×

Everyday: 10:00AM - 10:00PM

(+88) 01708500125

(+88) 09666741741

Email: care@hellodoctor.asia



× Home Our Doctors Blog Contact Us
(+88) 09666741741
Everyday: 10:00AM - 10:00PM Email: care@hellodoctor.asia
Title Image

Blog

Home  /  Blog

কোনও চিকিৎসাতেই কিডনি স্টোন গলানো যায় না

ডাঃ অমিত ঘোষ (কনসালট্যান্ট ইউরোলজিস্ট, রোবোটিক সার্জেন, অ্যাপোলো গ্লোনিগ্যালস হসপিটাল)
2019-03-09 11:07:56

দীর্ঘকালীন চিকিৎসক জীবনে কত রোগীর সঙ্গেই তো পরিচিতি ঘটে, কিন্তু কোনো কোনো রোগীর কথা মনে থেকে যায়। যেমন, সুগত কুন্ডু, বয়স ৫৬। এক বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদে কর্মরত সুগতবাবু যখন আমার কাছে আসেন তখন তার পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা। একে গ্যাসের ব্যথা মনে করে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে তিনি নিজে নিজেই ওষুধ খেয়ে গেছেন। শেষে যন্ত্রণা-যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এক বিশেষজ্ঞ গ্যাস্ট্রোন্টেরোলজিস্টের কাছে গেলে তিনি সোনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেন। আর তাতেই ধরা পড়ে যে তার কিডনিতে স্টোন হয়েছে। এরপরে তিনি যে অন্য কোনো প্যাথিতে না গিয়ে সরাসরি আমার কাছে এসেছিলেন সেটাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ পৃথিবীতে কোনো চিকিৎসাতেই কিডনি স্টোন গলানোর ব্যবস্থা নেই, যেমনটা দাবি করা হয়।

কিডনি ও স্টোন

শরীরে কিডনির বিশেষ ভূমিকা আছে। এই বিশেষ অঙ্গ ফিল্টারের মতো কাজ করে শরীরের অপ্রোজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ বর্জ্য হিসেবে প্রস্রাবের আকারে শরীর থেকে বরে করে দেয়। যখন ফিল্টারের কাজ চলে তখন মূত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া কিছু কেলাস কিডনির ভেতরে এক ধরনের ডেলার সৃষ্টি করে, যা আসলে স্টোন। ছোট আকারের স্টোন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বেরিয়ে গেলেও বড় স্টোন অপসারণ করতে হয়। অপসৃত না হলে এর নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। এমনকী সংক্রমণ ও সেপ্টিসেমিয়া ঘটিয়ে কিডনির কার্যকারিতা পর্যন্ত নষ্ট করে দিতে পারে।

উপসর্গ

কিডনি স্টোন হলে পাঁজরার পর থেকে নিতম্বের হাড় পর্যন্ত অংশে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। মূত্র ত্যাগের সময়েও অসুবিধে হয়। যেমন বারে বারে প্রস্রাব, প্রস্রাবের সময় জ্বালা এবং সঙ্গে রক্ত বেরনো। অনেক সময় ব্যথার তীব্রতা এত বেশি থাকে যে রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

চিকিৎসা

যে স্টোন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বেরিয়ে যায়নি তা অপসারণে অস্ত্রোপচারই আদর্শ চিকিৎসা। এক সেমি বা তারও ছোট স্টোন লিথোট্রিপসির সাহায্যে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সমস্যা হয় বড় স্টোনের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে পি সি এন এল (পারকিউটেনিয়াস নেফ্রো লিথোটমি) করা হয়। পি সি এন এল একটি কি-হোল সার্জারি। ছোট ফুটোর সাহায্যে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। অ্যানাস্থেশিয়া করে পাঁজরের পর থেকে নিতম্বের হাড় পর্যন্ত অংশের যে কোনো স্থানে ফুঠো তৈরি করা পথে এন্ডোস্কোপের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নেফ্রোস্কোপ নামের যন্ত্রটি কিডনিতে থাকা স্টোনের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করে। এবারে আলট্রাসোনিক, ইলেকট্রোহাইড্রলিক, নিউমোব্যালিস্টিক জাতীয় প্রোব ব্যবহার করে স্টোনকে ভাঙা হয় এবং নেফ্রোস্টোমি টিউব ব্যবহার করে ভাঙা টুকরোগুলোকে সরানো হয়। এর জন্য রোগীকে এক-দু’দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। এতে সর্ম্পর্ণভাবে স্টোন অপসারিত হয় এবং দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যায়।

শেষে

ব্যথা কমা মানে স্টোন চলে যাওয়া নয়। কোনো ‘প্যাথি’তে ব্যথা কমিয়ে স্টোন চলে যাবার দাবি করা হলে সনোগ্রাফি করে দেখে তবে নিশিন্ত হবেন। কিডনি স্টোন কিন্তু বারে বারে হতে পারে, তাই সতর্ক থাকবেন।

সৌজন্যে: ‘সুস্বাস্থ্য’ – কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন