×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

পঞ্চাশে ভয় অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসে

ডাঃ ত্রিদীপ কুমাড় সেনগুপ্ত (বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট)
2019-02-01 11:12:03

মানব দেহের যে কোনো ধমনী বা আর্টারির দেওয়ালে চর্বি জাতীয় পদার্থ জমে জমে শক্তহয়ে ধমনীর ভেতরের গহ্বর সরু হয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিকে বলা হয় অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস। এর কারণে সাধারণত সমস্যা অনুভূত হয় বয়স যখন পঞ্চাশের আশেপাশে পৌঁছয়। কিন্তু এতে নিশ্চিন্ত হবেন না। প্রাষঘাতক এই পদ্ধতিটা কিন্তু শুরু হয় শৈশবেই। আপনার, আমার ভালোমন্দ জ্ঞান হওয়ার আগেই।

অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস হতে পারে হাত-পায়ের ধমনীতে, মস্তিষ্কের ধমনীতে, অ্যাবডোমিনাল ভিসেরা বা পেটের ভেতরকার যন্ত্রপাতির ধমনীতে, এমনকী হৃৎপিন্ডের ধমনীতে।

পায়ের ধমনী যখন এই রোগে আক্রান্ত হয় তখন কী হতে পারে? থাই মাসল বা কাফ মাসলে ব্যথা, এমনকী পায়ের পাতাতেও ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথার ধরন হল হাঁটাচলা করলেই কাফ, থাই বা হিপ মাসলে ক্র্যাম্পিং পেইন এবং তার সঙ্গে ঝিনঝিন করতে পারে। পায়ের পাতার পালস দুর্বল হতে পারে কিংবা না-ও পাওয়া যেতে পারে। আবার কখনো বা বিশ্রামের সময়ও পায়ের পাতায় ব্যথা হতে পারে।

অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস যখন মস্তিষ্কের ধমনীকে আক্রমণ করে তখন হতে পারে ব্রেন স্ট্রোক। এই অবস্থায় হাত পায়ের ঝিনঝিনে ভাব, সঙ্গে দুর্বলতা, কথা বন্ধ বা ঠিকভাবে কথা তৈরি না করতে পারার মতো সমস্যাও হয়। এমনকী একচোখের অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে

ভরপেট খাবার পরই পেটব্যথার কারণ কিন্তু হতে পারে সেই অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, যা কিনা হয় অ্যাবডোমিনাল ভিসেরার ধমনীতে।

আমরা প্রায় সকলেই যে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস সম্বন্ধে অবহিত তা হল হৃৎপিন্ডের। এক্ষেত্রে কী হতে পারে? হৃৎপিন্ড যেমন সারা শরীরে রক্ত দেয় নিজস্ব পুষ্টির জন্য, অক্সিজেন সরবরাহের জন্য। শরীরের অন্যান্য অংশের অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো ঠিক একই রকমভাবে হুৎপিন্ডের নিজস্ব ধমনীতেও চর্বি জমে, ভিতরের গহ্বর সরু হয়ে গিয়ে রক্ত সরবরাহ কমতে কমতে হঠাৎ বন্ধও হয়ে যেতে পারে। যখন কমতে থাকে তখন বুকে অল্প অল্প চিনচিনে ব্যথা, পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হয়। আর যদি হঠাৎ করে কোনো ধমনীর মদ্য দিয়ে রক্ত সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তার পরবর্তী অংশ ভীষণ রকমের অসুস্থ হয়ে পড়ে, আর হৃৎপিন্ডের সেই ভীষণ রকমের অসুস্থতাই হল হার্ট অ্যাটাক। সুতরাং সাবধান।

এই অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস সৃষ্টির মূলে যে সমস্ত ঝুঁকিগুলো আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ বা ডাযাবেটিস, পরিবারগত কারণ এবং সর্বোপরি রক্তে চর্বির আধিক্য।

এই চর্বি বা কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে শরীরে আরও অন্যান্য সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানায় এবং শরীরের নানান সমস্যা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যেমন স্থূলতা, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক।

তাহলে উপায়?

উপায় আছে। উপায় দু’রকম।

প্রথমত, রক্তে চর্বি যাতে না বাড়ে তার জন্য কম বা পরিমিত চর্বি জাতীয় খাবার খেতে হবে। আর শক্তি খরচ করতে হবে অর্থাৎ শারীরিক কসরত বা ব্যায়াম করতে হবে। এই অভ্যাস দুটো কিন্তু ছোটবেলা থেকেই হওয়া চাই। ধূমপান একদমই চলবে না।

দ্বিতীয়ত, ওপরের অভ্যাসগুলোর সঙ্গে আর যেটা দরকার সেটা হল প্রয়োজন হলে চিকিৎসকেরউপদেশ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

তবেই কিছুটা নিস্তার পাওয়া যাবে। আমরা সবাই যদি এগুলো মেনে চলি তাহলে সুস্থ থাকাটা কিন্তু আমাদের হাতের মুঠোয়।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন