ফুসফুসের সংক্রমণ ভীষণ বিপজ্জনক
ডাঃ রাজা ধর
2018-12-17 16:05:25
মানুষের শরীরে দুটো ফুসফুস থাকে, ডান ও বামে। ফুসফুসের প্রধান কাজ রক্তে জমে থাকা কার্বনডাইঅক্সাইড শরীর থেকে বাইরে বার করে দেওয়া এবং বায়ুমুন্ডল থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করা। গ্রহণ করা অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে যায়।
বায়ুমন্ডল থেকে বাতাস ফুসফুসে পৌঁছে যায় শ্বাসনালী দিয়ে। এই শ্বাসনালী আবার দুটো ব্রঙ্কাসে ভাগ হয়ে ডান ও বাম ফুসফুস প্রবেশ করে। প্রতিটি ব্রঙ্কাস অনেকগুলো ছোট শাখায় ভাগ হয়। শেষ টার্মিনাল ব্রঙ্কিওলগুলো ফুসফুসের পাতলা এককোষ বায়ুথলিতে শেষ হয়। এই বায়ু থলিগুলোতে অতিরিক্ত রক্তজালক বা ক্যাপিলারির মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেনের আদান-প্রদান হয়।
লাং বা ফুসফুস বিভিন্ন কারণে সংক্রামিত হয়। জীবাণু সংক্রমণের কারণে ফুসফুসের প্রদাহকে নিউমোনিয়া বলে। স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়া নামক এক প্রকারের ব্যাক্টেরিয়া যে সংক্রমণ ঘটায় তাকে নিউমোকক্কাল রোগ বলে। যখন এই ব্যাক্টেরিয়া ফুসফুসে আক্রমণ করে তখন নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়াজনিত রোগের কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১.৬ মিলিয়নের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সৌভাগ্যক্রমে এই রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
রোগের লক্ষণ কী কী
বুকে ব্যথা, নিশ্বাসের কষ্ট, কাশি, খুব বেশি জ্বর হতে পারে ১০৪ ডিগ্রি বা ১০৫ ডিগ্রি-এর কাছাকাছি, ব্লাডপ্রেসার কমে যেতে পারে। অনেক সময় জিভ, ঠোঁট, নখ এবং আঙুলের ডগা নীল হয়ে যায়। মুখে, ঠোঁট ঘা হতে পারে। রোগী ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
ফুসফুসের অক্সিজেন বিনিময়ের জায়গায় জল ও পুঁজ জমে, ফলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা যায়।
কাদের নিউমোকক্কাল রোগের সম্ভবনা বেশি
যেকোনো মানুষের নিউমোকক্কাল রোগ হতে পারে। তবে যাদের বয়স পঞ্চাশ বছর বা তার বেশি, যাদের ফুসফুস, হার্ট, কিডনির রোগ এবং ডায়াবেটি, মাদকাসক্তি আছে ও রোগ প্রদিরোধ ক্ষমতা কম তাদের এই রোগ এবং রোগজনিত জটিলতা হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। ধূমপায়ী এবং হাঁপানি থাকলেও হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসকারী চিকিৎসাও এর জন্য দায়ী।
নিউমোনিয়া আক্রান্ত হলে কী হতে পারে
নিউমোকক্কাল সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া ছাড়া মস্তিষ্কের সংক্রমণ বা মেনিনজাইটিস, সাইনুসাইটিস ও ব্রঙ্কাইটিস হতে পারে।
কীভাবে ছড়ায়
সরাসরি সংক্রমণের ফলে, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে, সংক্রামিত হাত বা কাপড় থেকেও সুস্থ মানুষের মধ্যে ইনফেকশন ছড়ায়।
চিকিৎসা
সাধারণত এক্স-রে, রক্ত বা কফ পরীক্ষা। দরকার ব্লাড কালচার, ব্রঙ্কোস্কোপিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মেলে। রোগ নির্ণয় করে প্রয়োজনমতো ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা চলে।
কীভাবে সাবধান হবেন
জ্বর, সর্দিকাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, গলাব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, থুতুতে রক্ত, মাথা যন্ত্রণা,ক্লান্তি, কাঁপুনি, ডায়রিয়া, বমি দেখলে হাসপাতালে যান কিংবা ডাক্তারের চেম্বারে অবিলম্বে যোগাযোগ করুন। তিনিই বলে দেবেন রোগটি নিউমোনিয়া কি না।
- হাঁশি-কাশির সময় নাক-মুখ রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
- হাত সবসময় সাবান দিয়ে ধুতে হবে। বিশেষ বরে বাইরে থেকে ঘরে ফিরলে।
- নিজের জ্বর, হাঁচি-কাশি থাকলে ভিড়ের মধ্যে যাবেন না।
- বেশি করে জল ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের প্রয়োজন।
- বাইরে কোনো লোকের হাত ধরবেন না।
- যেখানে সেখানে থুতু ফেলবেন না।
- বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাবেন না। তাতে বিপর্যয় বাড়বে।
ঠিকমতো চিকিৎসা যদি প্রথম থেকে হয় তাহলে সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু সব থেকে বেশি।
অ্যাজমা বা হাঁপানি
শ্বাসনালীর আর একটি অসুখ হল হাঁপানি বা অ্যাজমা। শ্বাসযন্ত্রের পেশির সংকোচনের ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হাঁপানির প্রধান লক্ষণ নিশ্বাসের কষ্ট, কাশি এবং বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালীগুলো অতি মাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয় তাহলে বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়। ধোঁয়া, ধুলো, ঠান্ডা যে কোনো কারণেই হোক ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করতে বা বেরোতে বাধা পায় তাহলেই রোগীর নিঃশ্বাসের কষ্ট হয় ও কাশি শুরু হয় এবং বুকের ভিতর সাঁই সাঁই আওয়াজ হয়।
হাঁপানি হওয়ার জন্য নানা কারণ আছে—
- ধোঁয়া, ধুলো, পরিবেশের কারণে হয় পরিবেশগত হাঁপানি।
- জিনগত কারণে যে হাঁপানি হয় তাকে জেনেটিক হাঁপানি বলে।
- শ্বাসনালী সংকোচনের ফলে যে শ্বাসকষ্ট হয় তা হচ্ছে ব্রঙ্কিয়াল হাঁপানি।
- হৃৎপিন্ডে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে শ্বাসকষ্ট হয় তাকে বলে কার্ডিয়াক হাঁপানি।
হাঁপানি কাদের হয়
সদ্যোজাত থেকে বৃদ্ধ সকলেরই হতে পারে। দু’তিন বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের মধ্যে এই অসুখ দেখা যায়। তার প্রধান কারণ অ্যাটপি। শতকরা প্রায় ষাট জন বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই অ্যাটপির কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানি।
হাঁপানি কিন্তু কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। কিছুটা বংশগত এবং যাদের অ্যালঅর্জি আছে তাদের মধ্যেও রোগটি দেখা যায়। যারা দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস জনিত রোগে ভোগের তাদেরও হাঁপানি দেখা যায়। কীভাবে হয়? বাতাসে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি ওজন নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড থাকলে হাঁপানি বাড়ে। শীতকালে হাঁপানি বাড়ে কারণ এইসময় দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জিজনিত কারণে হাঁপানি হয়। বাড়ির ধুলো, পশুপাখি লোম হাঁপানির পকোপ বাড়ায়। এ ছাড়া ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য বারবার রেসপিরেটরি ট্রাক্টে ইনফেকশনের কারণেও হাঁপানি হয়। অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান বা নেশা করার প্রবণতা থেকে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে অতিরিক্ত পলিউশনের কারণে শিশুদের মধ্যে হাঁপানি বাড়ছে।
সাবধানতা
বাড়িতে কোনোরকম পশুপাখি না পোষাই ভালো। ঘর হবে খোলামেলা। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াতে বসবাস না করাই উচিত। ধুলোময়লা ঝাড়ার সময় নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। সিগারেটের ধোঁয়া হাঁপানি বাড়িয়ে দেয়। এবং শুধু হাঁপানি নয়, ফুসফুস ও শ্বাসনালী সংক্রান্ত অনেক অসুখই ধূমপান থেকে হয়। সিগারেটের ধোঁয়ায় প্রথম ব্রঙ্কাইটিস পরে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস তৈরি করে। এছাড়া নিজে ধূমপান না করলেও পরোক্ষ ধূশপানের কারণেও অ্যাজমা হতে পারে।
চিকিৎসা
হাঁপানি রোগ সারানোর যে সব ওষুধ আছে সেগুলোকে ইনহেলারের সাহায্যে নিলে ওষুধগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় সরাসরি পৌঁছে যায়। এইভাবে নিলে ওষুধ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না বলে কোনো পার্শ্বাপ্রতিক্রিয়া হয় না। ইনহেলার একটি সহজ পদ্ধতি এবং এটি গ্রহণে কোনো ক্ষতি সম্ভাবনা নেই। স্টেরয়েড একটি বিশেষ ধরনের ওষুধ যেটা খুব বাড়াবড়ি পর্যায়ে ব্যবহারে চট করে ফল পাওয়া যায়। এছাড়া ইনহেলারে স্টেরয়েড নিলে অনেককম ওষুধ লাগে। যা কিছু ওষুধ লাগুক সেটা ব্যবহার করতে হবে ডাক্তারের নির্দেশে।
কী করবেন না
অ্যালার্জিজনিত কারণে হাঁপানি হলে সেটা পরিহার করতে হবে। সেটা খাবার কিংবা গন্ধজাতীয় দ্রব্য যাই হোক।
রাতে ভরপেট খাওয়া চলবে না। মশলাদার খাবারের বদলে হালকা খাবার খেতে হবে। খুব ঠান্ডা বা ফ্রিজের জিনিস বের করে না খাওয়াই ভালো।
ধূমপান কখনোই করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথা নিরোধক ওষুধ খাবেন না। মশা তাড়াবার ধূপ অ্যাজমার পক্ষে ক্ষতিকর। লেপ-তোষক-বালিশ-ঘরের পর্দা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। সপ্তাহে একদিন গরমজলে ফুটিয়ে কেচে নেওয়া উচিত। ঘরের পরিবেশ সুস্থ রাখুন। শুধূ শারীরিক কারণে নয় মানসিক কারণও অনেক সময় অ্যাজমা বা হাঁপানির কারণ।
সি.ও.পি.ডি.
সি.ও.পি.ডি. কথাটার অর্থ হল ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ অর্থাৎ ফুসফুসের যাবতীয় শ্বাসনালী বিশেষ করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শ্বাসনালী দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে বুজে আসা যে রোগ, তাকেই বলে সি.ও.পি.ডি।
রোগটি কি সংক্রামক
না, রোগটি সংক্রামক তো নয়ই, কোনো জীবাণুঘটিতও নয়।
কারণ
সি.ও.পি.ডি.-র প্রধান কারণ ধূমপান। এছাড়া কাঠকয়লার ধোঁয়া, বায়ুদূষণ, ইঞ্জিনের ধোঁয়া থেকে সি.ও.পি.ডি হতে পারে।
সি.ও.পি.ডি. হয়েছে জানা যাবে কীভাবে
কাশি দিয়ে প্রথম শুরু হয়, বিশেষ করে ভোরবেলা। এরপর শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
ডায়াগনোসিস
সি.ও.পি.ডি. হয়েছে কি না জানার জন্য পালমোনারি ফাংশন টেস্ট বা স্পাইরোমেট্রি পরীক্ষা করতে হবে। এই পরীক্ষার দ্বারা জানা যাবে ফুসফুসের কতটা ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বুকের এক্স-রে করা যেতে পারে। খুব ভালো করে বোঝার জন্য সি.টি. স্ক্যান করতে বলতে পারেন ডাক্তারবাবু যাতে বোঝা যাবে রোগীর শরীরে বুয়ু প্রবেশ কতটা বাধা পড়ছে।
চিকিৎসা
প্রথমেই স্মোকিং বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে ডাক্তারবাবু চিকিৎসা শুরু করবেন। চলবে কাউন্সেলিং, রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি এবং ওষুধ। ধূমপানকে বর্জনের চেষ্টা করতে হবে। এরপর ইনহেলারের মাধ্যমে কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করতে হবে যাতে শ্বাসনালীটা খুলে যেতে পারে।
ফুসফুসের ক্যানসার
ফুসফুসের ক্যানসার সাধারণত ব্রঙ্কাইয়ের আস্তরণে শুরু হয়। পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। ফুসফুসের ক্যানসার সঙ্গে ধূমপানের গভীর সম্পর্ক আছে। ধূমপান ও তামাক সেবন ফুসফুস ক্যানসারের অন্যতম কারণ। ভারতবর্ষে যে সব অঞ্চলে তামাক সেবনের পরিমাণ বেশি সেখানে ফুসফুসের ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এমনকী পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মহিলা ও শিশুদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসার হতে দেখা যাচ্ছে।
ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণগুলো কী কী
- এমন একটি কাশি যা সারে না, সময়ে সময়ে খারাপ আকার ধারণ করে।
- ক্রমাগত বুকে ব্যথা।
- কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা।
- শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সময়হুইসেলের মতো শব্দ হয় বা গলার স্বর ভেঙে যায়।
- বার বার ফুসফসে সংক্রমণে ঘটে।
- গলা এবং মুখ ফুলে যায়।
- খিদে কমে যায়, ওজন কমে, ক্লান্তি বাড়ে।
অন্যান্য ঝুঁকি
- নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে তামাকের সাথে জড়িক থাকে ফুসফুসের ক্যানসার।
- বায়ুদূষণ।
- অ্যাসবেস্টসের মতো কিছু জৈব রাসায়নিক সংস্পর্শে আসা। আর্সেনিক।
- কিছুটা জিনগত প্রভাব।
- যে সব ব্যক্তি টিউবারকুলোসিসে ভুগছে। টিউবারকুলোসিস থাকলে তামাক ব্যবহার করলে ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ফুসফুসের এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, রক্ত পরীক্ষা, থুতু পরীক্ষা। এছাড়া নিডল বায়োপসির সাহায্যেও পরীক্ষা করা হয়। ব্রঙ্কোস্কোপি ব্যবহার করে ফুসফুসের প্রধান বায়ুনালী বা ব্রঙ্কাই পরীক্ষা করা হয়। ভিডিও অ্যাসিসটেড ব্রঙ্কোস্কোপিক সার্জারি অর্থাৎ একটি ছোট ফুটোর মধ্যে দিয়ে রোগীর বুকে একটি ছোট ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করে বড় মাপের কাটাকুটি না করে অনেক কম যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
এছাড়া শরীরের অন্যান্য কোথাও ক্যানসার ছড়িয়েছে কি না জানার জন্যও স্ক্যান করা হয়।
প্রতিরোধ
ধূমপান বন্ধ করতে হবে। রাসায়নিক দ্রব্য বা শিল্পের কারণে হলে সেখান থেকে সরে আসতে হবে। কম ফ্যাট, অধিক সবুজ শাকসবজি, লেবু জাতীয় ফল, দুধ সহ সুষম আহার মানুষকে ক্যানসার থেকে নিরাপত্তা দিতে পারে। সকল প্রকার ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য নয়। কিন্তু শুরুতেই ধরা পড়লে যথাযথ চিকিৎসায় ফুসফুসের ক্যানসার সারিয়ে তোলা যায়।
‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন