রোগা হতেও আকুপাংচার
হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-23 11:32:26
আকুপাংচার অনেক রোগ সারায়, রোগা করতে পারে কি? শরীরে জমে থাকা মেদ কি আকুপাংচার চিকিৎসায় গলে যায়? আকুপাংচার করালে কি ব্যায়াম, শরীরচর্চা করার কোনো দরকার পড়বে না? সব রকম খাওয়া-দাওয়া চলবে তো? –এরকম বহু প্রশ্ন আছে। তবে উত্তর দেওয়ার আগে সাম্প্রতিক একটি পরীক্ষামূলক সমীক্ষার কথা বলি। ১৯৬ জন ব্যক্তির ওপর এই সমীক্ষাটি করা হয়। দেখা গেছে ছ’সপ্তাহের আকুপাংচার চিকিৎসার পর ওই ১৯৬ জনের মধ্যে অধিকাংশের ওজন হ্রাস হয়েছে। তবে সঙ্গে অবশ্যই খাদ্য বিধি মান্য করতে হয়েছে। সমীক্ষাটি ‘দি সায়েন্টিফিক ওয়ার্ল্ড জার্নাল’- এ প্রকাশিত। আকুপাংচার শরীরের মেদকে গলিয়ে দিতে পারে না। যেটা পারে সেটা হল অতিরিক্ত খাবার ইচ্ছেটাকে কমিয়ে দিতে। মস্তিষ্কের যে অংশ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে সেটাকে উত্তেজিত করার মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্ষুধা কমায় আকুপাংচার। ফলে বেশি খাবার শরীরে গিয়ে ওজন বাড়াতে পারে না। তাছাড়া এই চিকিৎসায় অনিদ্রা, অবসাদ, টেনশন প্রভৃতিও হ্রাস পায়, যেগুলো পরোক্ষভাবে ওজন বাড়াতে ভূমিকা গ্রহণ করে। আকুপাংচার মূলত হাতে, পায়ে এবং পেটের ত্বকের ওপর অবস্থিত দু’-চারটি বিন্দুতে করা হয়। অতি সূক্ষ সুঁচ ফোটানো হয়। কিছুক্ষেত্রে মৃদু ইলেকট্রো স্টিমুলেশনও ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে বাঁশ, কাঁচ বা রবারের কাপ ব্যবহার করা হয়। আকুপাংচার পদ্ধতিতে শরীরের মধ্যে থাকা নিউরোট্রান্সমিটারগুলো কার্যকর হয়, যা রোগীর শরীরকে ভিতর থেকেই সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। তবে কেউ যদি মনে করে একবার আকুপাংচার চিকিৎসা নিলেই অনেকটা ওজন কমে যাবে, সেটা সম্পূর্ণ ভুল। ন্যনতম ছ’ থেকে আট সপ্তাহের চিকিৎসার সঙ্গে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, হালকা ব্যায়াম, হাঁটার অভ্যাস এইসব মিলিয়েই অতিরিক্ত ওজনকে কমিয়ে এইসব মিলিয়েই অতিরিক্ত ওজনকে কমিয়ে ফেলা এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন