×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

কেন কানে কম শোনেন

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-17 11:13:30

বিভিন্ন অসুখের কারণেই কানের শ্রবণ ক্ষমতা কমে যায়। তার মধ্যে কানের কিছু অসুখ যেমন আছে, তেমনি অন্য কিছু অসুখও আছে। তাই আগে জানব আমরা কীভাবে কানে শুনতে পাই। কানের তিনটি অংশ –বহিঃকর্ণ মধ্যকর্ণ বং অন্তঃকর্ণ কানের বাইরে যে ফুটোটা আমরা দেখতে পাই, যেকোনো শব্দ ওই ফুটোটার মধ্যে দিয়ে গিয়ে ধাক্কা দেয় কানের পর্দায়। সেই পর্দার সাথে ছোট ছোট তিনটে অস্থি বা হাড় মিলিত হয়ে একটা অ্যাসম্বলি করে তৈরি করে “মেলিয়াস ইনকাস স্পেপিস’। মেলিয়াস থাকে পর্দার সাথে লাগানো। শব্দ পর্দায় ধাক্কা দিলে ইনকাস, স্পেপিসের মাধ্যমে অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়াতে পৌঁছায়। অন্তঃকর্ণের শোনার যে যন্ত্র তার নাম ককলিয়। এই ককলিয়াতে শব্দ পৌঁছায়। ককলিয়ার মধ্যে শব্দ এক ধরনের কম্পন তৈরি করে। এই কম্পন ককলিয়ার মধ্যে থাকা কিছু নার্ভকে উত্তেজিত করে। সেই নার্ভ তখন ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলাস সৃষ্টি করে যা নার্ভের মাধ্যমে গিয়ে পৌঁছায় ব্রেনের বিভিন্ন স্থানে। ফলে আমরা শুনতে পাই। ককলিয়াতে শব্দ পৌঁছালেই কিন্তু মানুষ শুনতে পায় না। মানুষকে শুনতে হলে তাকে বুঝতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত শব্দটাকে ব্রেনে পৌঁছাতে হবে। ককলিয়া শব্দটাকে ধরে, সেখান থেকে নার্ভের মাধ্যমে ব্রেনের কনটিয়াস লেভেলে (continus level) যখন পৌঁছায় তখন আমরা শব্দের রকমভেদ বুঝতে পারি এবং আদৌ কোনো শব্দ কানে পৌঁছালো কি না সেটা জানতে পারি। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি ককলিয়াতে নানা ধরনের শব্দ পৌঁছায়। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকার কারণে ব্রেনও ঘুমিয়ে থাকে বলে আমরা শুনতে পাই না। আবার যখন খুব জোরে একটা শব্দ কানে যায় তখন সেই শব্দটা ব্রেনকে উত্তেজিত করে ফলে ঘুম ভেঙে যায়। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, এই ককলিয়ার পাশেই থাকে ভারসম্য রক্ষার ব্যালেন্স অপারেটর,যেটার গন্ডগোল হলে মাথা ঘুরতে থাকে, ভার্টাইগোর সমস্যা সৃষ্টি হয়। যদিও সেটা এই আলোচনার বিষয় নয়। কানের যে সমস্ত সমস্যায় শ্রবণ ক্ষমতা কমে যায় তার মধ্যে অন্যতম হল-

  • কানের পর্দা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  • কানের মধ্যে কোনো ফরেন বডি বা পোকা-মাকড় ঢুকে যেতে পারে।
  • কানের মধ্যে ময়লা জমে যেতে পারে।
  • হঠাৎ করে ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি হয়ে কানে ফ্লুইড জমতে পারে।
  • কানের পর্দার জন্মগত বা বড় বয়সে কোনো কারণে ফুটো হতে পারে।
  • কানের মেলিয়াস, ইনকাম, স্টেপিস নামে যে হাড়গুলি আছে সেগুলো FIX হয়ে শ্রবণ কমতে থকে।
  • ককলিয়ে বা ইন্টারন্যাল অপারেটারস্-এ জন্মগত ক্রটি থাকতে পারে।
  • জন্মগত হোক বা পরে হোক নানান সমস্যা কানকে আক্রান্ত করে এবং শোনার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
  • ককলিয়ে থেকে যে নার্ভ শব্দ তরঙ্গকে ব্রেনে পৌঁছে দেয় সেই নার্ভও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা ব্রেনের মধ্যে যে বোঝার জায়গাটা আছে সেটা কোনোভাবে ড্যামেজ হয়ে কানে শোনার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
এবার আসা যাক অন্যান্য কী কী সমস্যায় কানে শোনা বন্ধ হয়ে যায়
  • প্রথমে আসে বয়সজনিত সমস্যা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কানে শোনার সমস্যাও বাড়তে থাকে। এবং তা ভিন্ন ভিন্ন লোকের ভিন্ন ভিন্ন বয়সে হয়। পঁচিশ বছর থেকে সমস্যা শুরু হতে পারে। সাধারণত চল্লিশের পর থেকে কানে কম শোনার সমস্যা শুরু হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বহু বছর পর্যন্ত নাও থাকতে পারে। এখানে প্রতিরোধ করাটাই মুখ্য ব্যাপার।
  • শব্দ দূষণ থেকে কানে কম শোনার সমস্যা হয়। আমাদের শব্দ সহ্য করার মাত্রা ৯০ ডেসিবেল। তার ওপরে যদি শব্দের আওয়াজ থাকে অনেকদিন বা অনেকক্ষণ ধরে চলে শব্দযন্ত্র তাহলে কানে কম শোনার সমস্যা তৈরি হয়। এবং কানে কোনো অসুখ না থাকা সত্বেও এই সহ্য ক্ষমতা খুব তাড়াতাড়ি হ্রাস পায়। উল্লেখ্য, ৯০ ডেসিবেল শব্দযন্ত্র ৬ ঘন্টা সহ্য করা যায়। কিন্তু ৯৫ ডেসিবেল সহ্য ক্ষমতা তিন ঘন্টাও হয়ে যায়। প্রতি ৫ ডেসিবেলে আমাদের শোনার সহ্য ক্ষমতা অর্ধেক করে কমে। এবং তা ১০০ ডেসিবেল হলে ১ ঘন্টার বেশি সহ্য করা যায় না। কান ক্ষতিগ্রস্ক হবেই। দীর্ঘসময় ধরে হলে তা কানে শোনার সমস্যা আসবেই। এটা সাধারণত শুরু হয় হাই ফ্রিকোয়েন্সিতে। উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দগুলোতে অসুবিধা হয়। সাধারণ কথাবার্তা ঠিক চলে। কিন্তু যত ক্ষতি বাড়তে থাকে সাধারণ কথাবার্তাতেও তার প্রভাব পড়ে।
  • জেনেটিক সমস্যা: অন্য অসুখের ক্ষেত্রে যেমন বংশগত কিছু কারণ থাকে তেমনি কানে শোনার সমস্যাও বংশগত হতে পারে। এছাড়াও জন্মগতভাবে কেউ কানে কম শোনে। এটাও বংশগত কারণে হতে পারে। সিনড্রোম ডিজিজে অন্যান্য অর্গান যেমন আক্রান্ত হয় তেমনি কানও আক্রান্ত হয়। কারো হয়তো কানের সমস্যার সাথে হার্টের সমস্যা, মুখের গঠনগত সমস্যা, পেটের সমস্যা আছে। এর মধ্যে কিছু জিনিস আছে যেখানে ভালো চিকিৎসা করা যায় আবার কিছু জিনিস আছে সেগুলোতে খুব ভালেঅ চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই।
  • ভাইরাল ইনফেকশন থেকেও কানে শোনার সমস্যা তৈরি হয়। সর্দি-কাশি থেকে পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কানে ফ্লুইড জমে সাময়িকভাবে শোনার সমস্যা হতে পারে। আবার কানের অন্তঃকর্ণ, ককলিয়া, কানের নার্ভ ও ব্রেনের সেলগুলোকে ও ক্ষতিগ্রস্থ করে। সেক্ষেত্রে শোনার সমস্যা হয়। বিভিন্ন ভাইরাল ফিভার যেমন হাম, মিজলস্ ইত্যাদি হলেও শোনার সমস্যা হতে পারে সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে। মেনিনজাইটিস হলে কানের বিভিন্ন অংশ যেমন ককলিয়ে, কানের নার্ভ, ব্রেনের ক্ষতি হয়ে শোনার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অটো ইমিউন ডিজিজ যা শরীরের নিজস্ব অঙ্গের প্রতি শরীরের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, শরীরের কিছু টিস্যুর ওপর এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পাশাপাশি কানেরও ক্ষতি হতে পারে। মাস্পসে আক্রান্ত হলেও কানের ক্ষতি হয়। সেটা সাময়িক বা স্থায়ী হতে পারে।
  • বাচ্চাদের টনসিল, অ্যাডিনয়েড গ্ল্যান্ড যদি খুব বড় থাকে সেক্ষেত্রে ইউচেস্টিয়ান টিউব বলে যে টিউব কান ও নাকের মধ্যে বাতাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, সেই টিউব ব্লক হয়ে সংক্রমণে কানের ক্ষতি হতে পারে। এটা বাচ্চা এবং বয়স্ক উভয় ক্ষেত্রে হতে পারে।
  • যারা এইচ.আই.ভি বা এইডস রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে নানা রকম অসুখের উপসর্গ হিসাবে কানের সমস্যা হতে পারে।
  • মায়ের ইনফেকশন থেকে অনেক সময় বাচ্চারা আক্রান্ত হয়। জন্মের সময় মায়ের যদি কোনো সংক্রামণ থাকে তাহলে বাচ্চারাও আক্রান্ত হতে পারে এবং তার থেকেও কানের সমস্যা দেখা দেয়। মায়ের যদি মদ্যপানের নেশা থাকে তাহলে কিছুটা হলেও বাচ্চার কানের সমস্যা দেখা যায়।
  • যেসব বাচ্চা সময়ের আগেই ভূমিষ্ট হয় তাদের বিভিন্ন সমস্যা হয়। তার মধ্যে কানের সমস্যা অন্যতম।
  • মায়ের যদি সিফিলিস থাকে এবং সেটা যদি বাচ্চার মধ্যে ছড়িয়ে যায় তাহলে কানে শেনারা সমস্যা হয়। বর্তমানে অনেক ভালো চিকিৎসা এসে যাওয়ার কারণে এখন এই ধরনের রোগ অনেক কমে গেছে। তবুও নিম্ন আয়ের লোকজনদের মধ্যে, বস্তির মানুষেদের মধ্যে তথা নবজাতক বা একটু বড় বাচ্চাদের এমন সমস্যা দেখা যায়।
  • অটোস্ক্লোরোসিস বলে এক ধরনের কানের সমস্যা হয় যা কানের নমনীয় হাড়গুলোকে শক্ত করে দেয়। এতেও কানের সমস্যা হয়।
  • কিছু নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার আছে যেগুলো কানের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোকে আক্রান্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
  • মাল্টিপল স্ক্লোরোসিস বলে এক ধরনের অসুখ আছে যা নার্ভের আরণকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। এক্ষেদত্রে অন্যান্য অঙ্গের সাথে কানেরও ক্ষতি হয়।
  • স্ট্রোক হলে অনেক সময় শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো কোনেরও ক্ষতি হতে পারে অথবা ব্রেনের মধ্যে কানে শোনার যে অংশটা থাকে তা আক্রান্ত হয়ে কানে শোনার সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • ব্রেণ টিউমার হলেও কানে শোনার সমস্যা হয়। কারণ কানে শোনার যে যন্ত্রগুলো আছে সেগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে।
  • ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডের সমস্যায় যারা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন, তাদের কানে শোনার সমস্যা বেশ ভালো রকম হতে পারে এবং একদমই কানে শুনতে পাচ্ছেন না এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেজন্য এইসব অসুখগুলোর চিকিৎসা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ জরুরী।
  • ক্যানসার চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার থেকে কানের ক্ষতি হতে পারে। অন্য অসুখের কারণে দেওয়া ওষুধ থেকেও কানের অনেক সময় ক্ষতি হয়। কিন্তু ডাক্তারবাবুদের কিছু করার থাকে না বলে আগেই বলে দেওয়া হয়। ক্যানসারের ওষুধ ছাড়া টিবির ক্ষেত্রে কিছু হাই ডোজের ওষুধ ব্যবহার করা হয় যা কানের ওপর যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া করে। কিডনি ফাংশন ভালো রাখার জন্য ডাই-ইউরেটিক ওষুধ, ম্যালেরিয়া ওষুধ, অ্যাসপিরিন অথবা অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ঠিকমতো না হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে কানে শোনার সমস্যা আসতে পারে।
  • দূষণ যেমন লেড, নানরকম রঙ, গাড়ির ধোঁয়া, পেট্রোলজাত কিছু কিছু জিনিস নানভাবে কানের ক্ষতি করে। স্টেরিন, ইথাইল বেঞ্জিন, হোয়াইট স্পিরিট, কার্বন ডাই সালফাইড ইত্যাদি গাড়ির ধোঁয়া থেকে আসে। কার্বন মনোঅক্সাইড, মার্কারি, পেস্ট্রিসাইড থেকেও কানের ক্ষতি হয়।
  • জোরে মারা চড়-থাপ্পর বা দুর্ঘটনা থেকে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে কানে শোনার সমস্যা তৈরি হতে পারে।
অ্যাকিউট সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন একং পরীক্ষার নিশ্চয় ধরা পড়বে সমস্যাটা কোথায়। তখন সেই অনুযায়ী চিকিৎসা হবে। চিকিৎসা আছে তবে সবক্ষেত্রে চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বর্তমানে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। যাদের অ্যাকিউট নয়, কিন্তু অনেকদিন ধরে কানের সমস্যা আছে অথবা যারা কলকারখানায় কাজ করেনম রাজমিস্ত্রী, সিমেন্ট কারখানার কর্মী, ড্রিল মেশিন চালান, ঢালাইয়ের কাজ করেন, কিংবা যাদের প্রচন্ড আওয়াজের মধ্যে কাজ করতে হয় এমন ক্ষেত্রে পাঁচ-দশ বছর কাজ করার পরে কানে শোনার সমস্যা তৈরি হয়। প্রথম দিকে সমস্যা আরম্ভ হয় কিন্তু কথা শুনতে পাওয়া না পাওয়ার মধ্যে দিয়ে। এদের সঙ্গে জোরে কথা বলতে হয়। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে গেলে কানে কম শোনাকে প্রতিরোধ করা যায়। অল্প কানে শোনার সমস্যাটা পিছন থেকে বা পাশ থেকে শুরু হয়। সামনে থেকে হবে না। সেই কারণে সমস্যাটাকে এড়িয়ে না যাওয়াই ভালো। মানসিক সমস্যা কোনো মানুষের হয়তো কোনো অসুখ নেই, কিন্তু তিনি হয়তো অ্যাংজাইটিতে ভুগছেন, বেখায়ালি, তিনি শুনছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না আসলে তিনি যে ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তার বাইরে কোনো শব্দই তার মনে গেঁথে থাকছে না। পরীক্ষায় দেখা গেল তিনি খুবই ভালো শুনছেন অথচ ব্যবহারিক পরিস্থিতি বা প্রাতহিক জীবনের সেই আওয়াজগুলোকে নিতে পারছেন না বা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এটা এক ধরনের মানসিক সমস্যা। বয়স বেড়ে গেলে দেখা যায় তিনি শব্দ পাচ্ছেন কিন্তু শব্দটা যে কী সেটা বুঝতে পারছেন না। ফলে শব্দটা অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে। বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে কানে কম শোনার এই সমস্যা তৈরি হয়। কখনো বা নার্ভের বা মানসিক সমস্যার জন্য হতে পারে। এখন কিন্তু বয়সজনিত কারণে কম শোনা বা কানের কোনো নার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ হলে চিকিৎসা করে বেশ কিছুদিন বা স্থায়ীভাবে কানে কম শোনার সমস্যাকে আটকে দেওয়া যায়। অথবা যেটুকু ক্ষতি হয়েছে সেটা যদি ফিরিয়ে না দেওয়াও যায়, হতাশ হওয়ার কারণ নেই। যেটুকু বেঁচে আছে সেটাকে যদি ভালো রাখা যায়, সেইটুকুরউ উন্নতি ঘটিয়ে শোনার উপযোগী করা হয়। এছাড়া কোনো ওষুধের যদি কিছু না করা যায় তাহলে এখন অনেক উন্নত মানের হিয়ারিং এড এসে গেছে যেগুলো পরলে বাইরে থেকে বোঝা যায় না অথচ শোনা যায়। অথচ কেউ বুঝতে পারবে না খুব মনোযোগ দিয়ে না দেখলে। এসবের সাউন্ড কোয়ালিটি এতই ভালো যে মনে হবে পাশে বসেই কথা বলছে কেউ। তাছাড়া কানের খুব খারাপ অবস্থা অথচ আর্থিক সঙ্গতি ভালো, তাদের জন্য আছে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বলে এক ধরনের চিকিৎসা যা অবশ্য খরচ সাপেক্ষ। ছয় থেকে বারো লক্ষ টাকা খরচ পড়ে। অনেক এন.জি.ও আছে যারা কিছুটা টাকা স্পনসর করে সেইসব ক্ষেত্রে। এই যন্ত্র বসানোর জন্য বয়সের কোনো বাধা নেই। যেকোনো বয়সের মানুষ এটা বসাতে পারেন। শোনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভালো ফল পাওয়া যায়। একদম স্বাভাবিক শোনা যায়। তাই কানে কম শোনা যাচ্ছে বলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসায় অনেকটাই শ্রবণশুক্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন