×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

প্রসবের পর মায়ের যত্ন

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-17 11:21:01

প্রসব । তা সে স্বাভাবিক প্রসব বা নরমাল ডেলিভারি অথবা সিজার করে হোক না কেন মায়ের একটা শারীরিক ও মানসিক ধকল থাকেই ।স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রথম ও প্রাথমিক চেস্টাই থাকে তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরিয়ে আনা । যেন আগের মত মতই হাটাচলা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন । এ সময়ে মুখ্য উদ্দেশ্যগুলো হল-

  1.  মায়ের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করা ।
  2. সংক্রমণ প্রতিরোধ করা ।
  3. স্তনের যত্ন নেওয়া এবং মা যাতে স্তনপান করাতে সমর্থ হয় তার জন্য চেস্টা করা ।
আর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যাতে গ্রহন করেন তার জন্য বোঝানো । প্রসবের অব্যহতির পরে মায়ের শারীরিক অবস্থার উপর অন্তত এক ঘন্টা ভালো করে লক্ষ রাখা হয় ।একে ফোরথ স্টেজ অফ লেবার বলে । এই সময়ে জরায়ু থেকে অতি রক্তক্ষরণ হয়ে মা মুর্চ্ছা যেতে পারে , এমনকি মারাও যেতে পারে । তাই নাড়ির গতি ,রক্তচাপ ,যোনি দিয়ে রক্তক্ষরণ ও জরায়ু সঠিকভাবে সংকুচিত হয়ে আছে কিনা তার উপর সতর্ক লক্ষ রাখা হয় ।কারণ প্রসবের অব্যহতির পর রক্তক্ষরণই হল প্রসুতির মৃত্যুর এক নম্ভর কারণ । স্বাভাবিক প্রসবের পর মা কে হালকা তরল পানীয় খেতে দেওয়া যেতে পারে । এমনকী স্বাভাবিক খাবারও দেওয়া যেতে পারে খিদে পেলে । প্রসবের পর কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার পর শিশুকে স্তন পান করাতে পারেন । এরপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাটাচলা ,বাথরুমে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এর জন্য-
  1. তার নিজের উপর আস্থা বাড়ে ।
  2. প্রসাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা কমে ।
  3. জরায়ুর মধ্যে জমে থাকা রক্ত সহজেই নিষ্কাশিত হয় ।
  4. পায়ের শিরায় রক্ত জমে যাওয়া (ডি.ভি .টি) রোগ প্রতিরোধ করা যায় ।
ক'দিন হাসপাতালে থাকবেন প্রসুতি প্রসবের পর একদিন । সিজার করে প্রসব হলে তিনদিন । তবে প্রসূতির সাধারণ স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে আরো কদিন বেশি থাকতে হতে পারে । প্রসূতির খাদ্যঃ সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর মায়ের খাদ্য পেটে সন্তান থাকার সময়ের থেকে বেশি দরকার । বেশি প্রোটিন জাতীয় খাদ্য ,বেশি ভিটামিন যুক্ত  শাকসবজি ও সময়ের ফল দরকার । ডাল,ভাত,শাকসব্জি,ডিম ,ছোলা, বাদাম ও সাধ্যমতো দুধ ,মাছ, মাংশ দরকার মায়ের পুষ্টি ঠিক রাখার জন্য । কারণ বাচ্চা জন্মের ছ'মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাবে ।এক ফোটা জলও নয় । পর্যাপ্ত পরিমানে যাতে মায়ের দুধ আসে তার জন্য মায়ের খাদ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে । বাস্তবে দেখা যায় যে গর্ভের সময় মায়ের যতটা খাদ্য ও পুষ্টির দিকে লক্ষ রাখা হয় প্রসবের পর কিন্তু ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না অধিকাংশ পরিবারে । এটা ঠিক নয় । প্রস্রাবের সমস্যা স্বাভাবিক বা ফরসেক দিয়ে প্রসাব হতে বহু ক্ষেত্রে অসুবিধে হয় । এর জন্য মা'কে স্বাভাবিক ভাবে প্রসাব করাবার জন্য সচেষ্ট হতে বলা হয় । তাতে না হলে ক্যাথেটর পরিয়ে এক-দু'দিন রাখতে হতে পারে । কোষ্ঠকাঠিন্যঃ এর জন্য প্রয়োজনে জোলাপ জাতীয় ওষুধ খেতে দেওয়া হয় । যোনি ও সংলগ্ন জায়গায় যদি সেলাই করা হয়ে থাকে তাহলে ওই ক্ষতের যত্ন নিতে হবে । ব্যাথা না হওয়ার ওষুধ তার সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ও মলম ব্যবহার করতে হবে । স্তনের যত্নঃ শিশুকে স্তন পান করানোর আগে ফোটানো ঠান্ডা জলে স্তনবৃন্ত মুছে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।স্তনপান করার পর মায়ের স্তনবৃন্ত আবার পরিষ্কার করে নিতে হবে । মায়ের টিকাঃ যদি মায়ের রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ ও শিশুর পজেটিভ হয় তাহলে মা'কে আন্টি-ডি গামা গ্লোবিউলিন ইঞ্জেকশন দিতে হবে । না দিলে মায়ের পরের বাচ্চা এলে ,বাচ্চা পেটেই মারা যেতে পারে । প্রসবের পরঃ মায়ের কিছু কিছু সমস্যার চিকিৎসাঃ
  1. প্রসবের অব্যহতির পরে মায়ের পেটেব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ।জরায়ু সংকোচনের  জন্য এটা হয়। ব্যথা কমার ওষুধ খেলেই এটা ঠিক হয়ে যায় ।
  2. যোনি ও সংলগ্ন জায়গায় ব্যথাঃ ব্যথা কমার ওষুধ ,সঙ্গে গরম সেক দিলে উপকার হয় ।
  3. আমাদের দেশের মায়েরা প্রায় আশি শতাংশ গর্ভবস্থায় পর রক্তাল্পতায় ভোগে । শিশুকে স্তন পান করানোকালীন  আওয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানো উচিত ।
  4. উচ্চ রক্তচাপ থাকলে প্রসবের পর কিছুদিন এর জন্য চিকিৎসা চলবে ।যতদিন না রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে ।
প্রসবের পর ব্যায়ামঃ যোনি সংলগ্ন মাংসপেশি স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে । শরীরের মাসেল টোন ফিরে আসে । স্বাভাবিক কাজকর্মঃ আত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে বলা হয় । তবে তা ভারী কাজ  নয় । গর্ভ নিয়ন্ত্রণঃ প্রসবের ছ'সপ্তাহ  বাদে যৌন সহবাস করা যবে । অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে গর্ভ না আসে । এ সময়ে নিরাপদ, ভাল  উপায় হলো জরায়ুতে মাল্টিলোড প্রতিস্থাপিত করা ।প্রথম সন্তানের পর অন্তত দু"থেকে তিন বছর সন্তান ধারণ না হওয়া ভালো । মাল্টিলোড কপার তিন থেকে দশ বছর সন্তান ধারণ প্রতিরোধ করতে পারে  ।এছাড়া নিরোধ ব্যবহার করা যেতে পারে । তাছাড়া যে সমস্ত মা স্তন্যপান করান তাদের জন্যেও প্রোজেস্টেরন ওনলি পিল পাওয়া যায় । এটাও খাওয়া যেতে পারে । হরমোন ইঞ্জেকশনও পাওয়া যায় । তা তিনমাস বাদে বাদে নিতে হয় । যারা পরিবার সম্পূর্ণ হয়েছে বলে করেন তাদের এই সময়ে হাসপাতালে থাকতে থাকতে জন্মনিয়ন্ত্রণ অপারেশন করিয়ে নিতে পারেন । এই অপারেশন স্ত্রীকে অনাকাক্ষিত মাতৃত্ব থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয় । সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ।