প্রেসারের ওঠা-নামায় মৃত্যু হতে পারে গর্ভস্থ সন্তানের
ডাঃ উজ্জল কুমার আচার্য
2018-12-14 12:36:05
গর্ভবস্থায় রক্তচাপ কমে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেক মহিলাই উপলদ্ধি করতে পারে না যে গর্ভাবস্থায় প্রেসার কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। হরমোনের কারণে রক্ত সংবহনতন্ত্রে শিরা-উপশিরাগুলো প্রসারিত হয়। ফলস্বরূপ রক্তচাপ কমে যেতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে প্রেসার কমতে দেখা যায় এবং সবচেয়ে কমে কুড়ি-চব্বিশ সপ্তাহে। গর্ভাবস্থায় প্রেসার কমে গেলে গর্ভবতীর মাথা ঘুরতে পারে, হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়। এই সময় শরীর হালকা হয় এবং হঠাৎ করে দাঁড়ালে মাথা চক্কর দিতে পারে। এছাড়াও বমিভাব, মনঃসংযোগ অসুবিধে, হাত-পা ঠান্ডা হওয়া, অবসাদ, জলতেষ্টা ও শ্বাসের গতি বেড়ে যায় অনেকেরই। সমস্যা হল, গর্ভাবস্থায় কারণে সাধারণভাবে প্রেসার কমে গেলে রক্তচাপ খুব কমে যাওয়ার উপসর্গ দেখা যায় না, যা কিনা রোগীর শকের কারণ। কিন্তু সেপসিস বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রক্তচাপ হঠাৎ খুব কমে যায়, সেক্ষেত্রে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে, হতে পারে হার্ট অ্যাটাকও। গর্ভাবস্থায় প্রেসার কমে গেলে সময়ের আগে প্রসব অর্থাৎ প্রিম্যাচিওর ডেলিভারি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রেসার বেড়ে যাওয়া গর্ভাবস্থায় প্রেসার বেড়ে যাওয়া এক অতি পরিচিত ঘটনা। গর্ভাবস্থায় প্রেসার বেড়ে যাওয়া মা-বাচ্চার অসুস্থতা এবং মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। গর্ভাবস্থায় মূলত তিনধরনের উচ্চরক্তচাপ দেখা যায়—
- জেস্টেশনাল হাইপারটেনশন : এক্ষেত্রে প্রস্রাব প্রোটিন নির্গত হয় না কিংবা পা ফোলা থাকে না, শুধু প্রেসার বেড়ে যায়।
- প্রি-এক্ল্যাম্পশিয়া: উচ্চরক্তচাপের সঙোগ রোগীর প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হয়। হাত-পা ফুলে যায়। শরীরে জল জমতে পারে বা নাও জমতে পারে।
- এক্ল্যাম্পশিয়া: প্রেসার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন নির্গত হয়। সঙ্গে থাকে খিঁচুনি। রোগী এক্ষেত্রে কোময় চলে যেতে পারে।
- এছাড়াও হতে পারে ক্রনিক হাইপারটেনশন।