×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

ব্যাথা নিবারণী ডাইক্লোফেনাকে হার্টের ক্ষতি

হ্যালো ডাক্তার ব্লগ টিম
2018-10-20 15:50:58

আজকাল ডাইক্লোফেনাক প্রস্তুতকারী মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলি বড় বড় ডাক্তারদের নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে ডাইক্লোফেনাফ হৃদযন্ত্রের পক্ষে অতিশয় নিরাপদ । এজন্য নামী দামি ডাক্তারদের ফ্ল্যাট ,গাড়ি ,বাড়ি ও ফরেন ট্যুর অবধি দিতেও কার্পণ্য করছে না কোন কোন ক্ষেত্রে । অনেক অনেকদিন আগেকার কথা ।তখন ডাক্তাররা অ্যাস্পিরিনই দিতেন জ্বর ,গা-হাত-পা-মাথার যন্ত্রণায় । তারও বহু পরে বের হলো প্যারাসিটামল । কিন্তু ততদিনে মাথা-গা-হাত-পায়ের ব্যথা নিয়ে অ্যাঁসপিরিন খেয়ে খেয়ে অনেক রোগীরই পাকস্থলীর অবস্থা জেরবার হয়েছে ।প্যারাসিটামলে দেখা গেল ব্যথা কমেছে বটে ,কিন্তু তিন-চারটে প্যারাসিটামল দিতেই হচ্ছে । তাই চিকিৎসকরা খুজে বেড়াচ্ছিলেন এমন একটি বেদনানাশক যা কিনা অল্প সময়ে ব্যাথা নিবারণ করবে ও শরীরের মধ্যে অনেক সময় কার্যকর থাকবে । অবশেষে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা পেয়ে গেলেন একটি যৌগ- ডাইক্লোফেনাক । এটি মানব শরীরে প্রায় ১২ ঘন্টা কার্যকর থাকে । এখন যত আবিষ্কার তার পিছনে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীর নব্বই শতাংশেরই হাত । সেই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি বড় বড় ডাক্তারদের পার্টি দেয় , ডাক্তাররা ফরেন ঘুরে আসেন সেই মাল্টিন্যাশনালের পয়সাই । অবশেষে ডাইক্লোফেনাক  ্সর্বাধিক বিক্রিত ঘোষিত হল আমাদের ভারতে । অস্ট্রেলিয়াতে থেরাপিউটিক গুডস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলে স্বাশাসিত এক সংস্থা আছে ।বড় বড় কোম্পানীর বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে কোম্পানীর ঘুটিনাটি দেখাই এর কাজ । সেই অস্ট্রেলিয়ান থেরাপিউটিক গুডস অ্যান্ডস অ্যাডমিনিস্টেশন বেশ কটি যন্ত্রণানাশক দিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে এবং দেখেছে যে বহু মানুষের উচ্চ রক্তচাপ ,হৃদযন্ত্রের অচলাবস্থা ,হৃদযন্ত্রের স্ট্রোক ,হৃদযন্ত্র স্তব্ধ হওয়ার পেছনে এই ডাইক্লোফেনাক । লিভারের বিরাট গণ্ডগোলে অবশ্য ন্যাপ্রোস্কিন ও অইবুপ্রূফেনও যোগ হয়েছে । (  WHO Drug information ,vol .28, No.4 ,2014,p,453) প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বে যেমন ইউরোপে ,আমেরিকা ,কানাডা ,অস্টেলিয়াতে ডাক্তারের বিনা প্রসক্রিপশনে ওষুধই অমিল । আর যেটুকু পাওয়া যায় সেটুকু ওষুধের দোকানে কাউন্টারে সেলস বয় মারফত । এইসব ওষুধকে ওটিসি ( অভার দি কাউন্টার ) বলে । এবন্র  এই ওটিসি ওষুধ হয়তো খুবই  স্বল্পকালের জন্য চললেও এই ওষুধগুলি ক্রমাগত খেয়ে যাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ বিপদ হতে পারে । সেই অস্ট্রেলিয়ান থেরাপিউটিক গুডস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন   এই যন্ত্রণানিবারক ওষুধগুলি কি ভয়ংকর সে সম্পর্কে অস্ট্রেলিয় ডাক্তারদের সর্তক করেছে । এই অধ্যায়ে বলা হয়েছে , হার্টের বিন্দুমাত্র অসুবিধা ও অস্বস্তি হলেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে । ওপারের ডাক্তারদের বারবার এই বলে সর্তক করা দেওয়া হয়েছে ,ডাইক্লোফেনাকে হৃদযন্ত্রের গোলমাল হতেই পারে ।এর সঙ্গে অবশ্য ন্যাপ্রোক্সিন ,আইব্রূপ্রূফেন ,সেলোকক্সির  ইটারোক্সিব  ,ইন্ডোমেথাসিন মেলোক্সিকাম ও নাইরক্সিকাম-এও হৃদযন্ত্রের ভয়ংকর হোল্মালের আশঙ্কা করা হয়েছে । কানাডায় ' হেলথ কানাডা ' নামে স্বশাসিত সংস্থা আছে । সেই সংস্থাটি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জানিয়েছে দিনে ১৫০ গ্রাম ডাইক্লোফেনাকে হার্টের অপূরণীয় ক্ষতি ও স্ট্রোক হতেই পারে। এই ক্ষতি ডাইক্লোফেনাকের ডোজ বাড়াইলে এবং চিকিতসার মেয়াদ বাড়ালেই বহুগুণ বাড়বে । ভোলটারেন র‍্যাপিডে বলে বিদেশে একটি ওষুধ প্রস্ততকারক সংস্থা আছে । সেই কোম্পানিটি ২০০ মিলিগ্রামের একটা ডাইক্লোফেনাক দিত মহিলাদের ঋতুস্রাবের ব্যাথায় । কিন্তু ডাইক্লোফেনাকের আদতে ডোজই হচ্ছে ১০০ মিলিগ্রাম ।আর ডাইক্লোফেনাক এই জন্য ব্যবহারেই নয় । আমরা জনি অস্থিমজ্জায় রক্ত তৈরী হয় । ক্রমাগত ডাইক্লোফেনাকের বড়ি খেলে অস্থিমজ্জাটা ক্রমে ক্রমে শুকিয়ে যায় । একে বলে বোন ম্যারো অ্যাপ্লাসিয়া ।ফলে শরীরে রক্তের ভাগ কমে আসে । একে বলে অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া এবং এর থেকে অস্থিমজ্জায় ক্যানসার হওয়া বিচিত্র কিছু নয় । এই রক্তের ক্যান্সার সারাবার একটিই উপায় আছে । তা হচ্ছে রোগীর হাড়ে স্টেম সেল ঢুকিয়ে দেওয়া । সে যা খরচ তা টাটা-বিড়লারই পারে । আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঢোল পিটিয়েই যাচ্ছে যে তৃতীয় বিশ্ব তথা ভারতই হার্ট এ্যার্টাকের খনি হবে । সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ।