অস্টিও আর্থ্রাইটিসের শিকার মহিলারই বেশি
ডাঃ তন্ময় দত্ত (বিশিষ্ট অর্থোপেডিক, ঢাকুরিয়া আমরি হসপিটাল)
2019-02-01 10:50:45
অস্টিও আর্থ্রাইটিস এক ধরনের হাড়ের বয়স জনিত ক্ষয়রোগ। হাড়ের প্রান্ত যে সাইনোভিয়াল পর্দায় ঢাকা থাকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঘষা খেয়ে পাতলা হয়ে যায়। হাড় ক্ষয়ে যেতে থাকে। ছোট ছোট নতুন হাড় বা অস্টিওফাইটিস দেখা যায়।গাঁট ফুলে যায়।চলতে-ফিরতে ব্যথা হয়।বড় বড় জয়েন্ট যেমন হাঁটু, কাঁধ, কোমড় বেশি আক্রান্ত হয়।ওঠা-বাস করতে গেলে জয়েন্টের এক্স-রে করলেই রোগ ধরা পড়ে। রক্তে ই.এস.আর বেশি থাকে।চোট, সংক্রমণের কারণেও হতে পারে এই রোগ।
অস্টিওআর্থ্রাইাটিক ডিজেনারেটিভ জয়েন্ট ডিজিজও বলা হয়।জয়েন্টের দু’দিকে হাড়. মাঝখানে ক্যাপসুল সাইনোভিয়াম থাকে।প্রধানত হাড়ের যে প্রোটেকশন অর্থাৎ রক্ষাকবচ, সেই আর্টিকুলার কার্টিলেজ টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়স্ক মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়, যাদের বয়স ষাটের কাছাকাছি। শতকরা সত্তর ভাগক্ষেত্রে এর কমটাই দেখা যায় সমগ্র পৃথিবীর মহিলাদের মধ্যে। যেসব মহিলারা পোস্ট মেনোপজাল স্টেজে আছেন তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি দেখা যায়।
অস্টিওআর্থ্রাইটিস দু’রকমের হয়।প্রাইমারি আর্থ্রাটিস, যেখানে এর কারণ আপাত দৃষ্টিতে তেমন করে খুঁজে পাওয়া যায়না। সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। সেকেন্ডারি কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে আগের কোনো চোট-আঘাত বা পোস্ট ট্রমাটিক অথবা কোনো সংক্রমণ বা ডিজিজ কিংবা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা থাইরয়েডের সমস্যায় এটা হতে পারে।
আশ্চর্য জনক ভাবে প্রাইমারি অস্টিও আর্থাইটিস পাশ্চাত্য দেশের লোকদের তুলনায় ভারতীয়দের মধ্যে কম দেখা যায়। আবার যেসমস্ত ভারতীয় একটু পাশ্চাত্য ধারায় জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে বেশি হয়। যে সমস্ত জয়েন্ট শরীরের ওজন বহন করে যেমন কোমড়, হাঁটু, গোড়ালি এগুলোই অস্টিও আর্থ্রাইটিস আক্রান্ত হয়।আসন পিঁড়ি বা উবু হয়ে বসলে কিংবা পায়ের উপর পা দিয়ে বসলে কোমর ও হাঁটুর অস্থিসন্ধি গুলো সম্পূর্ণ নড়াচড়া হয় যা প্রায় একধরনের ব্যায়াম বলা চলে। এই কারণে সম্ভব ভারতীয়রা এই আর্থ্রাইটিসের কবলে কম পড়েন।সর্বদা চেয়ার-টেবিলে বসলে অবক্ষয় জনিত বাত প্রায় অবশ্যম্ভাবী।
এই আর্থ্রাইটিস মূলত অবক্ষয় জনিত ইংরেজিতে যাকে বলে ওয়্যার অ্যান্ড টিয়ার, বহুল ব্যবহার ক্ষয়। ভার বহনকারী লম্বা হাড়গুলো বয়স ও ব্যবহারে ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। শরীর এই ক্ষয় নিজে থেকে পূরণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই মেরামত আসল জায়গায় না হয়ে হতে শুরু করে জয়েন্টের সীমারেখা-গুলোতে, সেখানো হাড় পুরু হয়ে স্পার তৈরি করে। জয়েন্টের ভেতরে হাড়গুলোর আস্তরণ ক্ষয়ে যায়। সেগুলো শক্ত হয়ে ওঠে, জয়েন্টের ভিতর জায়গা কমে যায়। এর ফলে জয়েন্টে নাড়াচাড়া হলেই আশপাশের পেশিগুলোও দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যায়। ফলে ব্যথা ও অক্ষমতা আরো বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সব জয়েন্টেই এই পরিবর্তন আসে। শরীরের ওজন কম রাখতে পারলে, সঠিকভাবে বসা, দাঁড়ানো, হাঁটা এগুলো করলে, নিয়মিত সহজ কিছু ব্যায়াম করলে, শরীরের সব জয়েন্ট যাতে পুরোপুরি সচল থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকলে বয়স জনিত এইরোগটি থেকে দূরে থাকা যেতে পারে।
সেকেন্ডারি আর্থ্রাইটিস তিন ধরনের হয়।যেমন জেনারালাইজ আর্থ্রাইটিস, ক্রিস্টাল এনডিউসড আর্থ্রাইটিস, যেখানে ক্রিস্টাল জমা হয়।এবং প্রিম্যাচিওর অনসেট আর্থ্রাইটিস।
অস্টিও আর্থ্রাইটিসের সঙ্গে দুটো জিনিসকে সাধারণ মানুষ গুলিয়ে ফেলেন। সেটা হল অস্টিওম্যালেশিয়া আর অন্যটা হল অস্টিও পোরোসিস।
এই তিনটি কিন্তু এক জিনিস নয়।অস্টিওআর্থ্রাইটিসে জয়েন্টে ডিজেনারেশন হয়, অস্টিওম্যালেশিয়া হল বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আমরা যাকে রিকেটস বলি, বড়দের অস্টিওম্যালেশিয়া বলা হয়।ভিটামিন-ডি’র ডেফিসিয়েন্সি থাকে। অস্টিওপোরোসিস হল বোন ডেনসিটিটা কমে যাওয়া।
অস্টিওআর্থ্রাইটিস কাদের বেশি হয়
বয়স্ক মহিলা যাদের মেনোপজ হয়ে গেছে, বয়স পঞ্চাশের ওপরে কিংবা ষাটের কাছাকাছি তাদের বেশি হয়,পুরুষদেরও হতে পারে।
রোগ-লক্ষণ কী কী
তৃতীয় বিশ্বের মানুষরা এই অসুখটা কে প্রথমে আমল দেননা। অনেক পরে ডাক্তার বাবুদের কাছে যান।অসহ্য ব্যথা, অনেকটা পা বেঁকে গেছে, চলাফেরার অসুবিধে তখন ডাক্তারের কাছে যান।ফলে কিছুটা দেরি হয়ে যায় চিকিৎসা পেতে।
এর প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ব্যথা, স্টিফনেস,কোনো কিছু কাজ করার যে গতিটা থাকে সেটা কমে যায়। যেমন নি-জয়েন্টে(হাঁটুর জয়েন্ট) মুভমেন্ট হচ্ছে শূন্য ডিগ্রি থেকে একশো চল্লিশ ডিগ্রি, দেখা গেল সেটা নব্বই ডিগ্রির মধ্যে থাকছে।
এ.ডি.এল অর্থাৎঅ্যাকটিবিটিজ অফ ডেইলি পারজয়েন্ট হিসেবে একটা স্কোর থাকে। হিপস্কোর , নি-স্কোর আছে, সেই স্কোরটা কমে যায়, ডিফরমিটি দেখা দেয়। রোগী বাঁকা হয়ে হাঁটছেন। স্টিফনেস, জয়েন্টে ফোলা দেখা যেতে পারে কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যায়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস হাত ও শোল্ডারেও হতে পারে।শিড়দাঁড়াতেও হয়ে থাকে।
ডাক্তরবাবু রোগীদের দেখার পর কী কী পরীক্ষা করতে দেন
একটা রুটিন ব্লাড টেস্ট করতে দেওয়া হয়।রুটিন টেস্টে সেরকম কিছু পাওয়া যায় না। ই.এস.আর-টা একটু বাড়তে পারে।অন্যকোনো কারণেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে, যেমন হিমোক্রোমোটোসিস—এইজন্য আয়রন, সিরাম, ফেরিটিন বেড়ে গেছে অথবা হাইপার প্যারাথাইরয়েডের জন্য ক্যালসিয়াম বেড়ে যায়, ফসফেট টা কমে যায়, প্যারাথ হরমোন লেভেল টা বেড়ে যায়। অ্যাক্রোমেগলির জন্য গ্রোথ হরমোন টা বেড়ে যায় অথবা হাই-পোথাইরয়েডিজমে থাইরয়েড হরমোন টা কমে যায় কিন্তু টি.এস.এইচ বেড়ে যায়।
অনেক সময় সংক্রমণের জন্য সি.আর.পি টা বেড়ে যেতে পারে। প্রধানত রুটিন ব্লাড টেস্ট ছাড়া সুগার ফাস্টিং, পি.পি, ইউরিক অ্যাসিড দেখা হয়।ভিটামিন-ডি থ্রি অনেক সময় পরীক্ষা করা হয়।আর দেখা হয় অ্যান্টি সি.সি.পি রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, আর. এক্স ফ্যাক্টর-ও দেখা হয়।এরপর এক্স-রে করতে বলা হয়।যে জয়েন্ট লেগেছে তার এক্স-রে করা হয়।এক্স-রে’তে দেখা যায় জয়েন্ট স্পেসটা কমে গেছে।এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয় এই ছ’টা গ্রেডিং আছে রেডিওলজিতে।এক্স-রে করে দেখা হয় কতটা কমল।
এখানে গ্রেড কম মানে ভালো আর গ্রেড বেশি থাকা মানে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া।
এক্স-রে’ তে দেখা হয় জয়েন্ট স্পেসটা কতটা কমেছে।সাব-কন্ডাক্টস্ক্লেরোসিস হতেপারে, সিস্টিক পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া অস্টিওফাইটস দেখা যায়। নতুন হাড় তৈরি হয়। এগুলো কোনো কাজে লাগেনা বরং ব্যথার সৃষ্টি করে।দরকারে সিটিস্ক্যান, এম.আর.আই স্ক্যান করা যেতে পারে। ডেক্সা স্ক্যানও দরকারে করতে হতে পারে। এটা প্রধানত দেখা হয় অস্টিও আর্থ্রাইটিসের সঙ্গে অস্টিওপোরোসিস আছে কি না।
মহিলাদের বাতের ব্যথার সঙ্গে মেনোপজের কারণে অস্টিওপোরোসিস যুক্ত হতে পারে।
চিকিৎসা
প্রথমে ক্লিনিক্যালি থরোলি পরীক্ষা করা হয়। এরপর চিকিৎসাটা কী হবে তা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করেই ঠিক করা হয়।
চিকিৎসা প্রধানত তিন ধরনের হয়।
- ফিজিক্যাল এডুকেশন।তার মধ্যে ফিজিওথেরাপি, জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন, স্পেশাল জুতো, ব্যায়াম ও শরীরচর্চা।
- মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অর্থা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করে রোগীকে ঠিক করে তোলা।
- সার্জিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ দরকারে অপারেশন করতে হতে পারে।
ওবেসিটি কে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ওবেসিটি কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দেখা যায় ব্যথাটাকে অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব। থাইরয়েড থাকলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।ফিজিওথেরাপি, নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে।সাঁতার, জগিং. সাইক্লিংনিয়মিত করা দরকার।
তবে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে জোরে দৌড়ানো বা খেলাধুলো অর্থাৎ যেগুলোতে বেশি পরিশ্রম হয়, শরীরে চাপ পড়ে সেগুলো না করাই ভালো।
মাসলট্রেনিং এক্সারসাইজ করতে পারলে ভালো হয়। জয়েন্টে ব্যথার কারণে রোগী মাসল ব্যবহার না করায় মাসল শক্ত হয়ে থাকে, লিগামেন্ট গুলো ডিজেনারেট করে যায়, ক্যাপসুল গুলো ছোট বড় হয়ে যায়। এই কারণে এক্সারসাইজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হট অ্যান্ড কোল্ড থেরাপি করা যেতে পারে। হট টা দেওয়া হয় প্রধানত স্টিফনেসের কারণে আর কোল্ড হচ্ছে মাসলের স্প্যাজম কমানোর জন্য। এছাড়া ইউরিক অ্যাসিড থাকলে চিকিৎসা করতে হবে।এগুলো ঠিকমতো করতে পারলে রোগী অনেকটা রিলিফ বোধ করেন।
এছাড়া বয়স অপেক্ষাকৃত কম হলে জয়েন্ট অপারেশন না করে অন্যান্য চিকিৎসা যেমন আর্থ্রোস্কোপ ঢুকিয়ে জয়েন্টের ভেতর টা স্যালাইন দিয়ে ধুইয়ে দেওয়া বা ছোটখাটো হাড়ের টুকরো বার করে দেওয়া হয়।
বয়স্ক রোগীর বেলায় কোমর ও হাঁটুর সন্ধিতে টোটাল জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি করে খুব ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। এই অপারেশন এখন উন্নত। নকল জয়েন্ট তৈরি করা হয় স্টেনলেস স্টিল, ক্রোম-কোবাল্ট অ্যালয় বা পলিইথিলিন যৌগ দিয়ে।
হিপ জয়েন্ট হল বল এবং সকেট জাতীয় জয়েন্ট। থাইয়ের ফিমার হাড়ের মাথাটি একটি বলের মতো যা কোমরের হাড়ে ঠিক ওই মাপে বসার মতো একটি গর্তের মধ্যে আটকানো থাকে। জয়েন্ট বদল অপারেশনের সময় সকেট বা গর্তটা দেওয়া হয় প্লাস্টিকের, আর বলটা দেওয়া হয় স্টিলের। হাঁটুর বেলায় থাইয়ের হাড়ের নীচের দিকে একটি ধাতব অংশ জুড়ে দেওয়া হয়। তেমনই পায়ের গোছের হাড়ের উপরিভাগ এবং মালাইচাকিও ধাতব বা প্লাস্টিবকের সাহায্যে তৈরি করা হয়। এইভাবে তৈরি হয় নতুন হাঁটু। তবে এইসব অপারেশন করবার পর হাঁটুমুড়ে বা আসন পিঁড়ি হয়ে বসা যায়না এবং কমোড ব্যবহার করতে হয়।
ওষুধ যা ব্যবহার হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিসে তার মধ্যে প্যারাসিটামল প্রধান। এছাড়া নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগস, কক্স-ইনহিবিটর ট্রামোডোল দেওয়া হয়। অনেক সময় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি দেওয়া হয়। বিশেষত যারা সূর্যের আলো ঠিকমতো পায়না তাদের।
এখন অনেক নতুন ওষুধ বেরিয়েছে, যেমন ডায়াসেরিন, গ্লুকোসিমাইন, আনডেনেচারড, টাইপ-টুকোলাজেন, বায়োঅ্যাক্টিভকোলাজেন প্রভৃতি। এই ওষুধ গুলো কার্টিলেজ কে নিউট্রিশন দিতে সাহায্য করে।
অস্টিওআর্থ্রাইটিসে চিকিৎসা করে পুরোপুরি ঠিক হবার জায়গা নেই। এই চিকিৎসা রোগীর কিছুটা যন্ত্রণা কমিয়ে সুস্থ রাখতে পারে। ডাক্তারববাবুরা চিকিৎসা করেন প্রধানত রোগীকে রিলিফ দেওয়ার জন্য এবং রোগটা যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ রাখেন।কিওর বলে কোনো কিছু হয়না অস্টিওআর্থ্রাইটিসে।
রোগীদের উদ্দেশ্যে একটাই আবেদন, ব্যথার প্রথম দিকেই চিকিৎসার জন্য আসুন। তাহলে রোগটা বিস্তার লাভ করবেনা। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর গ্রামঞ্চলের মানুষেরা অনেক সময় খরচে কুলোতে পারেনা বলে ব্যথা সত্ত্বেও চিকিৎসা করায় না। শহরাঞ্চলেও অনেকের ঠিকমতো শিক্ষা ও আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় অনেক দেরিতে চিকিৎসকের কাছে যান, ফলে জয়েন্ট টা তখন আর রিস্টোর করা যায়না। তাই এ ব্যাপারে কখনোই উদাসীন থাকবেন না।চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ থাকুন।
সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন