হাঁচি-কাশি থেকে মুক্তি
হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-11-23 15:14:45
প্রতেক মানুষের শরীরেই রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য এক ধরানের ডিফেন্স সিস্টেম কাজ করে। ভাইরাস কিংবা ব্যাক্টেরিয়ার মতো ক্ষতিকারক জিনিসগুলো শরীরে প্রবেশ করলে, আমাদের ইমিউন সিস্টেম সেই জিনিসগুলোকে প্রতিরোধ করে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বুঝতে পারে না কোন জিনিসটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। ধুলো, ধোঁয়া, পশু-পাখির লোম, গাছের পোকা বা বিশেষ কিছু খাবার থেকেও যে শরীরে রি-অ্যাকশন হতে পারে, সেটা বোঝা যায় না। ধুলো, ধোঁয়া, লোম প্রভৃতি জিনিসগুলো থেকে ত্বক, চোখ বা নাকের অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস তাই এক বিশেষ ধরনের নাকের অ্যালার্জি। এই ধরনের অ্যালার্জিতে বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষই আক্রান্ত। তবে মহিলা ও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি লক্ষ করা যায়। উপসর্গ অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে ঘনঘন হাঁচি হয়। নাক, চোখ ,গলার ভেতরে চুলকোয়। নাক বন্ধ হয়ে যায়। চোখ দিয়ে জল পড়ে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এই লক্ষণগুলেঅ দেখা দিলে, তখন তাকে সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলে। আর সারা বছর ধরেই এরকম হলে, তখন তাকে পেরেনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলে। সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে পার্থক্য সাধারণ সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জিক রাইনাইটিস দু’টো সমস্যাতেই হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া, নাকবন্ধ, মুখ-চোখ চুলকানো হয়ে থাকে। কিন্তু অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের বিশেষ কয়েকটি লক্ষণ আছে। যেগুলো নরমাল সর্দি-কাশি থেকে পৃথক করে। যেমন-
- অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে জ্বর বা গায়ে-হাতে ব্যথা হতে দেখা যায় না।
- নাক, কান ও গলা খুব চুলকায়। চোখ দিয়ে জল পড়ে, চোখ লাল থাকে। এই সমস্যা সাধারণ সর্দি-কাশির থেকে বেশিদিন থাকে।
- নাক দিয়ে যে সর্দি বের হয়, তা জলের মতো পাতলা হয়। সবুজ বা হলুদ রঙের গাঢ় সর্দি নয়।
- ঘনঘন হাঁচি হয়। এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট দেখা যায়।
- লোমশ কুকুর বা অন্য যেকোনো পশুর সংস্রব এড়িয়ে চলা। বাড়িতে পোস্য থাকলে, তাকে বেডরুমের বাইরে রাখার চেষ্টা করা।
- বাড়িতে ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত।
- ধুলো, ধোঁয়া এবং যে সমস্ত খাবার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে তা এড়িয়ে চলা।
- বাড়ির দেওয়ালে ড্যাম্প বা ফাংগাসের প্যাচ থাকলে রিপিয়ার করতে হবে।