×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া ক্যালসিয়াম খেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা থাকে

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2019-01-25 15:17:47

এই বিজ্ঞানের যুগে আজ প্রায় সকলেই পরিচিত অস্টিওপোরোসিসের সঙ্গে।পণ্য সামগ্রী বিক্রির জন্যও বর্তমানে অস্টিওপোরোসিসকে ব্যাপক ভাবে হাইলাইট করা হচ্ছে। হেলথ ড্রিষ্কস, বডি অয়েল, টুথপেস্ট এমনকী মুখরোচক খাবারেও ক্যালসিয়াম চূর্ণ মিশিয়ে বিক্রি বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় সবাই ব্যস্ত। কিছুদিন পর হয়তো জামা-কাপড়েও ক্যালসিয়াম আছে বলে দিাবি করা হবে। আর আমরা তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ব। বর্তমানে বহু মহিলাই বিজ্ঞাপন দেখে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কিনে খান। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বা ব্লাডে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কত বা বোন ডেনসিটি টেস্ট না করিয়ে ট্যাবলেট খাওয়া বেশি ক্ষতিকর। কী ডোজে খেতে হবে বা কত দিন খেতে হবে তার কোনো ধারণাই থাকে না বা আদৌ ক্যালসিয়াম খাবার কোনো প্রয়োজন আছে কিনা সেটাই তো জানা নেই। ফলস্বরূপ হাড়রে সংযোগস্থলে অর্থাৎ হাড়ের শেষ প্রান্তে ছোট ছোট কাঁটার মতো হাড় তৈরি হয়। গোড়ালির হাড় বাড়ে, অনেকের কিডনিতে পাথর হয়, আবার অনেক সময় লিভারের কাজ ব্যাহত হয়, বুক ধড়ফড় করে। বাড়ে ব্লাডপ্রেসার, বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনাও। এ সময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আর সব থেকে বড় প্রশ্ন হল, আপনি উচ্চ দামে, বিজ্ঞাপন দেখে ক্যালসিয়ামের লোভে যে ফুড প্রোডাক্ট কিনছেন তা আদৌ কি আপনার হাড়ে পৌছে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে? একটি খুব সহজ উপায় আছে, আপনি আগে ব্লাডে ক্যালসিয়াম কত আছে তা টেস্ট করে দেখে নিন। তারপর ছ’মাস ওই ফুড প্রোডাক্ট খেয়ে আবার টেস্ট করে দেখুন ব্লাডে ক্যালসিয়াম কতটা বেড়েছে।

পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্ন বছর বয়সের পর থেকে বিশেষত মহিলাদের, হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। হাড়গুলো পাতলা হতে শুরু করে ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। মহিলাদের মেনোপজ বা মানসিক বন্ধের পর থেকেই অস্টিওপোরোসিসের সম্ভবনা বাড়তে থাকে। কারণ মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোন হাড়ে ক্যালসিয়াম ধরে রাখে। মেনোপজের পর ওই হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকায় ক্যালসিয়ামের ক্ষয় হতে থাকে।

অস্টিওপোরোসিসের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো হল সারা জীবন ধরে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া অর্থাৎ দুধ, ছানা, দই ও সবুজ শাক-সবজি কম খাওয়া। যারা ঘরকুনো, সূর্যের আলো যাদের গায়েই পড়ে না, ন্যূনতম শরীরচর্যা না করা বা মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম করলে ক্যালসিয়ামের অভাব পড়তে পারে। কিছু হরমোনাল ডিজিজ যেমন থাইরোটক্সিকোসিস, হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজম, আর্লি মেনোপজ, জরায়ু-ওভারি অপারেশন অথবা ডিজেনারেটিভ ডিজিজ যেমন অ্যাষ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলোসিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ইনফ্লামেটরি বায়োস ডিজিজ, ক্রনিক হেপাটাইটিস ইত্যাদি কারণ ছাড়াও আছে জেনেটিক ব্যাকগ্রাইন্ড।

অস্টিওপোরোসিসের তেমন কোনো লক্ষণ পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে হাড় ভেঙে যাওয়াই এর লক্ষণ। একে ফ্যাজাইল ফ্র্যাকচার বলা হয়। অর্থাৎ কোনোরকম চোট-আঘাত ছাড়াই হাড় ভেঙে যায়। তবে হোড়ে বা গাঁটে-গাঁটে ব্যথা এর অন্যতম লক্ষণ। ব্যথা ঝাঁকুনিতে বাড়ে ও হাত-পা মুড়ে বসলে বাড়ে। অস্টিওপোরোসিসে সামান্য আঘাতেই বা আঘাত ছাড়াও হাড় ভেঙে যায়। সাধারণত কবজি (কলিস ফ্র্যাকচার), হিপ ও শিরদাঁড়ার হাড় বেশি ভাঙে।

অস্টিওপোরোসিসের প্রধান চিকিৎসা হল শরীরে ক্যালসিয়াম অভাব পূরণ করা। সব থেকে সহজ উপায় হল গায়ে বডি অয়েল বা অলিভ অয়েল মেখে সকালের হালকা রোদে খানিকক্ষণ শরীরচর্চা করা। এতে চামড়ায় ভিটামিন ডি তৈরি হয়, যা ক্যালসিয়াম তৈরি ও হাড় ধরে রাখতে এক ও একমাত্র উপাদান।

প্রতিদিন দুধ, দই, ছানা ও সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এর সঙ্গে দরকার হয় ভিটামিন-কে। বাঁধাকপিতে প্রচুর ভিটামিন-কে থাকে। তবে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টেশন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই নয়। এতে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা বাড়ে। হোমওিপ্যাথিতে অস্টিওপোরোসিসের ভালো ওষুধ হল ক্যালকেরিয়া ফস, ক্যালসেরিয়া ফ্লোর, ক্যালকেরিয়া কার্ব, কালকেরিয়া হাইপোফস, ম্যাগনেসিয়া ফস, সাইলেসিয়া। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলোর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, কোনো ক্যালসিয়াম ডিপোজিশন করে না বা হার্টের রোগ তৈরি করে না। উপরন্ত্ত হাড়ের ক্ষয় রোধ করে, হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় ও হাড়ে কাঁটার মতো যে অস্টিওফাইট তৈরি হয় সেগুলোকে গলাতে সাহায্য করে। কাজেই নিজের মনে ক্যালসিয়াম খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে না এনে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেলে লাভ ছাড়া-ক্ষতির কোনো সম্ভবনা থাকে না।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন