×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

নিরীহ টিউমারও হয়ে উঠতে পারে “ক্যানসার”

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-09 15:33:34

ডাক্তার বাবু আমার হাতের এই খানটায় একটা ফোলা মতো আছে অনেকদিন ধরে । এটা কি বিপদ জনক? এ থেকে ক্যানসার হবে কি না একটু বলতে পারেন? রোগী বা তার আত্বীয়দের কাছ থেকে এই অনুরোধ শোনেননি এমন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাওয়া ভার । আবার অনেক সময় রোগী ক্যানসার হয়েছে ভেবেই ডাক্তারের শরনাপন্ন হন । বিভিন্ন পরীক্ষা,বায়োপসি ইত্যাদির পর ক্যানসার বিশেষজ্ঞ রোগীকে বলেন-ভয় নেই, এটা ক্যানসার নয়-নেহাতই বিনাইন টিউমার। এই বিনাইন টিউমার ব্যাপারটা কি? এগুলোর সংঘে ক্যানসারের সর্ম্পকই বা কী আর কতটা? এগুলো কি ক্যানসারের অগ্রদূত? কীভাবে বুঝব কোন ফোলা বা গোটা বিনাইন টিউমার? এরকম অনেক ছোট ছোট ফোলাই তো আমাদের দেহে মাঝে মাধ্যে দেথা যায় – আবার মিলিয়েও যায়, তাহলে?এই এত শত প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন । আমরা অস্কোলজিস্টরা জীবনঘাতী ক্যানসার রোগ নিয়ে কাজ করি বলে অনেক সময়ই ভূলে যাই যে বিনাইন টিউমারও ক্ষেত্রবিশেষ অশেষ কষ্টের কারন হতে পারে – দু’ একটি ক্ষেএে প্রানঘাতিও যে হয় না এমন নয়।বিনাইন টিউমার জিনিসটা কি? টিউমার শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ ফুলে যাওয়া। শরীরের যেকোন অংশে ফোলা বা গোটা মতো কিছু হতে পারে অনেক কারনে। এক তো সেখানে কোসকলার অস্বাভাবিক বংশবৃদ্ধি হয়ে একটা ফোলা মতো হতে পারে । তাছাড়া রক্তক্ষরন হয়ে জমাট বেঁধে বা পুজ জাতীয় কোন তরল পর্দাথ জমেও ফোলা মতো হতে পারে । যে কোন কারনেই এই ফুলে যাওয়া ঘটুক না কেন চিকিৎসা পরিভাষায় তাকে টিউমার বলা হয়। রক্ত বা পুঁজ জমে গেলে চিন্তার কিছু থাকেনা – ছোট শল্য চিকিৎসার সাহায্যে জমে যাওয়া পর্দাথটি নিষ্ক্রনের পথ করে দিলেই হল । সঙ্গে হয়তো বা অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ প্রয়োজন । মুশকিল হয় যখন কোষকলার অতিবৃদ্ধির জন্য কোন অঙ্গে গোটা মতো কিছু তৈরি হয়। দেখা গিয়েছে যে বেশ কিছু ক্ষেএে এরকম অস্বাভাবিক কোষবিভাজনের ফলে যে নতুন কোষকলা তৈরি হয় – তা কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক দেহকোষের মতো। এ ধরনের কোষ থেকে শরীরের কোন বিপদের সম্ভাবনা নেই । এগুলো রক্তে বা লসিকাপ্রবাহে মিশে দেহের দূর দূর অংশে ছড়িয়েও পরে না। শুধু একটা ফোলা,গোটা বা আব-এর রুপে শরীরে থেকে যায় – দেখতে খারাপ লাগে আর রোগীর অহেতুক দুশ্চিন্তার কারন হয় । এগুলো হল তথাকথিত বিনাইন টিউমার বা নির্দোষ টিউমার । কিন্তু যদি বর্ধিত কোষকলার ধরন একটু অন্যরকম হয়,তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার প্রবনতা থাকে,তারা রক্তনালী বা লসিকাপ্রবাহে প্রবেশ করে তখন আমরা যা দেখি পরিভাষায় তারই নাম ক্যানসার বা ম্যালিগন্যান্ট টিউমার । বিনাইন ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার (বা ক্যানসার ) তাই শুরু হয় একইভাবে কিন্তু তাদের পথ চলার পদ্ধতিটা ভিন্ন । যেখানে বিনাইন টিউমার চুপ চাপ রড় হয়, কিন্তু উৎপত্তিস্থল ছেড়ে কোথাও যায়না,ক্যানসার কোষগুলি দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং মৃত্যু ত্বরান্বিত করে ।কেন দু’রকম ব্যবহার করে এই কোষ ? এর সঠিক উত্তর এখনও নির্ধারিত হয়নি । তবে আধুনিক জীব-বিজ্ঞান দেখিয়েছে যে কোষের ক্রোমোজোমে বিশেষ ধরনের জিনঘটিত পার্থক্য এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতার জন্য দায়ী । এর বিষধ আলোচনা করতে গেলে আজকের প্রসঙ্গ থেকে অনেক দুর চলে যাব । তাই আপাতত এটাই মনে রাখুন যে ক্যানসার ও বিনাইন টিউমার – দুটোই মূলত এক ধরনের কোষ থেকেই উৎপন্ন । বিশেষ কিছু জেনেটিক পরিবর্তন হলে কোষটি ক্যানসার কোষে রুপান্তরিত হয় । আর অন্য রকম কোন পরিবর্তন হলে কোষকলার বৃদ্ধি হয় কিন্তু সে প্রানঘাতী ম্যালিগন্যান্ট রূপ ধারন করে না ।\তত্ত্বকথা ছেড়ে এবার আসা যাক দৈনন্দিন ঘটনা প্রবাহে । কোন কোন অঙ্গে হতে পারে বিনাইন টিউমার ? এক কথায় উত্তর মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের যে কোন অংশে 'নিরীহ টিউমারও হয়ে উঠতে পারে “ক্যানসার” সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন