×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

খাবার থালায় প্রোটিনের ঘাটতি না পড়ে

অনন্যা মন্ডল (ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট)
2019-02-06 11:56:51

ডায়াবেটিস সমস্যার বিষয়ে অতিমাত্রায় চিন্তিত বা সচেতনতার পাশাপাশি আমাদের এই রোগের গুঢ় কারণটার ব্যাপারেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমাদের শরীরের কোষগুলো চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, দেহে ইনসুলিনের মাত্রা কম হওয়ার দরুন। ফলে কোষের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। এটা ডায়াবেটিসের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা কিন্তু আমাদের কাছে ফলাফলটাই অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াটাই অধিক গুরুত্ব পেয়ে থাকে।

ইনসুলিন আমাদের দেহে রক্তে ও কোষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। সহজ করে বলতে গেলে ইনসুলিন রক্তে বাহিত খাদ্য উপাদানগুলোকে দায়িত্ব নিয়ে কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করায়, যাতে কোষ তার চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত খাদ্য উপাদান পায় এবং সমস্ত শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন (বাইরের থেকে গৃহীত বা শরীরে যতটা পরিমাণে উৎপন্ন হচ্ছে)-এর কার্যকারিতা সঠিক রাখার জন্য এবং কোন কোন খাদ্য উপাদানের সাহায্যে এই কার্যক্ষমতা সুনির্দিষ্ট রাখা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হল।

প্রথমত, ইনসুলিন হরমোনটি প্রোটিনধর্মী, অর্থাৎ যদি খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবে। সাধারণত এক গ্রাম প্রতি কেজি দেহের ওজন অনুযায়ী প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। আমরা সবাই জানি মাছ, মাংস, ডিম, দুধ হল প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। তাছাড়া নিরামিষাশীদের জন্য ডাল, সোয়াবিন, মাশরুম তো আছেই। চাল, ডাল, গম, ভুট্টা, যব এবং বিভিন্ন ধরনের বাদামেও কিছু পরিমাণে প্রোটিন থাকে।

এছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণ ফ্যাটেরও প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে পুফা এবং মুফা যুক্ত রান্নার তেল যেমন সূর্যমুখির তেল, ভুট্টার তেল, ভেজিটেবল তেল, সোয়াবিন তেল, রাইস ব্রান তেল ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। সরষের তেল দিয়ে মাছ রান্না করা যেতে পারে। পরিমাণ মতো সরষের তেল শরীরের পক্ষে ভালো।

সেরেনিয়াম, জিষ্ক এবং ক্রোমিয়ামের অজৈব লবণ সমূহ ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তাই খাদ্য তালিকাতে এই উপাদানগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। জিষ্ক হল ইনসুলিন ডেস্ট্রাক্টিং উৎসেচকের প্রধান উপাদান, যা দেহে ইনসুলিনের সাম্যতা বজায় রাখে। জিষ্কের উৎস হল বাদাম, ডাল এবং শুটি, ডিম, সামুদ্রিত মাছ ইত্যাদি। এরপর ক্রোমিয়াম, এই উপাদানটি ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেহের গ্লুকোজ বিপাকে সাহায্য করে। ক্রোমিয়াম মুরগির মাংস, ভূষিযুক্ত দানাশস্য, ব্রকোলি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যে কোনো ধরনের শাক, সবুজ সবজি এবং টাটকা ফল ভিটামিন ও খনিজ লবণে পরিপূর্ণ, শুধু তাই নয় ডায়েটারি ফাইবারেরও উৎস। বলাই বাহুল্য যে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে জিষ্ক এবং ক্রোমিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। কারণ প্রচুর পরিমাণে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ফলে এই অজৈব লবণ দেহ থেকে বেরিয়ে যায়।

এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম. পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে আপনার সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন