×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

কোলেস্টেরলের অ আ ক খ

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2019-01-25 12:47:12

কোলেস্টেরল হয়েছে শুনলেই আমরা চমকে উঠে ভাবি, ভয়ানক অসুখ ঘটল বলে। আদতে অত ঘাবড়াবার ‍কিছু নেই। পাপ্পুর ছোট বয়সেই কোলস্টেরল বেশি। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ল থাইরয়েডের গোলমাল। তা থেকেই কোলেস্টেরল বেড়েছে। এখন কথা হল কোলেস্টেরলটা কী? আমাদের দেহে নান পদার্থের মধ্যে একটি হল স্নেহজাতীয় পদার্থ যাকে ইংরেজিতে বলি ফ্যাট বা লিপিড। আরো ‍বিস্তারে ধরলে স্নেহ ও তৈল জাতীয় উপাদান বা ফ্যাটস অ্যান্ড অয়েল। দেহে আসে নানান উৎস থেকে প্রধানত খাদ্যের উপাদান হিসাবে। অর্থাৎ আমরা যা খাই তাতেই এই উপাদানগুলো দেহ গ্রহণ করে। রসায়নের বইয়ে এসব উপাদানকে বলা হয় লিপিড। এই লিপিড বা চর্বি হল প্রকৃতিতে থাকা এক যৌগিক যা প্রাণীদেহ ও উদ্ভিদদেহ উভয়ের মধ্যেই থাকে।

চর্বির নানান প্রকার

রাসায়নিক ভাবে লিপিড বা স্নেহজাতীয় যৌগ হল ট্রাইগ্লিসারাইড আর কোলেস্টেরল। এসব আমরা খাবারের সাথে গ্রহণ করি। কিন্তু বিশ্ব জগতে লিপিড এক বিরাট পরিবারের যৌগ। এর মধ্যে পড়বে---

  • ফ্যাটি অ্যাসিড।
  • মোমজাতীয় জিনিস বা ওয়াক্স।
  • ট্রাইগ্লিসারাইড।
  • গ্লাইকো ফসফোলিপিড।
  • স্ফিংগোমায়েলিন।
  • গ্লাইকোলিপিড।
  • স্টেরয়েড-এর মধ্যেই পড়বে কোলেস্টেরল।
  • আইকোসানয়েড।

এত জটিল রসায়নের ব্যাপরে আমাদের মাথা ঘামানো দরকার নেই। তবে প্রকৃতিতে স্নেহ ও তৈল জাতীয় পদার্থ, যা আমরা খাদ্যে ব্যবহার করি, তার কিছু কিছু উপাদান নিয়ে বলা দরকার। স্বাভাবিক চর্বি বা তেল হল গ্লিসারল নামের এক রাসায়নিকের সাথে ফ্যাটি অ্যাসিডের যুক্ত হয়ে (এস্টার) তৈরি হওয়া এক রাসায়নিক। ফ্যাটি অ্যাসিড নানান ধরনের। এদের বলা হয় কার্বোক্সিলিক অ্যাসিড। কার্বন পরপর অনুগুলো জুড়ে লম্বা শৃঙ্খলা তৈর করে। এই বন্ধনকে বন্ড বলে। যখন এই বন্ড একটা মাত্র হয় তখন তাকে সম্পৃক্ত বা স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বলে। এই শৃঙ্খলের কার্বন-কার্বন বন্ড যদি ডাবল হয় অর্থাৎ দু’টো হয় তবে যৌগটিতে আনস্যাচুরেটেড বলে। আর একটা নাম আপনারা শুনে থাকবেন পুফা বা পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। লম্বা কার্বন শৃঙ্খলের ডাবল বন্ড যদি একাধিক হয় তখন তাকে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বলে।

কততগুলো সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের নাম লরিক অ্যাসিড, পামিটিক অ্যাসিড, স্টিফরিক অ্যাসিড। আর অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড হল ওলেইক অ্যাসিড আর লিনোলেইক অ্যাসিড।

মাছ-মাংস যে চর্বি থাকে তা প্রধানত ট্রাইগগ্লিসারাইড। তেলে ট্রাইগ্লিসারাইড থাকে যার সঙ্গী ফ্যাটি অ্যাসিড হল বেশির ভাগটা অসম্পৃক্ত। আর অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড যৌগটিকে তরল রাখে। ঠান্ডা জমে না। অন্যদিকে চর্বিতে, মাখনে কিন্তু স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত হয় ট্রাইগ্লিসারাইডের সাথে, তাই তা তরল না হয়ে কঠিন পদার্থ (যদিও নরম) হয় কাদার মতো।

ঘি, ডালডা, মাখন, মাছ, মাংস যা আমরা খাই তাতে নানান প্রকার স্নেহপদার্থ থাকে। উপাদানের অনুপাতের ওপর তার নানান নাম এবং নানান কাজ।

এসব পদার্থ আমাদের খাবারে কি খুব জরুরী? কীই বা তাদের উপযোগিতা? আসুন জেনে নিই। ফ্যাটি অ্যাসিড অনেকগুলো প্রকৃতিতে আছে যা মানবদেহ তৈরি করতে পারে না। আবার সুস্থভাবে বাঁচার জন্য এইসব ফ্যাটি অ্যাসিড অপরিহার্য। এইসব ফ্যাটি অ্যাসিডের তাই নাম দেওয়া হয়েছে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সব ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন খাদ্যদ্রব্য নিয়মিত গ্রহণ করা দরকার। মোটামুটি স্নেহজাতীয় পদার্থ আমাদের দেহে নিম্নলিখিত ভূমিকা পালন করে।

  • চর্বি বা তেল জাতীয় উপাদান হল আমাদের দেহের শক্তির প্রধান উৎস। যন্ত্রপাতির ব্যাটারির মতো শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে এই খাদ্যোপাদান প্রধান ভূমিকা পালন করে। এক গ্রাম চর্বি থেকে ন’ ক্যালারি শক্তি পাওয়া যায় যা শর্করা বা প্রোটিনের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি। বল শক্তি না থাকলে দেহ ভালো রাখার কোনো রাস্তা নেই। শর্করা, প্রোটিন দেহে সঞ্চয় করে রাখার মতো তেমন ব্যবস্থা নেই। বলতে গেলে প্রোটিন শুধু দেহের মাংস থাকে। এবং নড়াচড়া করা ছাড়া মাংস থেকে প্রোটিন বেরিয়ে গিয়ে শক্তি সরবরাহ করতে পারে না। বরং মাংস রক্ষা বা ধ্বংস হলে নানান ব্যাধি দেখা দেয়।

অথচ দেহ ভব্যিষতের জন্য সঞ্চিত শক্তি হিসাবে চর্বিকে বিশেষ বিশেষ অঙ্গে জমিয়ে রাখতে পারে। অনশন বা খাদ্যাভাবে সেই চর্বিকে নিয়ে শক্তির সরবরাহ বজায় রাখে।

  • কোষপ্রাচির বা সেল মেমব্রেন তৈরি হয় স্নেহ জাতীয় উপাদান দিয়ে। এই প্রাচীর কোষকে স্থায়িত্ব দেয়, আকার দেয়, নিরাপত্তা দেয় আর এর ভেতরে ও বাইরে রাসায়নিক দ্রব্যাদি প্রবেশ ও ‍নির্গমণ দারোয়ানের মতো নিয়ন্ত্রণ করে।
  • তাপ কু-পরিকাহক তাই আমাদের দেহের চর্বির আস্তরণ অনেকটা কম্বলের মতো কাজ করে। ঠান্ডা গরম দেহের বাইরে আটকে দেয়, ভেতরের অঙ্গকে ঠান্ডা বা দরকার মতো গরম রাখে।
  • কিছু কিছু ভিটামিন আছে তারা চর্বি না থাকলে আমাদের দেহে গৃহীত হতে পারে না। কারণ ভিটামিন-এ, ডি, ই ও কে-এই চার রকমের ভিটামিন জলে দ্রবীভূত হতে পারে না। স্নেহ পদার্থের মাধ্যমে দ্রবীভূত অবস্থায় দেহে শোষিত হয়।
  • কোলেস্টেরল থেকে দেহের পক্ষে ভীষণ দরকারি নানা উৎসেচক ও হরমোন তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, চর্বি থেকে কোষের অভ্যন্তরে নানান বাহক রাসায়নিক তৈরি হয়।

রক্তের মধ্যে স্নেহ পদার্থ ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রক্ত জলীয় পদার্থ। সেই জলের চর্বি  বা তেল চলে কেমন করে। তেলে জলে তো মেশরা নয়। প্রকৃতির আশ্টর্য নিয়মে রক্ত প্রবাহ বয়ে যাওয়া চর্বি বা তেল ইমালসান তৈরি করে একমাত্রবিশেষ এক ধরনের প্রোটিনের সাথে মিতালি পাতিয়ে। এই প্রোটিনের নাম তাই লাইপো প্রোটিন। মাঝে কেন্দ্রে রইল তেলের ফোঁটা, তাকে ঘিরে রইল প্রোটিনের চাদর। যা সহজে জলে মিশে যায়। খাদ্যের চর্বি প্রধানত ট্রাইগ্লিসারাইড পরিপাক হওয়ার পর ছোট একক ইপাদান হিসাবে ক্ষুদ্রান্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়ে লিম্ফোর (লিম্ফাটিক ভেসেল) দ্বারা বাহিত হয়ে রক্তের মাধ্যমে নানান অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বিশেষ করে লিভারে ছড়িয়ে পড়ে। এদের বলে কাইলোমাইক্রন। লাইপো প্রোটিনের চর্বি বহন করার ক্ষমতা ও প্রকার হিসেবে মোটামুটি তিনটি নামে অভিহিত করা হয়। প্রধানত তাদের আকার ও ওজন নির্ভর করে। তারা হল লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এল.ডি.এল), ভেরি লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (ভি.এল.ডি.এল) এবং হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচ.ডি.এল)।

তাই লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করাতে দেখবেন কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ছাড়াও এল.ডি.এল., এইচ.ডি.এল, ভি.এল.ডি.এল পরীক্ষা করা হয়।

কাইলোমাইক্রন তৈরি হয় অস্ত্রে। খাবারে থাকা লিপিড প্রধানত ট্রাইগ্লিসারাইডের মধ্যে অস্ত্র থেকে বাহিত হয় লিভারে ও অন্যান্য কোষকলায় পৌঁছায়।

ভি.এল.ডি.এল তৈরি হয় লিভারের আর এর ঘাড়ে চেপে লিপিড কোষকলা থেকে লিভারে পৌঁছাতে পারে। ভি.এল.ডি.এল ভেঙে গিয়ে আই.ডি. এল তৈরি করে ও শেষে তা থেকে এল.ডি.এস তৈরি হয়।

আর এইচ.ডি. এল অন্ত্রে তৈরি হয়, কাজ হল কোষকলার কোলেস্টেরলকে সরিয়ে দেওয়া।

এল.ডি.এল. তাই ভিলেনের মতো, এতে কোলেস্টেরল থাকে যা ক্ষতিকারক, তাই একে ব্যাড কোলেস্টেরল বলা হয়। অন্যদিকে এইচ.ডি.এল যেহেতু কোলেস্টেরল মুক্ত করে একে গুড কোলেস্টেরল বলে।

কোলেস্টেরল হল এমন লিপিড যা আমাদের রক্তবহ নালীতে পলির মতো জমতে পারে। আর তার ফলে রক্তনালীর ঘের সরু হয়ে যায় বা রক্তনালী সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে যায়। এই পলির মতো রক্তনালীতে লিপিড জমা হওয়াকে অ্যাথেরোমা বলে।

অ্যাথেরোমা যুক্ত রক্তনালীর সরু অংশের মধ্যে রক্ত চলাচলের ফলে তার আবরণীতে আঘাত লাগে এবং সেখানে রক্তের উপাদান (প্লেটলেট) জমে শক্ত একটা ডেলা তৈরি করে তাকে আরো বন্ধ করে দেয়। এই ডেলা দেওয়াল থেকে ছিঁড়ে গিয়ে আরও সরু রক্তনালীতে চলে গিয়ে আটকে যেতে পারে। ডেলা তৈরিকে থ্রম্বোসিস  বলে। ডেলাটা ছিঁড়ে দূরবর্তী জায়গায় যাওয়াকে এম্বলিজম বলে। এই এম্বোলাস বা ডেলা রক্তপ্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। ফলে যে অঙ্গে রক্ত যেতে পারে না তার মুত্যু ঘটে। ব্রেন এবং হার্ট হল আমাদের দুই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এরকম এদের কোনো আর্টারিতে আটকে গেলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের উদ্ভব ঘটায়। সেজন্য লিপিডের এই মারাত্মক রোগ উৎপন্ন করার বদগুন থেকে সাবধান বাঁচতে রক্তে লিপিড বিশেষত কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।

উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, ডায়াবেটিস, স্থলতা, মানসিক উদ্বেগ, পরিশ্রম না করা অভ্যাসের সাথে যদি রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকে তো সোনার সোহাগা। স্ট্রোকের সম্ভবনা বহু গুণে বেড়ে যায়।

এরকম রক্ত চলাচলের ব্যাঘাত অন্যান্য শিরা বা ধমনীতে ঘটাতে পারে। বিশেষ করে পায়ের ছোট রক্তবহ নালী (আর্টারিওল), অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস ঘটাতে পারে বা ঘটে। পায়ের রক্ত কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে। তা কিন্তু ঠিক নয়। স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে চর্বিজাতীয় খাদ্য আমাদের খেতেই হবে। আগেই বলেছি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের ক্ষতিকরে না। তাই বলা হয় এমন খাবার খাবেন যাতে অন্তত মোট ফ্যাটের ৭-১০ শতাংশের বেশি যেন স্যাচুরেটেড ফ্যাট না হয়। মোটমাট মোট দরকারি ক্যালোরির ৩০-৩৫ শতাংশ স্নেহজাতীয় খাদ্য আর ৩০-৪০ শতাংশ শর্করা বা শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য থেকে যেন হয়। বাকিটা আমিষ। মনে রাখতে হবে, এর সাথে যথেষ্ট পরিমাণ শাকসবজি থাকা হরুরি। আর অবশ্য অবশ্যই ফল। গাঢ় রঙের সবজি ও ফলে থাকে ক্যারোটিনয়েডস। এসব উপাদেয় আামাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

বিভিন্ন সবজি বা ফাইবার জাতীয় খাদ্য দেহে এল.ডি.এল-এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। মাছের চর্বির একটি কিশেষ ভূমিকা আছে। কিছু মাছের মধ্যে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড (ওমেগা-থ্রি) মাত্রায় বেশি থাকে। এদের আহার হিসাবে গ্রহণ করলে দেহে ক্ষতিকারক লিপিড কমে যায়। তাই সাহেবদের দেশে সার্ডিন, হেরিং, স্যালমন মাছের কদর বেড়েছে। কিছু দানাশস্যের তেলে ওমেগা-থ্রি বেশি মাত্রায় থাকে। বাদাম জাতীয় কিছু শস্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে। ওয়ালনাট, অ্যালমন্ড পিনাট এরকমই বীজ। অলিভ তেল এ ব্যাপারে আরো উপকারী কেননা এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এইচ.ডি.এল দেহে বাড়ায় আর এল.ডি. এল কমায়। সম্ভব হলে দু’চামচ (ওজনে ২৩ গ্রাম মতো) অলিভ অয়েল খাদ্যের শরিক করতে পারলে নিশ্চিত উপকার। খাদ্যদ্রব্যে আজকাল উদ্ভিজ্জ স্টেরোল যোগ করা হয়। এরা এল.ডি.এল-কে কমিয়ে দিতে পারে।

মনে রাখবেন, আমরা যে স্নেহজাতীয় পদার্থ খাবারের সাথে খাই তা শুধু মাছ, মাংস, মাখন. ডিম দিয়ে আসে না রান্নাতে ব্যবহৃত তেলের ওপরও নির্ভর করে। খাবার তেল নিয়ে গত তিন দশক ধরে নানান আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। মনে রাখবেন, সদ্য প্রকাশিত গবেষণালব্ধ জ্ঞানই শেষ কথা নয়। তাই ঘি আমার বেঁচে থাকুক। ঘি-এর ‍উপাদান যা আছে তা ব্রাত্য করবেন না। তেমনি খাঁটি সরষের তেল থেকে চোখ সরিয়ে নেবেন না। তা সে চোখ যত জলই আনুক। স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আর ওমেগা-থ্রি এদের মধ্যে সঠিক মাত্রাতেই আছে।

তবে এতে করেও যদি পরীক্ষাতে ধরা পড়ে যে দেহে বা রক্তে লিপিড বেশি এবং সাথে স্থূলতা বা সুগার ও উচ্চ রক্তচাপ তখন চিকিৎসা জরুরি। নানান রকম দাওয়াই বাজারে মজুত। তাই সেক্ষেত্রে খাবার নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক পরিশ্রম বাড়িয়ে দিয়েও হয়তো রক্তে লিপিড কমানো সম্ভব হয় না। তখন ওষুধ নিতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আপনার যথোপযুক্ত দাওয়াই বাছতে হবে এগুলোর মধ্যে—

  • অ্যাটোর ভাস্টাটিন/সিম্ভাস্টাটিন/ লো ভাস্টাটিন। একত্রে এদের স্ট্যাটিনস বলে। বাজারে নানান নামে পাওয়া যায়।
  • জেমিফাইব্রোজিল।
  • কোলেস্টাইরামিন।
  • এজিটিমাইব।

আরো নতুন নতুন নানা উপাদান গবেষণার চরম অবস্থায় রয়েছে।

তবে পরামর্শ, হুজুগে মেতে এ-তেল ও-তেল ব্যবহার না করে আবহমান কালের পিতা-প্রপিতামহদের উপদেশ অবজ্ঞায় উড়িয়ে না দিয়ে দুধেভাতে আর ঘিয়েই থাকুন না।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন