে বলে শিথিল পুরুষাঙ্গ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রি-ম্যাচিওর ইজাকুলেশন এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সংমিশ্রণ কিছু পুরুষের মধ্যে দেখা যায়। অর্থাৎ দুটোই থাকে।
  • নাইট ফল্স বা ধাত
রোগী ডাক্তারকে এসে বলে তার শরীর ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে, শরীরে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে এবং যৌনক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। ঘুমের মধ্যে ডিসচার্জ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শরীরে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। ঘুমের মধ্যে উত্তেজক স্বপ্ন দেখা বা অন্যান্য নানা করণে নাইট ফল্স হয়ে যায়। এটি অত্যন্ত পরিচিত সাধারণ সমস্যা। অনেকের ধারণা ছেলেদের বীর্য রক্ত বা হরমোন দিয়ে তৈরি। ১০০ ফোঁটা রক্ত দিয়ে নাকি এক ফোঁটা বীর্য তৈরি হয়। এই ধরনের কথা অনেক শিক্ষিত মানুষই বলে থাকেন। ডাক্তারিশাস্ত্র মতে এসব ভ্রান্ত ধারণা। এসব সমস্যার কথা বন্ধুদের থেকে শুনে কিংবা অজ্ঞতার কারণেই তৈরি হয়। রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা থেকে তার মধ্যে ডিপ্রেশন তৈরি হয়। এর ফলে শুধু শারীরিক নয়, যৌন দুর্বলতাও চলে আসে। এক্ষেত্রে সাইকোথেরাপি ভালো কাজ দেয় অ্যাংজাইটি রিলেটেড ডিসঅর্ডার সাইকোথেরাপিতে ভালো হয়ে যায়। সেক্সুয়ালিটি সম্পর্কে কম জ্ঞান থাকাও মানসিক সমস্যা তৈরি করে। এ ব্যাপার একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যেতে পারে। একজন শিক্ষিত ভদ্রলোক নিজেকে খুব জ্ঞানী মনে করতেন। তিনি সবকিছু জানেন বলে দাবিও করতেন। তাঁর স্ত্রী ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানান ‘হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে সবকিছুই তো হয়, তবে মিলনের সার্থকতা আসে না।’ অথচ পরীক্ষা করে দেখা যায় ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা দু’জনেই শারীরিক ভাবে সুস্থ। কোনোদিক দিয়ে কোনও সমস্যা নেই। মহিলাদের প্রস্রাবদ্বারের নীচে থাকে ভ্যাজাইনা, কিন্ত্ত অজ্ঞানতার জন্য ভদ্রলোক ইউরেথ্রা বা প্রস্রাবদ্বারের ভিতর দিয়ে ইন্টারকোর্স করেন। ভদ্রমহিলাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি তো জানতেন সব। তিনি কেন জানাননি ভদ্রলোককে? ভদ্রমহিলা বলেন, গাইড করতে গেলে ক্ষিপ্ত হতেস এবং অন্যরকম ধারণা পোষণ করতেন। স্ত্রীকে বলতেন, ‘তোমার এত অভিজ্ঞতা হল কী করে?’ তাই ভদ্রমহিলা চুপ করে থাকতেন। ভদ্রলোককে সবকিছু বুঝিয়ে বলার পর থেকে সব সমস্যা চলে যায়। এই ধরনের ছোট ছোট জ্ঞানের অভাব সমস্যা তৈরি করে।
  • ছোট পেনিসের সমস্যা
অনেক ডাক্তারবাবুর কাছে গিয়ে বলেন যে তার পেনিসটা ছোট বলে স্ত্রীর সাথে দৈহিক মিলনের পর স্ত্রী তৃপ্ত হয় না এবং স্ত্রীকে ঠিকমতো আনন্দ দিতে পারে না। স্ত্রীকে আনন্দ না দেওয়ার দুঃখ তাকে নিরানন্দ করে রাখে। অপরদিকে অনেক মহিলার ধারণা তার স্বামীর পুরুষাঙ্গটি ছোট বলে ভবিষ্যতে সে মা হতে পারবে না। ওপরের দুটি ক্ষেত্রেই সঠিক ডাক্তারের কাছে গেলে দু’জনকেই কাইন্সেরিং করে ডাক্তার সবকিছু বুঝিয়ে দেবেন। ফলে সমস্যাও কমবে। জেনে রাখা দরকার, লিঙ্গের ছোট-বড় আকার শুক্রাণুর সংখ্যা কমায় না এবং এর সাথে বাচ্চা না হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কেননা দৃঢ় অবস্থায় মাত্র তিন ইঞ্চি পুরুষাঙ্গ নিয়ে সন্তানের পিতা হয়েছেন এমন নজির প্রচুর আছে। একটা ফিমেল ভ্যাজাইনার দৈর্ঘ ছ’ইঞ্চির মতো। তার বর্হিভাগের দু ইঞ্চি হল সেন্সেটিভ পার্ট অফ ভ্যাজাইনা। ইন্টারকোর্সের সময় দু’ইঞ্চি পেনিসই যথেষ্ট। তার বেশি দরকার পড়ে না। এ সময় সাইকোলজিস্টরা বা সাইকিয়াট্রিস্টরা কাউন্সেলিং করে বোঝাতে চেষ্টা করেন তাদের কোনও সমস্যা নেই। ইন্টারকোর্সের সময় ভঙ্গিমাই হল গুরুত্বপূর্ণ। তীরকে থরিন্দাজ কতটা তীক্ষ্ণতার সঙ্গে টার্গেট করতে পারে সেটাই আসল। সহবাসে পেনিস ছোট হলেও কোনো সমস্যা নেই। নিশ্চিন্ত থাকুন।
  • বড় পেনিস হলে পজিশন পরিবর্তন করুন
অনেক পুরুষের খুব বড় পেনিস থাকার কারণে অনেক নারী ভীত হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে রোগীকে বোঝানো হয়। কিছু পজিশন ফলো করলে সহবাসে অসুবিধা হয় না। যেমন ইন্দ্রানী আসন ও কামসূত্রে এই আসনটির কথা সুন্দর করে বলা আছে।
  • স্বমেহন
স্বমেহন ব্যাপারটা অনেকে খুব অপরাধ বলে মনে করেন এবং এই ধারণার ফলে অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশন দেখা দেয় এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল সমস্যা তৈরি হয়। এখানে বলা দরকার স্বমেহন হল স্বাভাবিক ঘটনা। এ নিয়ে অযথা চিন্তা করার দরকার নেই। অনেক যুবকই বিয়ে ঠিক হবার পর একরাশ কুণ্ঠ নিয়ে সসংকোচে ডাক্তারবাবুর কাছে জিজ্ঞাসা করেন স্বমেহন করার কারণে ভবিষ্যৎ জীবনে কি অসুবিধা হবে? আসলে স্বমেহনের কারণে কোনো অসুবিধা হয় না বিবাহিত জীবনে। যদিও অনেক ধর্মে স্বমেহন স্বীকৃত নয়। অনেকে ভয় দেখায় এর ফলে শরীর খারাপ, ইনসোমনিয়া ও শারীরিক দুর্বলতা আসতে পারে। আগেও বলেছি আধুনিক মেডিকেল বলে স্বমেহন হল স্বাভাবিক ঘটনা। স্বমেহনে কিছুটা বীর্য শরীর থেকে বেরিয় যায়। ইন্টারকোর্সেও বীর্য শরীর থেকে বেরোয়। স্পার্ম শরীরে রেখে দেওয়া মানে বংশগতির পথ রুদ্ধ করা। স্পার্ম বার করা হল বায়োলজিক্যাল ম্যাটার। একটা বয়সের পর প্রকৃতিই শিখিয়ে দেয় স্বমেহনে লিপ্ত হতে। এটা শরীরের স্বাভাবিক চাহিদা। স্বমেহন এবং ইন্টারকোর্সের ব্যাপারটা দেশ, জায়গা ও আবহাওয়ার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। পশ্চিমী দেশে এগুলো বেশি দেখা যায়। কিন্তু খুব বেশি রকম স্বমেহন অর্থাৎ দিনে দশ-বারো বার লিপ্ত হওয়াও একটা রোগের পর্যায়ে পড়ে। আবার অনেকের কাছে এই ব্যাপারটা নেশার মতো দাঁড়ায়। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী এটা হওয়া উচিত, কখনোই বেশি নয়। পরিমিত স্বমেহনে লজ্জা পাবার কিছু নেই।
  • মোটা মহিলা কিংবা মোটা পুরুষ
অনেক সময় মোটা হওয়ার কারণে পুরুষ এবং নারীকে সহবাসে অসুবিধার সম্মখীন হতে হয়। সাধারণ পজিশনে সেক্স লিপ্ত হতে এদের অসুবিধা হয়। কিন্তু কিছু কিছু পজিশন আছে যেগুরো মেনে চললে মোটা বা ভুঁড়ি থাকলেও অসুবিধা হয় না। কাউন্সেলররা সেই উপায়গুলো বলে দেন।
  • পেনিসের মুখ ঢাকা থাকলে
অনেক সময় অনেক ছেলের পেনিসের মুখটা ঢাকা থাকে। নীচের দিকে নামে না। ছোটবেলায় ডাক্তার দেখিয়ে যদি পাতলা চামড়াটি কেটে না দেওয়া হয় তাহলে সঙ্গমে লিপ্ত হলে যন্ত্রণা হয়। অনেক ছেলে এই কারণে ভয় পায়। ইউরো সার্জারির মাধ্যমে মুখটি ছাড়িয়ে দেওয়া যায়। বিয়ের আগে এ ব্যাপারে সজাগ থাকা দরকার। না হলে বিয়ের পর সহবাসে সমস্যা হতে পারে এবং বিাহিত জীবন সুখের হয় না। এরকম সমস্যায় সার্জারি করে দিলে সমস্যা দূর হয়।
  • হোমো সেক্সুয়ালিটি
এরকম সমস্যায় ডাক্তারবাবুর সাহায্য চাইতে গেলে প্রথমেই ডাক্তারবাবু বাড়ির লোককে ডেকে সবকিছু বলেন। বাড়ির লোক প্রথম মানতেই চান না এরকম সমস্যার কথা। আসলে বিয়ের আগে এই সমস্যায় আক্রান্ত পাত্র কিংবা পাত্রী সংকোচে সমস্যার কথা খুলে বলতে পারেন না। ডাক্তারবাবুরা এনকম সমস্যার ক্ষেত্রে বলেন কিছু করা যাবে না। হোমোসেক্সুয়ালিটির কোনো ওষুধ নেই। এর কোনো কাইন্সেলিং করা যায় না। বুঝিয়ে লাভ নেই। বরং বিয়ের আগে জেনে নিন শারীরিকভাবে ছেলে বা মেয়ে সুস্থ কি না। বা অন্য কোনো অসুবিধা আছে কি না বিয়ের ব্যাপারে।
  • যেসব মেয়ে নিজেদের ছেলে কিংবা যেসব ছেলে নিজেকে মেয়ে মনে করে
এমন কিছু ছেলেমেয়ে আছে যারা নিজেদের আইডেন্টিটিকে মানতে চায় না। ছেলেটি ভাবে সে ছেলে নয়। তার নিজেকে মেয়ে মনে হয়। মেয়েদের হাভভাব, সাজগোজকে সে নকল করে। আবার কোনো কোনো মেয়ে মনে করে সে ছেলে। তার ছোট থেকেই ছেলে বন্ধুর সংখ্যা বেশি। ছেলেদের মতো প্যান্ট-সার্ট পরে ঘুরে বেড়ায়। সে ভাবে যদি বিয়ে করে তবে সে একটি মেয়েকেই বিয়ে করবে। জোর করে বিয়ে দিলে সে খুশি হয় না। এইরকম ক্ষেদত্রে সেক্স চেঞ্জ করতে বলা হয়। আমরা ঋতুপর্ণ, মানস এদের মতো মানুষদের নিজেদের ইচ্ছেমতো সেক্স চেঞ্জ করতে দেখেছি। এগুরোর কারণে প্রথম দিকে সাইকো সমস্যা থাকে, কিন্তু এরা নিজেদের ধারণার বাইরে যেতে চায় না। তাই সেক্স চেঞ্জ করে নেওয়াই আদর্শ।
  • মেয়েদের যৌন সমস্যা কি কোনো সময় সাইকো সেক্সয়াল সমস্যা হতে পারে?
মেয়েদের মধ্যে এক ধরনের যৌন সমস্যা দেখা যায়। যাকে যোনিদ্বারের অনিচ্ছাকৃত সংকোচন বলে। একে ‘অ্যাংজাইটি রিরেটেড ডিসঅর্ডার’ বলে। শরীরে অন্য কোনো অসুবিধা থাকে না। শুধু যখন সহবাসে লিপ্ত হতে যায় তখন মেয়েটির ভ্যাজাইনা সষ্কুচিত হয়ে টাইট হয়ে যায়, কিছুতেই খোলে না। এই সময়টা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। ভয়ষ্কর অভিজ্ঞতা। স্বামী অসেক সময় রেগে গিয়ে জোন করলে স্ত্রী যন্ত্রণায় কেঁদে ফেলে। দু’জনকে ঘিরে গড়ে ওঠে সাইকো সেক্সুয়াল সমস্যা। এইরকম অবস্থায় ডাক্তারবাবুর সাহয্য নেওয়া প্রয়োজন। মেয়েটিকে বোঝানো হয় যোনিদ্বার একটি ফ্লেক্সিবল জায়গা, যেখানে আঙুল বা পেনিস অনয়াসে ঢুকে যায়, ভয় পাবার কিছু নেই। স্বাভাবিক প্রসব যোনিদ্বার দিয়েই হয়। তাই ভয় সম্পূর্ণ অমূলক। মেয়েটিকে কাউন্সেলিং ও নির্দিস্ট থেরাপির মাধ্যমে স্বাভাবিক কেরে তোলা হয় যাতে সহবাসে সময় অসুবিধা না হয়।
  • অনেক ছেলে মনে করে সহবাসটাই আসল
অনেক ইয়ং কাপল বা পুরুষ খুব তাড়াতাড়ি সহবাস করে। যেন মনে হয় সহবাসটাই আসল। অনেক সময় দেখা যায় পুরুষটি সহবাস তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করে পাশ ফিরে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোয়। মেয়েটি জেগে থাকে শূণ্যতা অর্থাৎ অতৃপ্তি নিয়ে। আসলে কোয়ালিটি অফ সেক্স হচ্ছে সেক্সুয়ালিটি। তারপরে সেক্স। ডাক্তাররা সবসময় কাপলদের বলে থাকেনসমস্ত সেক্স অর্গান দিয়ে সেক্সটাকে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করবেন। পঞ্চইন্দ্রিয়কে কাজে লাগাতে বলা হয় সেক্সের সময়। যেমন তাকানো, টাচ করা, শরীরের স্বাদ নেওয়া, শরীরের গন্ধ উপভোগ ইত্যাদির মাধ্যমে সেক্স প্লেজারটা নিতে হয়। সহবাসকে কখনোই প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। সহবাসকে প্রাধান্য দিলে পারফরমেন্স অ্যাংজাইটি হয়। ফলে দারণ পারফর্ম করতে হবে এরকম মনে হওয়া মানসিক চাপ বাড়ে। তৃপ্তি হয় না তার নিজের। এই অতৃপ্তি জমতে জমতে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়।
  • কতক্ষণ হওয়া উচিত সঙ্গম
সাধারণ ক্ষেত্রে সঙ্গম ৫ থেকে ৮ মিনিটের বেশি হয় না। যারা পর্ণো দেখে আধাঘন্টার কথা ভাবেন, তাদের ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। ফোর প্লে শুধু আধঘন্টা হয়। চূড়ান্তমুহূর্ত বড়জোর ৫ থেকে ৮ মিনিট। চিকিৎসকের কাছে রোগী যখন যান তাদের মানসিক এবং যৌন সমস্যা নিয়ে, প্রথমেই ডাক্তারবাবু জানতে চেষ্টা করেন রোগীর ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েড, অ্যাংজাইটি, ড্রাগ বা নেশাগত কোনো সমস্যা আছে কি না। ডায়াবেটিসের ওষুধ, প্রেসারের ওষুধ খেলেও ইরেকটাইল ডিসফাংশন হয়। যদি এই রোগগুলো না থাকে তখন দেখা হয় মানসিক কোনো সমস্যা আছে কি না। সবকিছু যদি ঠিক থাকে তখন কিছু ওষুধ আছে যেগুলো ব্যবহার করতে দেয়া হয়। এই ওষুধগুলো ডাক্তারবাবুরা রোগীদের সবরকম পরীক্ষা করে তারপর প্রেসক্রইব করেন। সেক্সুয়াললাইফ সুখী হওয়ার জন্য কতগুলো জিনিসের দিকে নজর দিতে হয়। যেমন—
  • ফ্লোর পে বাড়াতে হবে।
  • নিজের কনফিডেন্স এবং অ্যাডজাস্টমেন্ট বাড়াত হবে।
  • অ্যাংজাইটি কমাতে হবে।
  • লুব্রিকেন্ট জেলি, অ্যানেস্থেটিক জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • স্টার্ট অ্যান্ড স্টপ টেকনিক ও স্কইজ টেকনিক খুব ভালো কাজ দেয়।
  • নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া উন্নতি করুন।
  • মাঝে মধ্যে লং ট্যুর কিংবা উইক এন্ডে লং ড্রাইভে যান।
  • সব শেষে যেটা বলা, দু’জন দু’জনকে যথেষ্ট দিন।
 সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন