বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ভাবনা সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য
ডাঃ রমেশ চন্দ্র বেরা
2018-12-21 12:37:13
এ বিশ্বকে মানুষের বাসযোগ্য করে যেতে হবে আমাদের প্রত্যেককে, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত করে যেতে হবে সংঘবদ্ধ সংগ্রাম। আগামী দিনের শিশুরা নির্ভয়ে পা ফেলুক, অনুকরণে, অনুসরণে, অনুশাসেনে। অনু অনু আদর ও সহানুভূতিতে বেড়ে উঠুক। স্বাস্থ্যের স্বাস্থ্যকর বেড়াজাল ও বেড়াভাঙা সুতপ্ত রোদ, নির্মল বাতাস, পরিস্রুত জীবাণুমুক্ত পানীয় ও জল, উচ্চৃঙ্খলতাহীন জীবনবোধ এবং সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে ভরে থাকুন জীবন। প্রতিটি মানুষ একে অপরকে দেখুক, বুঝুক ও সেই বোধ রক্ষা করুক। এ পৃথিবী একটি বিশাল ঘর, এ পৃথিবীর প্রতিটি দেশ এই ঘরের এক একটি সদস্য, প্রতিটি দেশের প্রতিটি মানুষের প্রতিটি রোমকূপ যেন হয় রোগমুক্ত ও দূষণমুক্ত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় উজ্জল। উজ্জল পৃথিবীর উজ্জল স্বাস্থ্য রক্ষায় যে গৌরবময়, ঐতিহ্যময় মানবিকতা বয়ে চলেছে, তার স্থাপনা আজ থেকে ৬৭ বছর আগে। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল জন্ম নিল যে মহান ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান তার নাম—‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’। ইংরেজিতে ‘ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO)। বাংলায় আদি অক্ষরগুলি যোগ করলে দাঁড়ায় ‘বিশ্বাস’- অনেকটা বিশ্বাসের মতো শোনায় এবং সম্পূর্ণটাই বিশ্বাসযোগ্যতারই নামান্তর। এই বিশ্বাস মনের, এই বিশ্বাস দেহেরে, এই বিশ্বাস সামাজক-স্বাস্থ্যের। এই বিশ্বাস ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতারও। মানুষের বিশ্বাস দুটি পায়ে দাঁড়িয়ে—একটি আশৈশব লালিত-পালিত আর অভ্যাসে এবং অন্যটি পরিবেশ, পরিধান, লোকশিক্ষা, জ্ঞান ও পুঁথিগত বিদ্যার ওপর। সেরা শিক্ষা হল মানুষের অনুভব। ঠেকে শেখা, এবং শিক্ষালাভের ফলেই জীবনে উন্নতি হয়। মানুষের নিজের একান্ত ব্যক্তিগত চাহিদা ও প্রয়োজন অতি অল্প। কিন্তু ফ্যামিলি, সোসাইটি, ভিলেজ, সিটি, দেশ, মহাদেশ, পৃথিবী, মহাপৃথিবী—এদের ভূত ও ভবিষ্যতের দিকে সজাগ থাকা, সচেতনতা রক্ষা করা হল এক বিশাল চাহিদা এবং বিপুল প্রয়োজনীয়তা। যার জন্য আজকের দিনটা শ্রেষ্ঠ, উপযোগী, উপযুক্ত। আজ ৭ এপ্রিল ২০১৫, মঙ্গলবার। আমাদের প্রত্যেকে আমরা নিজের তরে এবং অপরের তরে অকাতরে সচেতনভাবে লালন পালন করি পরিবেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবন, ১৯৫০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর ৭ এপ্রিল পালিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শাখা সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী। ৭ এপ্রিল দিবসটি শুধু প্রতিষ্ঠা দিবস নয়, দিনটি পালন করা হয় সারা পৃথিবীর মানুষকে স্বাস্থ্যের সুযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার হিসাবে। প্রতি বছর পৃথিবীজুড়ে এদিনটিতে সকল মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার প্রতি প্রধান গুরুত্ব দেয় এবং সর্বপ্রথম বিবেচনার বিষয় রূপে ঘোষণা করে। আজকের এই দিনে ‘হু’ আন্তর্জাতিক স্তরে, মহাদেশ বা আঞ্চলিক স্তরে এবং স্থানীয় ঘটনাবলীর নিরিখে একটি বিশেষ নির্দিষ্ট শ্লোগান বা থিম ঘোষণা করে যা আগামী বছর সর্বত্র লালন-পালন, ধারণ ও প্রচার করা হয়। ৭ এপ্রিল একটি বিশেষ স্বাস্থ্য পবিত্রভাবে ঘোষণা করা হয় এবং ৭ এপ্রিলের পর ৩৬৫ দিন এই মন্ত্র সবাইকে উপযুক্তভাবে পালন করতে বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্যোগে পালন করা হয়ে থাকে বৃহত্তর পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য। মিডিয়া, খবরের কাগজ, টিভির দৌলতে এই দিনটির মুখ্য বার্তা টীকাকরণ সপ্তাহ, বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবন, বিশ্ব ধূমপানহীন দিবস, বিশ্ব রক্তদান দিবস, বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবন, বিশ্ব এইডস দিবস—এসবের মতোই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসটি সমান গুরুত্ব পেয়ে থাকে। ১৯৯৫ খ্রীষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিত্যনতুন, প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক, স্বাস্থ্য সচেতন শ্লোগান বা থিম প্রচার করে আসছে। ১৯৯৫-এর আগে থিম প্রচার না হলেও বিগত ৪৭ বছর তারা তাদের কর্মসূচিতে নানা হেলথ পলিসি নির্বাচন ও পালন করে সাফল্য পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য, সারা পৃথিবী থেকে গুটি বসন্ত বা স্মল পক্স সমূলে নিধন হয়েছে, তার সুফল উপভোগ করছি। এখন পৃথিবীতে কেউ গুটি বসন্তের মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করে না। এ বড় গর্বের বিষয়। বড় গর্বের ধন এই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা পরিষদ। ১৯৪৫ খ্রীষ্টাব্দে চীন দেশের ডাক্তার, ডাঃ জেমিং জে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা গঠন করার কথা বলেছিলেন। ১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দে ২২ জুলাই আন্তর্জাতিক শব্দের বদলে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ বাক্যটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও সর্বজনস্বীকৃত হয়। কোথায়? ১৯৪৬-এ নিউইয়র্কে। যদিও তাতে সই করেনি ব্রাজিল, নরওয়ে এরূপ ১০ টি দেশ এবং আমেরিকার ৫১ টি দেশ—মোট ৬১ টি দেশ। ১৯৪৮ খ্রীষ্টাব্দের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শাসনতন্ত্র তথা স্বাস্থ্যবিধি সর্বত্র আরোপিত হয়। সেই সময় পৃথিবীর আরও ২৬ টি দেশের সমর্থন ও অনুমোদন লাভ করে সংস্থা। সাকুল্যে ৬১+২৬ সর্বমোট ৮৭ টি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য ভাবনায় সামিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোগো বা প্রতীক হল দেবতা অ্যাসক্লেপিয়াসের দন্ড। দন্ডটি এক মাথাওয়ালা ছড়ি। নানা থিমে বছরের পর বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস প্রতি বছর স্বাস্থ্য সম্পদের উন্নয়নে সারা বিশ্ব জুড়ে উচ্চরণ করে।
- ২৯১৫ খ্রীষ্টাব্দের মূল থিম মূল সুর- ‘ফুড সেফটি’ অর্থাৎ ‘খাদ্য নিরাপত্তা’। আমরা পৃথিবীর মানুষ যে খাবার খেয়ে থাকি, তা যেন কোনো রোগ না উৎপন্ন করে এই বিষয়ে ২০১৬ খ্রীষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সবাই যেন সচেতন হই এবং অপরকে সচেতন করি।
- ২০১৪-র থিম ছিল পতঙ্গরাহিত রোগ—ক্ষুদ্র কামড়, বিশাল আতঙ্ক। ইংরেজিতে ভেক্টর বর্ন ডিজিজেস, স্মল বাইট, বিগ থ্রেট।
- ২০১৩—হেলদি হার্ট বিট, হেলদি ব্লাড প্রেসার। যার মানে স্বাস্থ্যের হৃদস্পন্দন, স্বাস্থ্যময় রক্তচাপ।
- ২০১২ খ্রীষ্টাব্দের থিম ছিল—গুড হেলথ অ্যাডস লাইফ টু ইয়োরস। মানে একটাই ভালো স্বাস্থ্য আমাদের জীবনের দৈর্ঘকে বছরের পর বছর বাড়াতে থাকে।
- ২০১১- জীবাণুনাশক ওষুধে প্রতিরোধ: আজকে কাজ করছে না, কালকে রোগ সারবে না। এক কথায় ওষুধের বিরুদ্ধে যখন রোগজীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা গেড়ে তোলা, তখন এক বিপন্ন অপারগতা আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিকে স্থবির নির্জীব করে দেয়। ইংরেজি থিম-অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স: নো অ্যাকশন টুডে, নো কিওর টুমরো।
- ২০১০-শহরীকরণ এবং স্বাস্থ্য:শহরকে আরো স্বাস্থ্যবান করা হোক। আর্বানাইজেশন অ্যান্ড হেলথ : মেক সিটিজি হেলদিয়ার।
- ২০০৯—জীবন বাঁচান, হাসপাতাল-গুলিকে ইমার্জেন্সির জন্য নিরাপদ রাখুন। ইংলিশ ভার্সান—সেভ লাইভস, মেক হসপিটাল সেফ ইন ইমার্জেন্সিজ।
- ২০০৮—প্রোটেক্টিং হেলথ ফ্রম দি অ্যাডভারস এফেক্ট ক্লাইমেট চেঞ্জ। অর্থাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া থেকে স্বাস্থ্যকে রক্ষা করুন।
- ২০০৭—ইন্টারন্যাশনাল হেলথ সিকিউরিটি। মানে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা। এক দেশ থেকে অন্য দেশে কেউ যেন রোগ না ছড়ান, রোগ নিয়ে ভ্রমণ যেন না করেন।
- ২০০৬---ওয়াকিং টুগেদার ফর হেলথ। স্বাস্থ্যের জন্য আমরা একতাবদ্ধ—এক জাতি এক প্রাণ এই মনোভাব সহকারে যেন কাজ করি।
- ২০০৫—মেক এভরি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কাউন্ট। একটি মা একটি শিশু যেন গ্রহণযোগ্য থাকে। অর্থাৎ শিশু ও মা কেউ যেন প্রাণ না হারায়।
- ২০০৪—রোড সেফটি। পথ নিরাপত্তা।
- ২০০৩-সেপ দি ফিউচার অফ লাইফ: হেলদি এনভায়রনমেন্টস ফর চিল্ড্রেন। অথাংৎ জীবনের ভবিষ্যৎ রূপায়ন করুন। শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যপূর্ণ আবহাওয়া ও পরিবেশ চাই।
- ২০০২—মুভ ফর হেলথ। স্বাস্থ্যের জন্য হাঁটুন। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি, একা অথবা দল বেঁধে। স্বাস্থ্যের জন্য হাঁটুন, হাঁটতে থাকুন।
- ২০০১—মানসিক স্বাস্থ্য: কাউকে বাদ দেবেন না, যনত্ন নেওয়ার জন্য সাহসিকতা দেখান। মানসিকভাবে মেরুদন্ড ভেঙে পড়া, পথহারা মানুষের উদ্ধার করুন, পথ দেখান জীবনের। জীবনের স্রোতে ফিরিয়ে আনুন।
- ২০০০---সেফ ব্লাড স্টার্টস উইথ মি। আমার রক্ত যেন নির্মল থাকে। দুরারোগ্য ও সংক্রমষযোগ্য রোগ—হেপাটাইটিস বি ও সি জীবাণু, এইডস, এইচ.আই.ভি, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, যৌনরোগ ভেনারেল ডিজিজ যেন কারো দেহে না সংক্রামিত হয়।
- ১৯৯৯—অ্যাক্টিভ এজিং মেকস দি ডিভারেন্স। কাজ করতে করতে ক্ষয়ে যেতে যেতে আমাদের দেহে ব্যতিক্রমি বার্ধক্য আসুক। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা নিজেদের কাজ নিজের হাতে যতদূর পারেন তা তাদের করতে দেওয়া হয়। তারা যেন অসুস্থ না হয়ে পড়েন।
- ১৯৯৮—সেফ মাদারহুড। নিরাপদ মাতৃত্ব। মায়ের শরীর, জরায়ু যেন নিরাপদ শিশুর জন্ম দেয়। নিরাপদ পিতৃত্ব চাই। ডিম্বাণু ও শ্রক্রাণু—হবু মা ও হবু পিতা যেন নির্মল নিরাপদ হয়। হবু মায়ের খাদ্য, বস্ত্র, পানীয়, টীকা যেন সঠিক হয়।
- ১৯৯৭—ইমার্জিং ইনফেকসিয়াস ডিজিজ। ছোঁয়াচে রোগ নতুন করে জন্মাচ্ছে। সাবধান। যেমন এইডস, হেপাটাইটিস—বি, হেপাটাইটিস—সি এবং আরও অনেক।
- ১৯৯৬—হেলদি সিটিজ ফর বেটার লাইফ। এই থিমের মানে। শহরগুলি রোগমুক্ত স্বাস্থ্যপূর্ণ হোক এবং শহরের মানুষদের আরো ভালো স্বাস্থ্য দান করুক।
- ১৯৯৫—গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকেশন। পৃথিবী থেকে পোলিও রোগ নিমূল অভিযান শুরু। এই অভিযান এখনও চলছে। রোগ নির্মূল হয়েছে অনেক দেশে। নতুন করে কেউ যাতে না আক্রান্ত হয় তাই এখনও প্রয়োজন মতো পোলিও টীকা খাওয়াতে হবে।
- এইসব থিম অথাংৎ স্বাস্থ্যের মন্ত্র চিরদিন, বছরের পর বছর প্রতিদিন পালন করি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে’ –যেটা শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্যময় স্বাস্থ্যের হাতিয়ার। একে ঝকঝকে রাখতে হবে সবার হৃদয়ে। নিরাপদ পানীয়, নিরাপদ খাদ্য আমাদের গ্রহণ করতে হবে। শিশুখাদ্য বাড়িতে তৈরি করে খাওয়াবেন। নিয়মিত চেক আপ, টীকাকরণ—শিশুদের রক্ষার প্রথম অধ্যায়। মায়েল পেটে থাকাকালীন তার রোগ নির্ণয় ও রোগ আরোগ্যের চেষ্টা করতে হবে। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ভ্রূণ সমূলে উৎপাটনই শ্রেয়। জন্মগত হার্টের রোগ সারানোর চেষ্টা করা দরকার। রঙিন কৃত্রিম খাদ্যদ্রব্য শিশুদের মুখে, হাত তুলে দেওয়ান আগে পিতামাতা সজাগ হোন। কেন দেবেন রোগবাহী এইসব খাদ্য, রঙ, গন্ধ, রাসায়নিক পদার্থ। সস্তা দরের রঙিন খাদ্য, মিস্টি, ছোট শিশু জানে না তাই খেয়ে ফেলে। তাদেরকে দেবেন না। খাদ্য নিরাপত্তা, ২০১৫ সালের এই শ্লোগান আমাদের পালন করতে হবে। বিষ, রাসায়নিক সার গাছে, ফুলে, ফলে, বীজের শোধনে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই বিষগুলি কোথায় যাচ্ছে? জলজ প্রাণী, জলজ গাছপালা, মাছ, গেঁড়ি, গুগলি, ব্যাঙ এসব খেয়ে রোগাক্রান্ত হচ্ছে। তাই খেয়ে মানুষ রোগের শিকার হচ্ছে। অথবা বাজারে রঙ মাখানো সবজি, অধিক ফলনশালী ওষুধ—সেগুলিও কতটা বিজ্ঞানসম্মত তা বিবেচনা করা উচিত। খাদ্য নির্মাতারা খাবারের কোয়ালিটি ঠিক রাখছেন কি না ভেবে দেখুন। দুগ্ধ প্রস্তুতকারক দুধ পাস্তুরাইজেশন করার পর কোল্ড চেনে ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা রাখতে বাধ্য থাকবেন। নিরাপত্তার কথা ভেবে দুধকে টগবগিয়ে না ফুটিয়ে না খাওয়াই ভালো। দূষিত খাদ্য থেকে পেটের অসুখ, আন্ত্রিক, আমাশা, ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। হতে পারে কলেরা, টাইফয়েড, টিবি (অন্ত্রে)। সুষম খাদ, কাঁচা-পাকা ফল, সবজি স্যালাড যা খেতে হচ্ছে তা তাজা ও ঢাকা রাখা হয়েছিল কি? খাদ্য নির্মাতারা হাত ও মুখ গ্লাভস ও মাস্ক দ্বারা সুরক্ষিত করেন কদ্দুর? দেখতে হবে পরিবেশকের ডেকচি, চামচ, হাতা, প্লেট সব সাফসুতরো থাকছে কি না। খাদ্যের ক্ষতিকরক ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, কৃমির ডিম, ফিতা কৃমি প্রভৃতি শ’দুই রোগের কারক। তাই ৭ এপ্রিল সবার সুবোধ জাগ্রত করুক।
- ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন