×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

আতসবাজি ও বায়ুদূষণ

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-23 11:47:32

না, আমরা পারলাম না। আমরা হেরে গেলাম। মনে একটু ক্ষীণ আশা ছিল যে, হয়তো আমরা জিততে না পারলেও কিছুটা লড়াই করতে পারব, কিছুটা সফল হব। কিন্তু এভাবে যে হেরে যেতে হবে তা অন্তত বর্তমান লেখক ভাবেনি। এটাই উপলব্ধি করা গেল যে গণচেতানা ও জনসচেতনতার দিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। বিদ্যাসাগর বহুকোল পূর্ব একবার মন্তব্য করেছিলেন, ‘ এ দেশের উন্নত হইতে ঢের বিলম্ব আছে। সাতপুরুষ জমি তুলিয়া ফেলিয়া নতুন মানুষের চাষ করিতে হবে। তবে যদি এ দেশের মঙ্গল হয়।’ বিদ্যাসাগরের কাল বহুযুগ পূর্বেই অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু গভীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সত্যানুসন্ধানী মানবপ্রেমিক বিদ্যাসাগর যে মন্তব্য করেছিলেন তা যে কী নির্মমভাবে সত্য তা আজও উপলদ্ধি করা যায়। প্রসঙ্গ—আতসবাজি সংক্রান্ত দূষণ। দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলার রায় দিতে গিয়ে দিল্লিবাসীদের অনুরোধ করেছিলেন যে, এই বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে তারা যেন আতসবাজি মুক্ত দেওয়ালি উৎসব পালন করেন। দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সুপ্রিম কোর্টের এই মানবিক আবেদন। ঘটনার প্রেক্ষপট একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। অক্টোবর-নভেস্বর মাস নাগাদ দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হয়। দেওয়ালির সময় আতসবাজি পোড়ানোর ফেলে যে ভয়ংকর বিষাক্ত ধোঁয়া উৎপন্ন হয় তা এই ঘন কুয়াশার সঙ্গে মিশে এক ভয়ংকর অবস্থা সৃষ্টি করে যা তিন-চারদিন স্থায়ী হয়। ঘন ভারী দূষণযুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কাজটিও কষ্টকর হয়ে ওঠে। বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধ মানুষদের পক্ষে। বিশেষত যারা শ্বাসকষ্ট ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন তাদের অবস্থা একদমই দুর্বিষহ হেয়ে ওঠে। কারও কারও প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হয়। বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থা চলে আসছে। এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই এক জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়। এই রায়কে গোটা দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন পরিবেশ সচেতন, সুস্থ স্বাভাবিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ স্বাগত জানিয়েছিলেন ও আশান্বিত হয়েছিলেন। শুধু দিল্লির বাসিন্দারাই নয়, গোটা দেশের মানুষ এমনকী এ রাজ্যের বাসিন্দারাও উৎসাহিত হয়েছিলেন। পরিবেশ প্রেমী ও পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনও সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে এই রাজ্যেও প্রয়োগ করার দাবি জানায়। প্রচার, মিটিং ও মিছিলও হয়। রাজ্য সরকারের কাছে এই মর্মে আবেদনও জমা পড়েছিল, সমস্ত আতসবাজি নিষিদ্ধ না করলেও অন্তত শব্দবাজির পক্ষের এই নিষেধাজ্ঞ এ রাজ্যেও প্রযোজ্য হোক। এমন দাবিও শেষ পর্যন্ত জোরালোভাবে উঠেছিল। কিন্তু কী অদ্ভুত, কী দেখলাম আমরা? রাজ্যের শাসক দলের এবং বিধায়ক মন্তব্য কররেন কালীপুজোয় আতসবাজি পোড়ানো এক পরিপন্থি। রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর বক্তব্য হল যে, কালীপুজোর বাজি পুড়িয়ে মানুষ যদি একটু আনন্দ করে তাহলে তাতে ক্ষতি কী? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ‍যিনি এ রাজ্যের তথা এ দেশের প্রতিটি ঘটনা সম্বন্ধেই প্রবল জোরালো অভিমত প্রকাশ করেন, তিনি এ বিষয়ে আশ্চর্যজনকভাবে সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন। এমনকী নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিষয়ে আরও বেশি বিস্ময়কর ভূমিকা পালন করলেন এ রাজ্যের তথাকথিত প্রগতিশীল গণতন্ত্র প্রেমী বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাজীবিরা। একদা বাম আমলে যে সব আধুনিক মনস্ক, উদারমনস্ক বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাজীবীরা ভিয়েতনাম, বোফর্স থেকে শুরু করে বাংলাদেশে গণহত্যা কিংবা  বিহারে অনাহারে কৃষকের মৃত্যু কিংবা দারিদ্রের কারণে সপরিবারে আত্মহত্যা, রাজ্যে ক্রমবর্ধমান মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আকাশ-পাতাল তোলপাড় করেছিলেন তাদের অধিকাংশই পরিবর্তন-এর সঙ্গে সঙ্গে শিবির বদলে ফেলেছেন। এখন তারা নোটবন্দী, গো-সেবা, রামমন্দির, এ রাজ্যের উন্নয়নে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণ, সিঙ্গুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ইত্যাদি নিয়ে রাজ্যে তোলপাড় করছে। কিন্তু এদের মধ্যে একটি কণ্ঠও আতসবাজি বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বায়কে স্বাগত জানানো এবং রাজ্যে তা প্রয়োগ করার তাবী জানিয়ে ও নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরোধিতায় সোচ্চার হননি। সরকারের কাছে দাবি জানানো তো দুরের কথা, একটি প্রতিবাদ সভা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি। ‘পরবর্তন’ বলতে বোধহয় একেই বোঝায়। এ বছর কালীপুজো, দীপাবলী, সবেবরাত সরম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অনুসন্ধানের বিষয় ছিল এ দেশের মহানগরীগুলোতে আতসবাজি পোড়ানোর ফলে বায়ু দূষণের মাত্রার বৃদ্ধি। এই রিপোর্ট অনুযায়ী কারীপুজো, দীপাবলী ও সবেবরাতের পর বাতাসে দূষণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে হায়দ্রাবাদে, তার পরের স্থান কলকাতা, তৃতীয় স্থাসে আছে চেন্নাই, চতুর্থ স্থানে দিল্লি এবং পঞ্চম বা সর্বশেষ স্থানে অবস্থান করছে মুম্বাই। এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয় যে আতসবাজি বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন দিল্লির মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে সাড়া দিয়েছে। এটি একটি আশাপ্রদ দৃষ্টান্ত। দিল্লিতে বায়ুদূষণের বিশেষ কিছু কারণ আছে যা বর্তমান পরিসরে উল্লেখ করা প্রয়োজন। দিল্লির পার্শ্ববর্তী রাজ্য গুলোতে জমি থেকে ফসল কেটে নেওয়ার পর যে গোড়া অবশিষ্ট থাকে তা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে বিশাল পরিমাণ দূষিত কালো ধোঁয়া দিল্লির বাতাসকে বিষাক্ত করে। দিল্লিতে নির্মাণশিল্প চূড়ান্ত আকার পেয়েছে, এর ফলে বিপুল পরিমাণ দূষিত করা বাতাসে নিরন্ত্র মিশছে দিল্লি ও সন্নিহিত অঞ্চলে অজস্র ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা রয়েছে। এইগুলো থেকে নির্গত উত্তাপ, ক্ষতিকারক গ্যাস ও রাসায়নিক কণা বাতাসে মিশছে। ফলে বাতাস আরও দূষিত হচ্ছে। দিল্লিতে যানবাহনের সংখ্যা প্রচুর। এগুলো থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস বায়ুদূষণ ঘটায়। ধোঁয়া ও কুয়াশার মিলনে উৎপন্ন হয় ধোঁয়াশা। বর্ষার পর থেকে শীত পড়া পর্যন্ত দিল্লি মাঝে মাঝেই এইরকম ধোয়াশায় আক্রান্ত হয়। এই লেখা যখন চলছে তখন দিল্লি পুনরায় ভয়ংকর ধোঁয়াশায় আক্রান্ত। স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, বয়স্ক ব্যক্তিদের থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। সুস্থ সবল মানুষদেরও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কথা দৃশ্যমানতা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক নীচে নেমে গেছে। কাজেই দিল্লির ধোঁয়াশা তথা বায়ু দূষণের এক বিচিত্র চরিত্র আছে এবং তা এক দীর্ঘকালীন বিষয়। কিন্তু কলকাতায় কৃষি কাজ না হলেও সন্নিহিত অঞ্চলে যথেষ্ট পরিমাণ কৃষিকাজ হয়। কিন্তু দিল্লির মতো ফসল কাটার পর গাছের গোড়া আগুনে পোড়ানো হয় না, পচানো হয় যা মাটির সঙ্গে মিশে জমিকে আরও উর্বর করে তোলে। কলকাতা ও সন্নিহিত অঞ্চলে নির্মাণ শিল্প একতা রমরমা অবস্থায় থাকলেও বর্তমানে অর্থনৈতিক কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে। দূষণ সৃষ্টিকারী কারখানা প্রায় নেই বললেই চল। যে কটি ছিল তার অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। আর দিল্লির তুলনায় কলকাতায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম। এতগুলো ইতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও কলকাতায় বায়ুদূষণের মাত্রা দিল্লির থেকে অনেক বেশি। সুতরাং আতসবাজি পোড়ানোর ফলে কলকাতার বায়ুদূষণ অত্যন্ত তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায় একথা স্বচ্চন্দে বলা যায়। প্রসঙ্গত আরও একটি কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। কলকাতার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে গঙ্গা নদী। গঙ্গার হাওয়া কলকাতার ওপরে জমে থাকা দূষিত বাতাসকে বয়ে নিয়ে যায়, ছড়িয়ে দেয় অন্যত্র। ফলে কলকাতার ওপর জমে থাকা দূষিত বাতাসের পরিমাণ ক্রমশই কমতে থাকে। সর্বোপরি এ বছর কারীপুজোর দিন থেকে শুরু করে পরপর তিনদিন নিম্নচাপজনিত কারণে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য এর মাঝেই আতসবাজি পোড়ানোও চলেছে। বৃষ্টির এক বিশেষ ধরনের উপকারিতা আছে। বৃষ্টির ফোঁটা বাতাসে ভাসমাস ধূলিকণাকে মাটিতে নামিয়ে আনে। এই কারণেই বৃষ্টির পর বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই হ্রাস পায়। আতসবাজি পোড়ানোর ফলে যে সমস্ত বিষাক্ত রাসায়নিক কণা কলকাতার বাতাসে মিশেছিল তা দফায় দফা্য় বৃষ্টির ফলে যথেষ্ট পরিমাণে বৃষ্টিফোঁটার সঙ্গে ভূমিতে নেমে এসেছে। এর ফলে আতসবাজিজনিত বায়ুদূষণ যথেষ্ট পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সমীক্ষটি চালিয়েছিল। যার রিপোর্ট অনুযায়ী বায়ুদূষণে কলকাতার স্থান দ্বিতীয়। এতগুলি ইতিবাচক বিষয় কলকাতার স্বপক্ষে থাকা সত্ত্বেও এ রিপোর্ট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে স্রেফ আতসবাজি জনিত দূষণ কলকাতা তথা এ রাজ্যের বায়ুদূষণকে কীভাবে লাগামছাড়া মাত্রায় দিনে দিনে উত্তোলিত করছে। একথা ঠিক যে আতসবাজি পোড়ানোর ওপর কোনোরকম সরকারি নিষেধাজ্ঞা নেই। ৬৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দসৃষ্টিকারী পটকা ও বোমা ফাটানো নিষিদ্ধ নয়। আলোর বাজি পোড়ারে তা নিরাপদ এমনটাই সাধারণ মানুষের ধারণা। কিন্তু বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে এইগুলোই মুখ্য ভূমিকা গ্রহন করে। একটি শব্দবাজি যে পরিমাণ বায়ুদূষণ ঘটায় তার চেয়ে অনেক বেশি বায়ুদূষণ ঘটে একটি রংমশাল বা তুবড়ি ফাটালে। আরও একটি কথা উল্লেখ্য যে, বর্তমানে কেবলমাত্র মরাদেহ নিয়ে শ্মশানে যাওয়া এবং দাহ কার্য ছাড়া আর প্রত্যেকটি উ’সব অনুষ্ঠানে দেদার বাজি পোড়ানো হয়। রাজনৈতিক কারণে বাজি পোড়ানো শক্তি প্রদর্শনের এক নিদর্শন রূপে গণ্য হয়। অদূর ভবিষ্যতে মরদেহ নিয়ে শ্মশানে যাওয়া এবং শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আতসবাজি পোড়ানো হলে অবাক হওয়ার কিচু থাকবে না। কেন মানুষ নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়ায় তা বর্তমান পরিসরে একটু আলোচনা করা প্রয়োজন। এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে মনোবিজ্ঞানে। আইনকে উপেক্ষা করার বা আইন ভঙ্গ করার এক ধরনের বেপরোয়া উদ্ধত মানসিকতা কিছু মানুষের মধ্যে বর্তমান। এরা কিশোর-তরুণ যেমন হতে পারে, তেমনি বয়স্ক হতে পারে। ‘আমি নিষিদ্ধ শব্ধবাজি পোড়াই, আইন মানি না, আইনি আমি ভাঙবো , দেখি আমার কে কী করতে পারে’—এই মনোভাবই তাদের নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়ানোর কাজে প্রণোদিত করে। শুধু নিষিদ্ধ শব্দবাজি নয়, মাথায় হেলমেট না পরে বেপরোয় গতিতে মোটর বাইক চালানো জাতীয় কাজও এই মনোভাববেরই প্রকাশ। এই ধরনের কাজের মাধ্যমে তারে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি, আত্মগৌরব, বীরত্ব প্রদর্শনের সুখ অনুভব করে। আতসবাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হোক এমনটা বর্তমান লেখক দাবি করে না। কারণ আতসবাজি নির্মাণ একটি ক্রমবর্ধমান শিল্ট। যার সঙ্গে বহু মানুষের রুজি রোজগারও নির্ভর করে। আতসবাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলে এই মানুষগুলো সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে যাবে। যে দেশে কোটি কোটি লোক বেকার, সেই দেশে আরও কয়েক লক্ষ বেকারের সংখ্যা বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা, আতসবাজি পোড়ানো বায়ুদূষণের মুল কারণ নয়। মূল কারণ হল যানবাহন চালানোর ফলে উৎপন্ন বিষাক্ত গ্যাস ও বিভিন্ন কারখানা থেকে নির্গত দূষিত গ্যাস। যে ওজোন স্তর পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে তা বর্তমানে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এর মূল কারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এবং রেফ্রিজারেটর থেকে নিগর্ত ক্লোরো-ফ্লুরো কার্বন গ্যাস। কাজেই এইগুলোর প্রতি নজর না দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র আতসবাজি নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব আরোপ না করে খুব একটা সুবিচার করেছেন বলে মনে হয় না। বায়ুদূষণ পর্যায় আরও গভীরভাবে বিচার বিশ্লেষণ সহ বিবেচনা করার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন