×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে গেলে যেসব খাদ্য ত্যাগ করা উচিত

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-18 14:19:28

মানবদেহে একশো ধরণের বেশি ক্যান্সার হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন । এসব ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা । ঠিক কি কারনে ক্যান্সার হয় তা এখনও নিশ্চিত করে বলা না গেলেও সাধারণ কিছু কারণ খুজে পেয়েছে গবেষকরা । এর মধ্যে ।এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহনের ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা । রেডিমেড খাবারঃ বাস্তবিক অর্থে বেশির ভাগ টিনজাত খাদ্য স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকি হতে পারে ।এসব খাদ্য বিশপেনল-এ বা বিপিএ দিয়ে প্রস্তত করা হয় । ২০১৩ সালে জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমী-র এক গবেষণায় দেখা যায় ।বিপিএ শরীরে ব্যপক ক্ষতিসাধন করে ,যার প্রভাব ব্রেনেও পড়ে । প্রক্রিয়াজাত মাংসঃ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়ে থাকে মাংশে । এর মধ্যে হট ডগ ,বেকন-সহ বিভিন্ন ধরনের লাঞ্চের মাংশ রয়েছে ,যা কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকে । এসব খাদ্য ক্যান্সারশ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে । চাষ করা স্যালমনঃ মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ।কিন্তু যতটা সম্ভব স্যালম্ন মাছটি ত্যাগ করা উচিত । কিন্তু সুংখের বিষয় হলেও সত্যি যে ,যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ ভাগেরও বেশি চাষের স্যালমনের ভোক্তা রয়েছে ।চাষের এই মাছকে কৃত্রিম খাদ্য ও রাসায়নিক , কীটনাশক এবং অন্যান্য খাদ্য দেওয়া হয় , যা ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী । যদিও এই মাছ স্বাস্থ্য ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারি ওমগো থ্রি রয়েছে ।তবু চাষের ক্ষেত্রে তা পরিপূর্ণ থাকে না । পটেটো চিপসঃ হ্যা ,পটেটো চিপস খুবই মুখরোচক খাদ্য । মজাদার , সস্তা ,জলখাবার হিসেবে এর কোন জুড়ি নেই । তবে স্বাস্থ্যের পক্ষে এই জলখাবার নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । পটেটো  চিপসে থাকা উচ্চ ক্যালারী শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে । নিউ ইংল্যান্ডের চিকিৎসা জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় ,ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে আলুর চিপস যথেষ্ট ।এছাড়া রক্তচাপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটা দায়ী ।এমনকি দায়ী ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও । হাইঙ্গোজেনেটেড অয়েলঃ প্রথমে উদ্ভিজ্জ তেল দিয়েই শুরু করা যাক । উদ্ভিজ্জ তেল তার উৎসের কেমিক্যাল বাদ দিতে পারে না ,যা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিওকর প্রভাব ফেলে । স্ব ধরনের উদ্ভিজ্জ তেলেই উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড থাকে । ওমেগা ৬ স্বাস্থ্যের জন্য একাধিক রোগ সহ নানা ধরণের ক্যান্সার বাড়ায় । বিশেষ করে ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে । অন্যদিকে হাইঙ্গোজেনেটেড অয়েল বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় । এই তেল শরীরের সেল গঠনে প্রভাব ফেলে ,যা ক্যান্সারের  সঙ্গে সম্পৃত্ত । খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ ও স্মোকিং ফুডঃ খাদ্য সংরক্ষণে নাইট্রেড বা নাইট্রেস ব্যবহার করা হয় । এছাড়া মাংশের রঙের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয় ।তবে এটা ক্যান্সারের কারণ হয় না । ধূমপান ও নন --নাইট্রেস সমৃদ্ধ খাবারের কেমিক্যাল ক্যান্সারে ব্যাপক ভূমিকা রাখে । পুড়িয়ে অথবা ভেজে তৈরী করা খাবার কিংবা স্মোকীং ফুড হিসেবে পরিচিত মাংশের তৈরী অনেক খাবারে প্রচুর চর্বি ও লবণ থাকে । আচারেও থাকে অধিক পরিমাণে লবণ । এসব খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ায় । প্রক্রিয়াজাত সাদা আটাঃ  আটা শর্করা জাতীয় খাবার , যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । কিন্তু প্রক্রিয়াজাত সাদা আটা খুবই অপকারী ।রিফাইনের ফলে এই আটা তার সাধারণ পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলে । আটার মিল্গুলো তা সংরক্ষণের জন্য বর্তমানে ক্লোরাইন গ্যাস নামে একটি কেমিক্যাল ব্যবহার করছে ,যা খুবই ক্ষতিকর । পরিশোধিত চিনিঃ পরিশোধিত চিনির ঝুকি বিস্তর ।এই চিনি স্থুলতার জন্য দায়ী । যুক্তরাষ্ট্র ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ স্থুলতা  বা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছে ।পরিশোধিত চিনি নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছাড়াও ক্যান্সার সেলের জন্ম দিচ্ছে । কৃত্রিম চিনিঃ  অনেক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী খাবারে চিনির বিকল্প হিসেবে আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার্স বা কৃত্রিম চিনি খান ।কিন্তু গবেষণায় দেখা যায় , এই কৃত্রিম চিনি তৈরীতে ব্যবহৃত হয় সোডা ও কফি সুইটেনার্স  । যার মাত্রাছাড়া ব্যবহারে ক্যান্সার হতে পারে । অ্যালকোহলঃ ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা জানান ,মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করলে এমন ধরনের প্রবণতা সৃষ্টি হয় , যা মানবদেহ সূর্যের সংস্পর্শে এলে ত্বকের ওপর অতি বেগুনী রশ্মির প্রভাব কয়েকগুণ বেড়ে যায় । তারা বলেন ,ইথানল মানবদেহে প্রবেশ করে এক ধরনের তেজস্ত্রিয়তা বা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে , যা ত্বককে  অতিবেগুনী রশ্মির প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তোলে । আর এই সময় মদ্যাপায়ীরা সূর্যের আলোর কাছাকাছি গেলে এবং সানস্ত্রিনের মতো দেহকে সূর্য থেকে রক্ষার কোনও ব্যবস্থা না নিলে কয়েকগুণ বেশি মাত্রায় অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতির শিকার হয় । অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি হলে ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ে । রেড মিটঃ মাংশ অনেকেরই প্রিয় । কিন্তু লাল মাংশ স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর । হতে পারে প্রাণঘাতি ক্যান্সারও । তাই বিজ্ঞানীরা বলেছেনে ,অধিক পরিমানে লাল মাংশ ভোজন ত্যাগ করতে হবে । লাল মাংশে এন-নিট্রোসোডিয়েথিলামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে । যার সামান্য মাত্রাই শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সক্ষম । এছাড়া লাল মাংশে থাকা উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল শুধু অন্ত্র ও পাকস্থালীর ক্যান্সার সৃষ্টিতেই কাজ করে না , এটা ভয়ংকরভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যান্সার ছড়িয়ে দেয় । তাই এই মাংশ ভক্ষণে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা । মাইক্রোওয়েভ পপকর্ণঃ ভুট্টার খই বা পপকর্ণ যে কখনও মারণব্যাধি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে তা কোনওদিন হয়তো কল্পনাই করেননি কেউ । কিন্তু সত্য হল, পপকর্ণ  স্বাস্থ্যের জন্য বেশ বিপদজনক হতে পারে । প্রথমে বলা যেতে পারে ,পপকর্ণ  রাখা প্যাকেট ব্যাগের কথা । এই ব্যাগে বিষাক্ত পারক্লোরা অক্টায়নিক  এসিড মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে । নন-অর্গানিক ফলঃ বিভিন্ন ধরনের নন-অর্গানিক ফল -ফলাদিতে বিশেষ করে  আ্যর্টাজিন,থায়োডিকার্ব এবং অর্গানাপসফেটসে উচ্চ নাইট্রোজেন থাকে । কীটনাশক বা রাসায়নিক সার হিসেবে ব্যবহার হওয়া ইউরিয়াও খাদ্যে প্রয়োগ করা করা হয় , যেগুলো ক্যান্সারের মতো রোগের কারন হতে পারে । এছাড়া নিরব ঘাতক নন-অর্গ্যানিক বা অজৈব ফল প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করে দেয় । পুনশ্চঃ বাংলা ভাষায় জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘সুস্বাস্থ্য’ এ প্রকাশিত প্রবন্ধ অবলম্বনে রচিত.