×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

কোমরের ব্যথার নিশ্চিত নিরাময়

ডাঃ জাকির হোসেন
2019-02-01 13:05:45

বর্তমান গতির যুগে মানুষের কর্মব্যস্ততা বহুগুণ বেড়েছে। খাদ্যাভ্যাসে ও জীবনপ্রণালীর পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের রোগ-ব্যাধিতে জর্জরিত হবার মাত্রাও অনেক বেড়েছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পিঠ ও কোমরের ব্যথায় কাতর মানুষের সংখ্যা এখন মাত্রাছাড়া। লাইফ-স্টাইল ডিজিজ-এর হাতধরে এখন কম বয়েসেও অনেকেই ‘লো-ব্যাক পেন’-এর শিকার। রোগ নিয়ে আলোচনায় আগে আসুন অতি সংক্ষেপে বুঝে নিই মেরুদন্ড ও স্পাইনাল কর্ডের গঠন-কাঠামো।

মেরুদন্ড ও স্পাইনালকর্ডের গঠন

মোট একত্রিশটি পৃথক পৃথক হাড় দিয়ে তৈরি আমাদের মেরুদন্ড খানিকটা ইংরেজি ‘এস’ অক্ষরের মতো বাঁকা দেখতে। ভার্টিব্রা নামে পরিচিত মেরুদন্ডের হাড়গুলোর ভিতরকার গোলাকৃতি ডিস্ক আমাদের আগে-পিছে ঝুঁকতে মোট একত্রিশটি পৃথক পৃথক হাড় দিয়ে তৈরি আমাদের মেরুদন্ড খানিকটা ইংরেজি ‘এস’ অক্ষরের মতো বাঁকা দেখতে। ভার্টিব্রা নামে পরিচিত মেরুদন্ডের হাড়গুলোর ভিতরকার গোলাকৃতি ডিস্ক আমাদের আগে-পিছ ঝুঁকতে সহায়থা করে। মাথায় নিচের ঘাড়ের  অংশ থেকে শুরু করে পিঠ হয়ে কোমরের নিম্নাংশ পযংন্ত প্রসারিত আমাদের মেরুদন্ড—সার্ভাইক্যাল স্পাইন, থোরাসিক স্পাইন, লাম্বার স্পাইন, স্যাকরাল স্পাইন ও ককসিক্স এই পাঁচ অংশে বিভক্ত। আর স্পাইনাল কর্ড বা সুষুম্নাকান্ড হল মেরুদন্ডের সেই অংশ যা ভার্টিব্রা ও ডিস্ক মিলে সৃষ্ট নলাকৃতি টিউবের মতো থাকে। অগুণতিনার্ভ ফাইবার দিয়ে তৈরি স্পাইনাল কর্ডের মোটর নার্ভগুলো মস্তিষ্কের নির্দেশাবলি দেহের বিভিন্ন অংশে পাঠাতে সাহায্য করে। এবং সেনসরি নার্ভ শরীরের তাপমাত্রা, স্পর্শ ও ব্যথার অনুভূতি স্পাইনাল কার্ডের সাহায্যে ব্রেনে পৌঁছে দেয়। ড্যুরাম্যাটার নামক আবরনী দ্বারা সুরক্ষিত স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে থাকে তরল সেরিব্রো-স্পাইনাল ফ্লুইড।

যে সব রোগে পিঠ-কোমরে ব্যথা হয়

লাম্বার স্পান্ডাইলোসিস, স্লিপ ডিস্ক, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অ্যাষ্কাই লোজিং স্পন্ডিলাইটিস, স্পাইনাল ভাসকুলার অ্যাবনর্মালিটি, অস্টিওপোরোসিস, স্পাইন ইনফেকশন, স্কোলিওসিস, স্পন্ডাইলোলিস্থেসিস, লাম্বার স্টেনোসিস ইত্যাদি।

লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস

পেশির দুর্বলতা, ওবিসিটি বা স্থূলতার সমস্যা, চোট-আঘাত ইত্যাদি কারণে এই রোগ হয়। এতে পিঠের নীচে ও কোমরের সর্বত্র প্রচন্ড ব্যথা হতে থাকে, যা পায়ের দিকে নেমে যায়। ল্যাম্বো-স্যাক্রাস স্পাইনের হাড়ের বিকৃতিতে মেরুদন্ড আড়ষ্ট-অসাড় হয়ে পড়লে ব্যথা-বেদনার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্লাড টেস্ট, এক্স-রে ছাড়াও প্রয়োজনে এম.আর.আই করাতে হতে পারে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সাথে স্পাইনাল এক্সটেনশন এক্সারসাইজ ও পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ ইত্যাদি অভ্যাস করলে সহজে ব্যথার উপশম হয়।

স্লিপ ডিস্ক

এতে প্রথমে পিঠের মাংসপেশিতে খিঁচুনি শুরু হয়, পিঠ-কোমরে ব্যথার তীব্রতা উত্তরোত্তর বাড়ে। পরে তা হ্যামস্ট্রিং মাসল হয়ে হাঁটু ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে যায়। মেরুদন্ডের ডিস্কগুলোর ক্ষয় ও বার্ধক্যজনিত কারণে এই রোগ হয়। বেশি ভারী জিনিস জোরপূর্বক তুলতে গিয়েও ভার্টিব্রাল ডিস্কের নরম অংশ প্রবল চাপে আবরণ ভেদ করে বেরিয়ে আসলে ডিস্ক প্রোল্যান্স দেখা দেয়। জোর করে মোচড় দিয়ে শরীর ঘোরাতে গেলেও অনেক সময় স্পাইনাল সাপোর্টিভ মাসল ও লিগামেন্ট সেই অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে পারে না। তৈরি হয় স্লিপ ডিস্কের সমস্যা। এক্ষেত্রে নার্ভের ব্যথা প্রশমনের জন্য ওষুধের পাশাপাশি ব্যথা-বেদনা নিরাময়ে শলভাসন, ভূজঙ্গাসন ইত্যাদি ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে। কোমর-পিঠে ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে আসন-ব্যায়াম বন্ধ রেখে কিছুদিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।

অস্টিও আর্থ্রাইটিস

শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বসবাস, নারীদের ক্ষেত্রে হরমোনের গোলযোগ ইত্যাদি কারণে মেরুদন্ডের হাড়ের ক্ষয় থেকে এই রোগ হয়। লক্ষণ হিসেবে থাকে পিঠ ও কোমরে মাত্রাতিরিক্ত বেদনা, হাত-পায়ের আঙুল ঝিনঝিন করা আর কোমর থেকে পায়ের দিকে নেমে আসা সায়াটিকা ধরনের যন্ত্রণা। সায়াটিক নার্ভে অতিরিক্ত টান পড়লে রোগীকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হয়। সুষম আহার, ব্যায়াম আর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার পাশা পাশি থেরাপিউটিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেলে উপকার পাওয়া যায়। এই রোগীদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা যথাসম্ভব কম করতে হবে।

অ্যাষ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস

এই রোগে আমাদের মেরুদন্ড বাঁশের মতো হয়ে যায়, শুরু হয় হিপ জয়েন্ট ও কোমরে অসহ্য ব্যথা। ভয়ানক চোট-আঘাত, আর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটিজম ইত্যাদির কারণে ভার্টিব্রাল জয়েন্টের ডিস্ক সরে গিয়ে নিকটবর্তী নার্ভগুলোতে চাপ পড়ে প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়। প্রয়োজনমতো এক্স-রে, সেরিব্রো-স্পাইনাল ফ্লুইড টেস্ট, এম.আর.আই ইত্যাদি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। পিঠ ও কোমরের ব্যথা কমাতে স্পাইনাল এক্সটেনশন এক্সারসাইজ, পশ্চারাল ব্রিদিং এক্সারসাইজের সাথে যষ্ট্রাসন, সেতুবন্ধাসন, ইত্যাদি উপযোগী। ওষুধ সেবনের সাথে সাথে বেশিক্ষণ সামনের দিকে ঝুঁকে কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হবে। অতিরিক্ত নরম বিছানায় শোবার অভ্যাসও ত্যাগ করতে হবে।

স্পাইনাল ভাসকুলার অ্যাবনর্ম্যালিটি

লম্বার স্পাইনের শিরা-উপশিরাতে অনেক অসুখ আছে, যার জন্য কোমর-পিঠে ব্যথা হয়। এছাড়া মেরুদন্ডে পুঁজ জমা, শিরদাঁড়ার অং-শবিশেষ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া, স্পাইনাল কর্ডে রক্ত জমা বা সুষুম্নাকান্ড ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ কোমর-ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। এই ধরনের রোগে রোগীকে খুব ভারী জিনিস বহর করা থেকে বিরত থাকতে হবে, যখন-তখন ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে তা যথাসম্ভব সারিয়ে নেবার চেষ্টা করতে হবে। ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস করে কনস্টিটিউশনাল হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়া ও রেঞ্জ-অফ-মোশান সহ পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ রোগীকে নিরাময়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

অষ্টিওপোরোসিস

আমাদের হাড়ের প্রোটিনের গঠনের সাথে বিভিন্ন মিনারেল জমা হয়ে হাড়কে মজবুত করে। হাড়ের সেই প্রোটিন ও মিনারেল উপাদান কমে গেলে হয় অস্টিওপোরোসিস। মেরুদন্ডের হাড়ের এই রোগে পিঠ ও কোমরে ব্যথা শুরু হয়। নারীদের ক্ষেত্রে পোস্ট-মেনোপজালঅস্টিওপোরোসিস আর বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে সেনাইল অস্টিওপোরোসিস বেশি দেখা যায়। এছাড়া নেশার দ্রব্য সেবন, অতিরিক্ত ধূমপান, ব্যায়ামচর্চার অভাব, অনেকদিন ধরে কর্টিসল জাতীয় স্টেরয়েড খাবার ফলে সেকেন্ডারি অস্টিওপোরোসিস বা গ্লুকোকর্টিকয়েড ইনডিউসড অস্টিওপোরোসিস দেখা দিতে পারে, যার প্রভাবে রোগী সম্পূর্ণভাবে অক্ষম হয়ে পড়তে পারেন। রক্তের ক্যালসিয়াম পরীক্ষা, বোন টার্ন-ওভার মার্কার নির্ণয় করা হয় হাড়ভাঙার প্রবণতা যাচাই করতে। দরকার মতো বোন মিনারেল ডেনসিটি টেস্ট (বি.এম.ডি.টি) ও ড্যুয়াল এনার্জি এক্স-রে অ্যাবজর্বশিওমেট্রি বা ডেক্স স্ক্যান করাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এইসব রোগীদের খাদ্য তালিকায় যথেষ্ট প্রোটিন ও পরে মহিলাদের চিকিৎসার জন্যে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিরও সাহায্য নিতে হবে।

স্পাইন ইনফেকশন

মূলত টিউবারকিউলোসিস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে মেরুদন্ডে ইনফেকশন হয়। ফুসফুসে টিবির সংক্রমণ মেটাস্ট্যাটিক ডিজিজ হিসেবে শিরদাঁড়ায় প্রবেশ করে। তখন রোগী পিঠ ও কোমরের যন্ত্রণায় কাতহ হয়ে ওঠেন। এক্ষেত্রে টিবির ওষুধের ফুল কোর্স অবশই করতে হবে। সাথে সাথে নার্ভের যন্ত্রণার জন্যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবন রোগ লক্ষণের উন্নতি ঘটতে সাহায্য করবে।

স্কোলিওসিস

আমাদের মেরুদন্ড ডানদিক বা বাঁদিক বেঁকে গেলে তাকে বলা হয় স্কোলিওসিস। শিরদাঁড়া সামনের দিকে বেঁকে গেলে বলে কাইফোসিস। আর পিছনের দিকে বেঁকে গেলে বলা হয় লার্ডোসিস। মেরুদন্ডের ভার্টিব্রার এই সমস্ত গন্ডগোল থেকে নার্ভের সমস্যা শুরু হয়, যার কারণে মানুষ পিঠ-কোমরের ব্যথায় কাতর হয়। ইডিওপ্যাথিক স্পাইনা বাইফিডারের জন্যেও ব্যথা-বেদনার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পোলিও থেকে প্যারালাইটিক স্কোলিওসিস হয়ে থাকে। ওষুধের পাশাপাশি এক্সটেনশন এক্সারসাইজ, স্পাইনাল স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ও পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ অভ্যাস করলে ব্যথা-বেদনা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

স্পন্ডাইলোলিস্থেসিস

স্পাইনাল ভার্টিব্রাগুলো একটি বিশেষ ছন্দে সজ্জিত থাকে। আমাদের মেরুদন্ডের ওপরের ভার্টিব্রা নিচের ভার্টিব্রার থেকে অনেকটা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে স্বাভাবিক সজ্জায় গোলযোগ দেখা দেয়, যার ফলে সুষুম্নাকান্ডে প্রচন্ড চাপ পড়ে। শুরু হয় অসহনীয় ব্যথা। এই রোগ কোমরের অংশ অর্থাৎ লাম্বো-স্যাকরাল স্পাইনে আড়ষ্টতা সৃষ্টি করে এবং এতে স্পাইনাল কার্ডের সংশ্লিষ্ট অংশে মারাত্মকভাবে হজম হবার প্রবণতা থাকে। এই রোগীদের সামনের দিকে অতিরিক্ত ঝুঁকে কাজকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। নার্ভরুট, স্পাইনাল কার্ড ড্যামেজ বা ভার্টিব্রাল ডিসপ্লেসমেন্ট অতিরিক্ত না হলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ফিজিওথেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা-প্রতক্রিয়া চালানো হয়। যোগ্য-প্রশিক্ষকের অধীনে ভুজঙ্গাসন, শলভাসন, উষ্ট্রাসন প্রভৃতি অভ্যাস করা যেতে পারে।

লাম্বার স্টেনোসিস

মেরুদন্ডের ফাঁপা নলের মতো অংশ দিয়ে আমাদের স্পাইনাল কর্ড ওপর থেকে নীচের দিকে নামে। এই ফাঁপা নকাকৃতি অংশ বা স্পাইনাল ক্যানাল কোনো কারণে সুর হয়ে গেলে সৃষ্টি হয় স্পাইনাল স্টেনোসিস। এমতাবস্থায় মেরুদন্ডের হাড়ের কাঠামো স্পাইনাল নার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে স্নায়ুতন্ত্রের সমন্বয়ের অভাবে সেন্সরি ও মোটর নার্ভের বিবিধ অসঙ্গতি দেখা যায়। লাম্বার স্পাইনে এই স্টেনোসিস হলে কোমরে ব্যথা শুরু হয় ও বেশিক্ষণ হাঁটাচলা করলে পা ঝিনঝিন করতে থাকে। লাম্বার ডিস্কের ভিতরকার তরল শুকিয়ে গিয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের স্পাইনাল স্টেনোসিস হতে পারে। দুর্ঘটনার ফলে আঘাতজনিত কারণে কমবয়সেও স্টেনোসিস হতে পারে। এতে ওষুধ, ট্রাকশন ও ফিজিওথেরাপির সাহায্যে কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সার্জারির কথাও ভাবতে হতে পারে। পরিস্থিতির জটিলতা বিবেচনা করে তার আগে অবশ্যই সি.টি.মাইলোগ্রাম ও এম.আর.আই করিয়ে নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

মেরুদন্ডের সমস্যায় রোগ-প্রক্রিয়ার জটিলতার কথা মাথায় রেখে ডায়াগনোসিসের সুবিধার জন্য সেরোলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল টেস্টগুলো করিয়ে নিতে হয়। পরবর্তীতে ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস করে রোগ নিরাময়ের জন্য কনস্টিটিউশনাল রেমিডি প্রেসক্রাইব করা হয়। এছাড়া পিঠ ও কোমরের ব্যথা উপশমে থেরাপিউটিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনও অ্যাকিউট অবস্থায় ব্যবহার করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাষ্কাই লোজিং স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় আর্জেন্টাম মেটালিকাম, সিমিসিফিউগা রেসিমোসা, অ্যাসিড পিক্রিকাম ইত্যাদি মধ্যশক্তি ব্যবহারের সাথে সাথে বার্বারিস ভালগারিস (মাদার টিংচার) বা লিথিয়াম বেঞ্জোয়িকাম (ট্রিইচ্যুরেশন) ব্যবহার করা হয়। স্লিপ ডিস্কের ব্যথা-বেদনায় অ্যাকটিয়া স্পাইকেটা, ক্যালি অগজ্যালিকাম, ভিবার্নাশ অপুলাস ইত্যাদির উচ্চশক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি ডায়োসকোরিয়া ভিল্লোসা (মাদার চিংটার) বা ম্যাক্রোটিন (ট্রাইচ্যুরেশন) প্রয়োগ করা হয়। স্পন্ডাইলেঅলিস্থেসিস আর লাম্বার স্টেনোসিসের জন্য নির্বাচিত ওষুধ হিসেবে ফ্লুরিক অ্যাসিড, মেডোরিনাম, রোডোডেনড্রন, অ্যান্টিম ক্রুড প্রভৃতি ওষুধের নাম মনে আসে। মনে রাখবেন, হোমিওপ্যাথিতে সঠিক ওষুধ নির্বাচন একমাত্র অভিজ্ঞ পারদর্শী ডাক্তারবাবুর দ্বারাই সম্ভব। সেজন্য এসমস্ত ওষুধ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন